আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৪২৫৬: কুরআনের যিনি অনুবাদ করলেন,তিনি সকল শব্দের অর্থ পাইলেন কিন্তূ সালাত,নবী,আমানু এসব শব্দের বাংলা করলেন না কেন?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩২৫৬: 

আসসালামু আলাইকুম। কুরআনের যিনি অনুবাদ করলেন,তিনি সকল শব্দের অর্থ পাইলেন কিন্তূ সালাত,নবী,আমানু এসব শব্দের বাংলা করলেন না কেন?

তারিখ:২৫/০৬/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 জনাব আরিফ সিরাজগঞ্জ থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, কুরআনের অনুবাদকগণ যেমন — সালাত (صلاة), নবী (نبي), আমানু (آمنوا) — এসব শব্দের বাংলা অনুবাদ না করে আরবিতেই রেখে দিয়েছেন কারণ এগুলোর পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ অর্থ বাংলা ভাষায় একক শব্দে প্রকাশ করা কঠিন, কিংবা বাংলা প্রতিশব্দ দিয়ে মূল আরবি শব্দের গভীরতা ও প্রেক্ষাপট বোঝানো যায় না। কারণ-



১. সালাত (صلاة):

"সালাত" শব্দটি সাধারণভাবে আমরা নামাজ অর্থে বুঝি, কিন্তু কুরআনে সালাতের অর্থ শুধুমাত্র নামাজ নয়:


দোয়া (رحمة): যেমন, إِنَّ ٱللَّهَ وَمَلَـٰٓئِكَتَهُۥ يُصَلُّونَ عَلَى ٱلنَّبِيِّ – এখানে "يصلون" মানে দোয়া বা প্রশংসা।


নিয়মিত ইবাদত, বিনয়, আনুগত্যের প্রতীকও সালাত।


যদি শুধু “নামাজ” বলি, তাহলে কিছু আয়াতে ভুল বোঝা যেতে পারে। এজন্য অনেকে “সালাত” শব্দ রেখে দেন।



২. নবী (نبي):

নবী শব্দের সাধারণ বাংলা “বার্তাবাহক” বা “দূত” হলেও, তা কুরআনের "نبي" শব্দের গভীরতা প্রকাশ করে না।


নবী হলেন, যাঁকে আল্লাহ ওহি দিয়ে নির্দেশ দেন, পথ দেখান, তিনি শুধুই বার্তাবাহক নন — তিনি আদর্শ, নেতা, বিচারক, শাসক, শিক্ষাদানকারীও।


"রসূল" ও "নবী" শব্দের মধ্যে পার্থক্যও আছে, যেটা অনুবাদে হারিয়ে যায়।

এজন্য অনেকে শব্দটি হুবহু রেখে দেন।


৩. আমানু (آمنوا):

বাংলা করলে হয়: “যারা ঈমান এনেছে” বা “যারা বিশ্বাস করে”।


কিন্তু "ঈমান" শব্দটি শুধু “বিশ্বাস” নয় — এতে আছে:


ভিতর থেকে স্বীকার, প্রকাশে আনুগত্য, এবং আচরণে অনুসরণ।


কুরআনের ভাষায় ঈমান মানে শুধু মানা নয়, মানার ফলেও জীবনের পরিবর্তন।


“যারা ঈমান এনেছে” বললে অনেক সময় সেটা কাঙ্ক্ষিত অর্থ বহন করে না, তাই অনেক অনুবাদক “آمنوا” শব্দটিই রেখে দেন।


সারকথা হলো,  এই শব্দগুলো শুধু ধর্মীয় পরিভাষা নয়, বরং ভাব-গভীরতা, বিশুদ্ধতা এবং কুরআনিক পরিপ্রেক্ষিত বহন করে, যেগুলো সরাসরি বাংলা করলে তা হারিয়ে যেতে পারে।

তাই অনেক অনুবাদে এসব শব্দ হুবহু রেখে, পাশে বা পাদটীকায় অর্থ বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয় — যেন পাঠক শব্দের মূল রূপ বুঝে তার প্রেক্ষাপটে গভীরতা ধরতে পারেন।



  والله اعلم بالصواب

আমলের ফজিলত-২৬: সূরা ইখলাসের ফজিলত (কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।)

No Comments

 




6643 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ: أَنَّ رَجُلًا سَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ: {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] يُرَدِّدُهَا، فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، وَكَأَنَّ الرَّجُلَ يَتَقَالُّهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ القُرْآنِ»


৬১৮৮। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, কোন এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ পাঠ করতে শুনলেন, তিনি তা বারংবার পাঠ করছিলেন। প্রভাত হলে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে হাযির হলেন এবং এ সম্পর্কে তার কাছে উল্লেখ করলেন, উক্ত ব্যক্তি যেন উক্ত সূরা তিলাওয়াতকে কম গুরত্ব দিচ্ছিলেন। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ কসম ঐ মহান সত্তার, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই এ সূরা কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:


A man heard another man reciting: Surat-ul-Ikhlas (The Unity) ’Say: He is Allah, the One (112) and he was repeating it. The next morning he came to Allah’s Messenger (ﷺ) and mentioned the whole story to him as if he regarded the recitation of that Sura as insufficient On that, Allah’s Messenger (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand my soul is! That (Sura No. 112) equals one-third of the Qur’an."


—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬১৮৮ (আন্তর্জাতিক নং ৬৬৪৩)

জিজ্ঞাসা-১২৫০৪: আজান - ইকামতে "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ" সময় দরুদ পাঠ করা কি ওয়াজিব? দলিল ভিত্তিক সমাধান দিলে উপকৃত হতাম।

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৫০৪

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 

সম্মানিত মুফতি সাহেব। আমরা জানি প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম শুনলে প্রথমবার দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। তাহলে আজান - ইকামতে  "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ" সময় দরুদ পাঠ করা কি ওয়াজিব?  দলিল ভিত্তিক সমাধান দিলে উপকৃত হতাম। জাযাকাল্লাহু খয়রান। 

তারিখ:  ২৩/০৩/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

মাওলানা সাইফুল ইসলাম, ভোলা  থেকে।


   জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,

আপনি ঠিকই বলেছেন যে আমাদের প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুনলে প্রথমবার দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব।


কিন্তু আজান ও ইকামতে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ সময় দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব নয়।


এটা হাদিস, সাহাবি, তাবেয়িদের আমল দ্বারা প্রমাণিত নয় এবং  ফুকাহায়ে উম্মতের সিদ্ধান্ত নয়। দলিল:



হাদিস নং-০১

باب مَا يَقُولُ إِذَا سَمِعَ الْمُؤَذِّنَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ " .

 আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা .... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমরা আযান শুনবে তখন মুআযযিনের উচ্চারিত শব্দের অনুরূপ উচ্চারণ করবে।

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৫২২ (আন্তর্জাতিক নং ৫২২),  মুআযযিনের আযানের জবাবে যা বলতে হয় অধ্যায়

তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)


شرح ألفاظ الأحاديث:

" إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ ": أي صوت المؤذن بالأذان.

" فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ": الفاء تدل على التعقيب فتكون لمتابعة عقب كل كلمة، " مِثْلَ مَا يَقُولُ " أي مثل كل جملة يتلفظ بها المؤذن من أذكار الأذان، والمراد المشابهة بالألفاظ لا في النغمة ورفع الصوت، ويستثنى من ألفاظ الأذان الحيعلتين فإن المتابع يقول " لا حول ولا قوة إلا بالله " كما في حديث عمر بن الخطاب صلى الله عليه وسلم


হাদীসের শব্দ বিশ্লেষণঃ

"যখন তোমরা আযান শুনতে পাবে " ঃ অর্থাৎ মুয়াযযিনের মুখ নিসৃত আযানের ধ্বনি যখন তোমরা শুনতে পাবে। 


 "তিনি যেভাবে বলছেন, তোমরাও তার অনুরূপ বলবে"/ তাঁর বাক্যানুরূপ তোমরাও সেভাবে উচ্চারণ করবে।ঃ 

বাক্যস্থ ''ফা" অব্যয়টি কোন যুগপৎ ঘটনার পরম্পরতা নির্দেশ করে। যার অর্থ হলো, মুয়াযযিন সাহেব আযানের একটি বাক্য শেষ করা মাত্রই তাঁর অনুকরণে হুবহু সেই বাক্যটি উচ্চারণ করতে হবে। তবে এখানে উদ্দেশ্য হলো, মুয়াজ্জিন সাহেবের মুখ নিসৃত আযানের বাক্যমালার অনুসরণ করা। তার অনুকরণে সুর- ধ্বনি- তাল- লয় ইত্যাদির অনুসরণ নয়। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে আযানের শব্দ চয়নিকা হতে "হাইয়া আলাস সালাহ " ও "হাইয়্যা আলাল ফালাহ" বলার সময় তার অনুকরণে বাক্যদ্বয় বলা যাবেনা। বরং বলতে হবে, "লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ"। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস একথারই নির্দেশ করে। সূত্র: শারহুল হাদিস, ইজা সামিতুমুন নিদা-১/২০১৮; শায়েখ আবদুল্লাহ ইবনে হামুদ আল-ফারিহ


হাদিস নং-০২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، وَغَيْرِهِمَا، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا اللَّهَ لِيَ الْوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الْجَنَّةِ لاَ تَنْبَغِي إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ فَمَنْ سَأَلَ لِيَ الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ " .

 মুহাম্মাদ ইবনে সালামা আল মুরাদী (রাহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসুল কে বলতে শুনেছেন, তোমরা যখন মু’আযযীনকে আযান দিতে শুনবে, তখন সে যা বলে তাই বলবে। তারপর আমার ওপর দুরূদ পাঠ করবে। কারণ যে আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তার ওপর দশবার রহমত নাযিল করেন। পরে আল্লাহর কাছে আমার জন্য ওসীলার দুআ করবে। ওসীলা হল জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কোন এক বান্দাকে দেয়া হবে। আমি আশা করি যে, আমিই হব সেই বান্দা। যে আমার জন্য ওসীলার দুআ করবে, তার জন্য আমার শাফাআত ওয়াজিব হয়ে যাবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৫ (আন্তর্জাতিক নং ৩৮৪)


হাদীসের ব্যখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুআজ্জিন আযানের মধ্যে যে সকল শব্দ বলে থাকে আযানের জবাবেও সে সকল শব্দ বলে জবাব দেয়া সুন্নাত। অবশ্য মুসলিম শরীফের ৭৩৬ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, হযরত উমার রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, মুআজ্জিন যখন حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ এবং حَىَّ عَلى الْفَلَاحِ বলেছেন তার জবাবে তিনি لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِالله বলেছেন। সুতরাং এ হাদীসে বর্ণিত শব্দ দ্বারাও আযানের জবাব দেয়া যেতে পারে। আবার পূর্ববর্ণিত হাদীস এবং ঐ অর্থে বর্ণিত আবু দাউদ: ৫২৪ নং হাদীস অনুযায়ী حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ এবং حَىَّ عَلى الْفَلَاحِ এর জবাবে উক্ত শব্দ দুটিও ব্যবহার করা যেতে পারে। মুসতাদরাকে হাকেম-২০০৪, আদ-দুআ লিততবারানী-৪৫৮ এবং ইবনুছ্‌ছুন্নী সংকলিত আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলা কিতাবের-৯৮ নং হাদীসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে যে, মুআজ্জিন حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ এবং حَىَّ عَلى الْفَلَاحِ বললে তার জবাবে তোমরা حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ এবং حَىَّ عَلى الْفَلَاحِ বলবে। এসকল হাদীস থেকে যে দুই প্রকার জবাব প্রমাণিত হয় হানাফী মাযহাবেও সে আমল গ্রহণ করা হয়েছে। (শামী: ১/৩৯৭) 

এ হাদীসের আলোকে আরো বলা যেতে পারে যে, মুআজ্জিন যখন الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ বলবে তখন শ্রোতারাও অনুরূপ বলবে। অবশ্য বিজ্ঞ উলামায়ে কিরাম এ ক্ষেত্রে ভিন্ন জবাবের কথাও বলেছেন। ইমাম নববী রহ. বলেন قَالَ سَامِعُهُ صَدَقْتَ وَبَرَرْتَ অর্থাৎ মুআজ্জিন যখন خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلَاةُ বলবে তখন শ্রোতা صَدَقْتَ وَبَرَرْتَ বলবে। (আল্ মিনহাজ-৪/৮৮, দারম্ন এহইয়াইত তুরাস, বৈরম্নত থেকে প্রকাশিত) خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلَاةُ এর জবাবে صَدَقْتَ وَبَرَرْتَ বলাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৯৭)


হাদিস নং -০৩

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسَافٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . فَقَالَ أَحَدُكُمُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ . قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ . ثُمَّ قَالَ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ . قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ . ثُمَّ قَالَ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ . قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ . ثُمَّ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . ثُمَّ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ " .

অর্থ:  ইসহাক ইবনে মানসূর (রাহঃ) ... উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, মু’আযযিন যখন اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ বলে তখন তোমাদের কেউ যদি اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ বলে। তারপর মু-আযযিন যখন أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে, তখন সেও أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে। অতঃপর মু’আযযিন যখন أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে, তখন সেওأَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে। পরে মু’আযযিন যখন حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ বলে, তখন সে لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ বলে। এরপর মু’আযযিন যখন اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ বলে, তখন সেও اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ বলল। তারপর মু’আযযিন যখন لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে, তখন সেও لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলল-এসবই যদি সে বিশুদ্ধ অন্তরে বলে থাকে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।


সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৬ (আন্তর্জাতিক নং ৩৮৪)


হাদিস/আসার নং-০৪

عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى مُعَاوِيَةَ فَنَادَى الْمُنَادِي، فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: ” اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ. قَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. قَالَ: وَأَنَا أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ” قَالَ يَحْيَى: وَأَخْبَرَنِي بَعْضُ أَصْحَابِنَا أَنَّهُ لَمَّا قَالَ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، قَالَ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، ثُمَّ قَالَ مُعَاوِيَةُ: هكذا سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ يَقُول

ঈসা বিন তালহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মুয়াবিয়া রাঃ এর দরবারে হাজির হলাম। তখন মুয়াজ্জিন আজান দিচ্ছিল। মুয়াজ্জিন বলছিল “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার”। তখন মুয়াবিয়া রাঃ বলেন, “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার”। মুয়াজ্জিন বলল, “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। তখন মুয়াবিয়া রাঃ বললেন, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। মুয়াজ্জিন বলল, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। মুয়াবিয়া রাঃ বললেন, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ।


ইয়াহইয়া বলেন, আমাকে কতিপয় সাহাবাগণ জানিয়েছেন যে,মুয়াজ্জিন যখন হাইয়্যা আলাস সালাহ বলেন, তখন তিনি বলতেন লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ”। তারপর মুয়াবিয়া রাঃ বলেন, এভাবে আমি তোমাদের নবীকে (আজানের জবাবে) বলতে শুনেছি। [সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১২৩৮, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪১৪, আলমু’জামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদীস নং-৭৩৭, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৯২৮]



 সারকথা হলো, আজান ও ইকামতে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ সময় দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব/সুন্নাহ নয়।


মুয়াজ্জিন যখন আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলবে শ্রোতাগণও আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলবে। এ সাথে অন্য কিছু যোগ করা ওলামায়ে দ্বীন বিদআত বলেছেন।


  1. والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা-১৩২৫৫: আসসালামু আলাইকুম। "মহিলা যদি স্বামীর হক সঠিকভাবে জানতো, তাহলে তার দুপুর অথবা রাতের খাবার খেয়ে শেষ না করা পর্যন্ত তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতো।" এই হাদিস শরিফটির আরবি ইবারত দরকার ছিল ‌

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩২৫৫: 

আসসালামু আলাইকুম।  "মহিলা যদি স্বামীর হক সঠিকভাবে জানতো, তাহলে তার দুপুর অথবা রাতের খাবার খেয়ে শেষ না করা পর্যন্ত তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতো।" এই হাদিস শরিফটির আরবি ইবারত দরকার ছিল ‌

তারিখ:২৩/০৬/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  আখতারুজ্জামান দিনাজপুর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার বর্ণনা মোতাবেক হাদিস শরীফটি নিম্নরূপ:


٩٣٩٠ - لَوْ تَعْلَمُ المَرْأَةُ حَقَّ الزَّوْجِ لَمْ تَقْعُدْ مَا حَضَرَ غَدَاؤُهُ وَعَشَاؤُهُ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهُ

(طب) عن معاذ.

[حكم الألباني]

 (صحيح) انظر حديث رقم: ٥٢٥٩ في صحيح الجامع

الجامع الصغير وزيادته ١/‏٩٣٩٠ — الجلال السيوطي (ت ٩١١)


হজরত মুআজ বিন জাবাল রা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "মহিলা যদি স্বামীর হক সঠিকভাবে জানতো, তাহলে তার দুপুর অথবা রাতের খাবার খেয়ে শেষ না করা পর্যন্ত তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতো।" এই হাদিস শরিফটির আরবি ইবারত দরকার ছিল । তাখরিজ: জামেউস সগির-৯৩৯০


নোট: হাদিস শরিফ টির সনদ সহিহ।


  والله اعلم بالصواب

পিডিএফ ডাউনলোড-১১৯: যে গল্পে হৃদয় জুড়ে ৯ম খণ্ড -মাওলানা মফিজুল ইসলাম হাফি

No Comments

 


কিতাবটি পাঠ বা ডাউনলোড করতে ডাউনলোড করুন লেখায় ক্লিক করুন-


ডাউনলোড করুন

পিডিএফ ডাউনলোড-১১৮: তাসফিরে মাআরেফুল কুরআন ৪র্থ খণ্ড -মুফতি শফি রহ.

No Comments

 


কিতাবটি পাঠ বা ডাউনলোড করতে ডাউনলোড করুন লেখায় ক্লিক করুন-


ডাউনলোড করুন

জিজ্ঞাসা-১২৫০২: হালাল রুজি উপার্জন ফরজ ইবাদতের পরে একটি ফরজ" এটা কি হাদীস? হাদীস হলে কোন কিতাবের?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৫০২

আসসালামু আলাইকুম। " হালাল রুজি উপার্জন ফরজ ইবাদতের পরে একটি ফরজ" 

এটা কি হাদীস? হাদীস হলে কোন কিতাবের,?

তারিখ:  ২/০৩/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ফরিদপুর  থেকে


   জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,

হ্যাঁ, এটি হাদিস। নিম্নে তা তাখরিজসহ উল্লেখ করা হলো।


عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان


আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয। তাখরিজ: বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান-৮৩৬৭

 

  1. والله اعلم بالصواب


*জিজ্ঞাসা-১২৪৯৯: মহিলাদের মুখমন্ডল আবৃত করা ফরজ কিনা এ বিষয়ে ওলামাদের এখতেলাফ এবং দলিলসমূহ জানতে চাচ্ছি। ইমাম ইবনে তাইমিয়ার এ ক্ষেতে অভিমত কি?*

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৪৯৯

আসসালামু আলাইকুম।

মহিলাদের মুখমন্ডল আবৃত করা ফরজ কিনা এ বিষয়ে ওলামাদের এখতেলাফ এবং দলিলসমূহ জানতে চাচ্ছি। ইমাম ইবনে তাইমিয়ার এ ক্ষেতে অভিমত কি?

তারিখ:  ১৬/০৩/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

মাওলানা  মুহাম্মদ জিয়াউল হক নোয়াখালী থেকে


   জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,

 আলহামদুলিল্লাহ ইতোমধ্যে আলবুরহানে জিজ্ঞাসা -২২৩ শিরোনামে মাসয়ালাটি আলোচিত হয়েছে। লিংকটি পুনরায় শেয়ার করা হলো:



এই মাসয়ালাটির সমাধান দেখতে এখানে ভিজিট করুন




https://al-burhaan.blogspot.com/2022/07/blog-post_7.html


 


    পিডিএফ ডাউনলোড-১১৭: অশ্রুভেজা কাহিনী সিরিজ ৮ম খণ্ড -মাওলানা মফিজুল ইসলাম হাফি

    No Comments

     


    কিতাবটি পাঠ বা ডাউনলোড করতে ডাউনলোড করুন লেখায় ক্লিক করুন-


    ডাউনলোড করুন

    জিজ্ঞাসা-১২৪৯৮: সুন্নাত/ নফল ইমামের পিছনে ফরজ সালাত আদায় করা বৈধ হবে কি?

    No Comments

     



    প্রশ্ন-১২৪৯৮ 

    আসসালামু আলাইকুম। আমার জানার বিষয়, 

    *** মাহে রমজানে মসজিদে দেরীতে গিয়ে আলাদাভাবে এশার জামায়াত শুরু করে ইমাম সাহেবের তারাবীহ’র সালাতে সমস্যা সৃষ্টি করা জায়েজ নয় । 


    বরং ইমামের তারাবীহ’র পেছনে এশার ফরজের নিয়ত করতঃ নামাজ আদায় করবেন । ইমাম সাহেবের সালাম প্রদানের পর বাকি থাকা রাকাতগুলো সম্পন্ন করার পর তারাবীহ’র সালাতে যোগ দেবেন । 


    *** নফল/ সু্ন্নত আদায়কারী ব্যক্তির পেছনে ফরজ নামাজ পড়া জায়েজ । 

    ছহীহুল বোখারি ৫৭৫৫

    ছহীহ মুসলিম ৪৬৫

    এটা কি সঠিক, দলিলসহ জানালে উপকৃত হতাম।


    তারিখ   ১৫ / ০৩ / ২৩ ঈসায়ী / ইংরেজি                       


    হাফেজ মাওলানা বাহাউদ্দিন চাঁদপুর  থেকে

       حق :   وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته    

     نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم           

     

    তাসলিম ও হামদ সানার পর   প্রথম কথা ,

    নফল বা সুন্নাত সালাত আদায়কারী ইমাম/ব্যক্তির পিছনে ফরজ সালাত ইকতিদা সহিহ  হবে কি, এ বিষয়ে ইমামদের মতভেদ রয়েছে।


    (০১) ইমাম শাফেয়ি রহঃ এর মতে,

    الشافعية قالوا: يصح اقتداء المفترض بالمتنفل مع الكراهة

    শাফেয়ী মাযহাবের ফিকহবেত্তাগণ বলেন, ফরজ নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যদি নফল সালাত আদায়কারী ব্যক্তি মুসল্লীর মুক্তাদী হয়ে নামাজ পড়ে , তাহলে তা আদায় হয়ে গেলেও মাকরূহ হবে। সূত্র: কিতাবুল ফিকহি আলাল মাজাহিল আরবাআ -১ম খন্ড, ৩৮০ পাতা; আব্দুল রহমান আলজাযরি।


    (০২) আহলে হাদিসের মতে জায়েজ।


    আর (০৩)

    لا يجوز نفل خلف فرض، ولا فرض خلف نفل، ولا خلف فرض آخر، قاله الحسن البصري والزهري ويحيى بن سعيد الأنصاري وربيعة وأبو قلابة، وهو رواية عن مالك، وقال الثوري وأبو حنيفة: لا يجوز الفرض خلف نفل آخر الزولة النفل خلف فرضي وروي عن مالك مثله. انتهى


    আর ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম হাম্বল হাসান বসরি, ইমাম ইউহরি, ইয়াহইয়া বিন সাঈদ, রবিয়া, সুফিয়ান সাওরি মুখের ইমামের, সুন্নাত/নফল আদায়কারী পিছনে ফরজ ফরজ সালাত ইকতিদা জায়েজ নেই। তবে ফরজ আদায়কারীর পিছনে  নফল পড়তে পারবে।


    প্রশ্নঃ ক। আহলে হাদিসের দলিল কি?


    উত্তর: ক। তাদের দলিল রূপ:

    عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: «أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ، وَسَلَّمَوَ عَلَيْهِ، وَسَلَّمَوْيُمِيُ»


    হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাহ. অনেক থেকে। মুয়াজ বিন জাবাল রা. রাসূল (ﷺ) এর সাথে সালাত পড়ান, তারপর ফিরে গিয়ে তার কাওমের ইমামতি করতেন। বুখারী, নং-৭০০


     

    প্রশ্নঃ খ. ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, এবং ইমাম হাম্বল রহ. এর দলিল কি?


    উত্তর: খ। তিন ইমামের দলিল নিম্নরূপ:


     হাদিস নং-০১

    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: ” إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ، لِيُؤْتَمُهُ فَلْتِمِهُ لِيُؤْتَمُهُ فَلْمَامُ جُعِلَ الإِمَامُ، لِيُؤْتَمُهُ فَلْتِمْ

    অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ অনেক থেকে। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, অনুসরণ করার জন্য ইমাম বলা হয়, তাই তার বিদ্ধাচারণ না করবে। তাখরিজ সহীহ বুখারী, সংখ্যা নং-৭২২



    ব্যাখ্যা: জবাবে ইমামের বিরুদ্ধাচারে বলা হয়েছে, আর ইমাম যখন নফল/সুন্নাত নামাযের গতি, আর মুসল্লি গণের তার পরে নি ফরজ নামাযরুদ্ধে দাঁড়ায়, তা পরিস্কার তার বিদ্ধাচরণ। ইক্তিদা কিভাবে সহীহ হতে পারে? 


     


    হাদিস/আসার নং-০২


     হযরত কাতাদাহ রাহ. থেকে মাত্রা, হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব ও হাসান বসরী রাহ. তিনি বলেন, ব্যক্তি যোহরের জামাত মনে করে আসরে নামাযরত জামাতে শরীক এবং নামাযের পর সে জানতে পারল, তারা আসর হল বলেছে, ব্যক্তি আসর ও যোহর নামাযের বড়।'-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৩/৫২৪।


    এই হাদিসে আমরা দেখতে পাই মুক্তির ইমামের বিপরীতে নামাজের কারণে নামাজ হয়নি। তাই ফরজ নামাযীকারী ব্যক্তি নফল/সুন্নাত নামাজ কিভাবে হবে?


    প্রশ্নঃ গ। আহলে হাদিসের দলিলের খণ্ড/ জবাব  কি?


    উত্তর: গ। عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: «أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ، وَسَلَّمَوَ عَلَيْهِ، وَسَلَّمَوْيُمِيُ»


    হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাহ. অনেক থেকে। মুয়াজ বিন জাবাল রা. রাসূল (ﷺ) এর সাথে সালাত পড়তেন, তারপর ফিরে গিয়ে তার কাওমের ইমামতি করতে। বুখারী, নং-৭০০


     


    বুখারীর মেয়েতে মুয়াজ রা. যে নামাযী নবীজীর পিছনে ফিরেন, ঠিক সেই নামাযতির ইমামই আবার যেতে যাচ্ছেন না? তা পরিস্কার আসেনি।কিন্তু অন্যান্য কিতাবে তা আসবে।


    এখানে বিষয় হল, এটি মুয়াজ রা. এর একটি ব্যক্তিগত আমল ছিল। তুষ্টি প্রকাশ হলে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন? ব্যাপারটা বিস্তারিত প্রশ্ন


    عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ الزُّرَقِيُّ: أَنَّ رَجُلًا، مِنْ بَنِي سَلِمَةَ يُقَالُ لَهُ سَلِيمٌ أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ: إِنَّا نَظَلُّ فِي أَعْمَالِنَا , فَنَأْتِي حِينَ نُمْسِي , فَنُصَلِّي فَيَأْتِي مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ , فَيُنَادَى بِالصَّلَاةِ , فَنَأْتِيهِ فَيُطَوِّلُ عَلَيْنَا. فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مُعَاذُ لَا تَكُنْ فَتَّانًا , إِمَّا أَنْ قَنَ تُصَلِّيَ مَعِي , وَخَمْ تُصَلِّيَ مَعِي»


    হযরত মুয়াজ বিন রিফাআ যুরকী রা. অনেক থেকে। বনী সালামার এক ব্যক্তি যার নাম ছিল সালিম। তিনি (ﷺ) এর কাছে বাস্তবতা। এসে বললেন, আমরা কাজকর্মে ব্যস্ত। সন্ধ্যায় ফিরে এসে সালাত পাঠ করি। তখন মুয়াজ বিন জাবাল আসে। সালাতের জন্য আহবান করে। তখন আমরা নামায দখল আসি। তখন মুয়াজ নামায অনেক দীর্ঘস্থায়ী করে। [ফলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়, এ অভিযোগ] তখন নবীজী (ﷺ) বললেন, হে মুয়াজ! ফিতনাকারী হতে হতে, তুমি আমার সাথে নামায পড়ো অথবা তোমার কওমের সাথে সংক্ষেপে সালাত পড়। তাখরিজ: দামী শরীফ, দল নং-২৩৬২, আল-মুজামুল কাবীরলিতাবরানী, সংখ্যা নং-৬৩৯১


     এ ভোটার মোটামুটি পূর্ণতা পাওয়া যাচ্ছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, নবীজী (ﷺ) মুয়াজ রা. কে বলেছে, তুমি সতর্ক, আমার সাথে নামায পড় অথবা কওমের সাথে সংক্ষেপে নামা পড়ো।


    এ বিষয়ে ইমাম আবু জাফর তাহাবি রহ.  বলেন,


    بَابُ الرَّجُلِ يُصَلِّي الْفَرِيضَةَ خَلْفَ مَنْ يُصَلِّي تَطَوُّعًا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , «أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ» , ثُمَّ يَرْجِعُ فَيُصَلِّيَهَا بِقَوْمِهِ فِي بَنِي أَسْلَمَةَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي بَابِ الْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ. فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ يُصَلِّي النَّافِلَةَ , وَيَأْتَمَّ بِهِ مَنْ يُصَلِّي الْفَرِيضَةَ , وَاحْتَجَذَوا الْاْهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ لِرَجُلٍ أَنْ يُصَلِّيَ فَرِيضَةً خَلْفَ مَنْ يُصَلِّ نَةً. وَقَالُوا: لَيْسَ فِي حَدِيثِ مُعَاذٍ هَذَا أَنَّ مَا كَانَ يُصَلِّيهِ بِقَوْمِهِ , كَانَ نَافِلَةً لَهُ أَوْ فَرِيضَةً. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ , كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَافِلَةً , ثُمَّ يَأْتِي قَوْمَهُ فَيُصَلِّي بِهِمْ فَرِيضَةً , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَلَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرِيضَةً وَسَلَّمَ فَرِيضَةً , ثُمَّ يُصَلِّوَ تَعْتِمُ كَمْ ذَكُمْ تَقَوْتًا فَلَمَّا كَانَ هَذَا الْحَدِيثُ يَحْتَمِلُ الْمَعْنَيَيْنِ , لَمْ يَكُنْ أَحَدُهُمَا أَوْلَى مِنَ الْآخَرِ , وَلَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ أَنْ يَصْرِفَهُ إِلَى أَحَدِ الْمَعْنَيَيْنِ دُونَ الْمَعْنَى الْآخَرِ إِلَّا بِدَلَالَةٍ تَدُلُّهُ عَلَى ذَلِكَ. ثُمَّ يُصَلِّي بِقَوْمِهِ تَطَوُّعًا كَمَا ذَكَرْتُمْ. فَلَمَّا كَانَ هَذَا الْحَدِيثُ يَحْتَمِلُ الْمَعْنَيَيْنِ , لَمْ يَكُنْ أَحَدُهُمَا أَوْلَى مِنَ الْآخَرِ , وَلَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ أَنْ يَصْرِفَهُ إِلَى أَحَدِ الْمَعْنَيَيْنِ دُونَ الْمَعْنَى الْآخَرِ إِلَّا بِدَلَالَةٍ تَدُلُّهُ عَلَى ذَلِكَ. ثُمَّ يُصَلِّي بِقَوْمِهِ تَطَوُّعًا كَمَا ذَكَرْتُمْ. فَلَمَّا كَانَ هَذَا الْحَدِيثُ يَحْتَمِلُ الْمَعْنَيَيْنِ , لَمْ يَكُنْ أَحَدُهُمَا أَوْلَى مِنَ الْآخَرِ , وَلَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ أَنْ يَصْرِفَهُ إِلَى أَحَدِ الْمَعْنَيَيْنِ دُونَ الْمَعْنَى الْآخَرِ إِلَّا بِدَلَالَةٍ تَدُلُّهُ عَلَى ذَلِكَ.

    فَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: فَإِنَّا قَدْ وَجَدْنَا فِي بَعْضِ الْآثَارِ أَنَّ مَا كَانَ يُصَلِّيهِ بِقَوْمِهِ هُوَ تَطَوُّعٌ , وَأَنَّ مَا كَانَ يُصَلِّيهِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرِيضَةٌ

    وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ ,


    2360 - مَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , عَنْ عَمْرٍو , قَالَ: أَخْبَرَنِي جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «أَنَّ مُعَاذًا كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ , ثُمَّ يَنْصَرِفُ إِلَى قَوْمِهِ فَيُصَلِّيَهَا بِهِمْ , هِيَ لَهُ تَطَوُّعٌ , وَلَهُمْ فَرِيضَةٌ» فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ , أَنَّ ابْنَ عُيَيْنَةَ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , كَمَا رَوَاهُ ابْنُعَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ أَخْبَرَهُ بِهِ لَأَقَرَّهُ عَلَيْهِ أَوْ غَيْرُهُ. وَهَذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا لَمَّا أَخْبَرَهُ رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعٍ أَنَّهُمْ كَانُوا يُجَامِعُونَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا يَغْتَسِلُونَ , حَتَّى يُنْزِلُوا. فَقَالَ لَهُمْ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: فَأَخْبَرْتُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ , فَرَضِيَكُ؟ , قَالَ: لَا , فَلَمْ يَجْعَلْ ذَلِكَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حُجَّةً. فَكَذَلِكَ هَذَا الْفِعْلُ , لَوْ ثَبَتَ أَنَّ مُعَاذًا فَعَلَهُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ بِأَمْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ لَوْ ثَبَتَ أَنَّ مُعَاذًا فَعَلَهُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ بِأَمْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ لَوْ ثَبَتَ أَنَّ مُعَاذًا فَعَلَهُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ بِأَمْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ




     নফল অনুসরণকারী অনুসরণ ফরজ পড়া অধ্যয়ন

    অর্থ: আবু জাফর তাহাবি (রাহঃ) তিনি বলেন, জাবির ইবন আবদ (রাযঃ) থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে যে, মু'ইবন জাবাল (রাযিঃ) পুলিশে (ﷺ)-এর সাথে ইসালাতে গিয়ে তিনি নিজের গাত্রে বন সালিমায় গিয়ে নিজের গাত্রের গাত্রকে নিয়েছিলেন। সালাত পড়ান। এটি আমরা 'মগরিবের সালতারা কিরাআত 'অনুচ্ছেদ' উল্লেখ করেছি।

    একদল আলিম এ মত পাকেশন করেছেন যে, কেউ তার অনুসরণ ফরয দেখানকারী

    ইতিদা করতে এবং তারা এ সদস্য দ্বারা দলিল পেশ করেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর

    আলিম গণের বিরায়েধিতা করে লেখক বলেছেন: ইতিবাদের জন্য ইতিদায করা জায়িয নেই এবং কর্তাব্যক্তি (রায্যঃ)-এর এ-তার মুহুর্তের বিষয় উল্লেখ নেই, তিনি নিজের গােত্রের ব্লাকদের সালাত নিয়ে তার জন্য ফরয করেছেন। ছিল। হতে পারে তার সাথে পুলিশ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ফলন তারপর নিজের গাঁয়ে এসে ফরয নির্বাচন। যদি মনে হয় এরূপ হয়ে থাকে তাহলে এ তােমাদের স্বপক্ষে দলীল হবে না। অথবা ফরয রয়েছে যে, তিনি দলের নেতা (ﷺ)-এর সাথে আবার নিজের গাত্রের লাকেদের নিয়ে ফল দিয়েছেন, যেমন তামরা উল্লেখ করেছেন। যখন এ পরিবারের সদস্যদের অর্থের প্রয়োজন রয়েছে তাই অপরটির উপর একটি প্রাধান্য পেতে পারে এবং কোন রূপ ব্যতীত অন্য কোন শর্তের অর্থ গ্রহণ করা উচিত নয়।

    প্রথম দল আলেম গণের লেখকঃ আমরা অবশ্যই হাদিসে বড়দের নিয়ে যে কোন লোকদের নিয়ে – সালাত কাউন্সিলন তা নন ছিল এবং সালাত দলের (সালগুলি) সাথে যার সাথে তার নিজের কোন ফলন তাজ ছিল। আর তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত দলটি পেশ করেছেনঃ


    ২৩৬০। ইব্রাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... বর্ণনা আমর (রাহঃ) থেকে করেন, তিনি বলেন, আমাকে জা (রাযিঃ) সংবাদদাতা, “মুআযয় (রাযিঃ) পুলিশ্‌ (ﷺ)-এর সাথে ইশা'র সালাত। কিভাবে করতে হবে। তারপর নিজের গোত্রের সামনে নিয়ে আসা নিয়ে সালাত প্রাপ্তি। তার জন্য নফল এবং তাদের ফরযের জন্য।

    (ক) তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দল আলিমদের দলীল হচ্ছে এই যে, আমার ইবন দীনার (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটি যেমনিভাবে ইবুন জুরায়জ (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন অনুরূপভাবে ইবুন উয়ায়না (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। এবং তিনি এটিকে ইব্‌ন জুরায়জ (রাহঃ) অপেক্ষা পরিপূর্ণ ও উত্তম রূপে রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু এতে তিনি সেই বাক্যটি বলেননি যা ইবন জুরায়জ (রাহঃ) বলেছেন অর্থাৎ “তা হতাে তার জন্য নফল এবং তাদের জন্য ফরয”। অতএব সম্ভাবনা রয়েছে যে, এটি হয়তাে ইবন জুরায়জ (রাহঃ) অথবা আমর ইবন দীনার (রাহঃ) অথবা জাবির (রাযিঃ)-এর উক্তি । তিনজনের যার উক্তি-ই হউক না কেন এতে কিন্তু মু'আয (রাযিঃ)-এর কর্মের স্বরূপ উৎঘাটনের কোন দলীল বিদ্যমান নেই যে, এটি এরূপ ছিলাে বা ছিল না (অর্থাৎ তার সালাত নফল ছিলাে অথবা ফরয) যেহেতু তারা কেউ মু'আয (রাযিঃ)-এর উক্তি উদ্ধৃত করেননি বরং তারা নিজ নিজ উক্তি ব্যক্ত করেছেন যে তা অনুরূপ ছিলো। বাস্তব ঘটনা এর পরিপন্থী হতে পারে। আর যদি ধরে নেয়া হয় যে, এটি

    মু'আয (রাযিঃ) থেকে ব্যবহারিত, তাহলেওকে কোন রূপ দলীল-বিদ্যা নেই যে, দলের সদস্য (ﷺ) নির্দেশে চলছিল এবং এটিও প্রয়োগিত নয় যে, যদি মাতাল (ﷺ) তাঁকে সম্পর্কে বলা হয় তাহলে তার উপর অনেকটাই রাখান। তাকে অন্য কোন হুকুম করতে।

    ইবনে উম ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-রিফাবন রাফি' (রাযিঃ) যখন, সেখানে ই এমপি (ﷺ) এর যুগে স্ত্রী সংবাদ সহবাস করতে এবং বীর্য স্খলন নাভি পর্যন্ত গোসল না করতে। তাদের কে উমর (রাযিঃ) বললেন, এ বিষয়ে তামরা কি এমপি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অবহিতে এবং এ বিষয়ে তিনি আমাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন? তিনি বললেন, না। এটিকে উমর (রাযিঃ) দলিল হিসাবে গ্রহণ করেন। অনুরূপ এ কর্মটিও। যদি দেখাত হয় যে, মুআযিঃ (রাযিঃ) দলের ছাত্রে (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগ এটি করেছেন, কিন্তু কোনরূপ দলীল নেই যে, এটি তিনি সামনের পক্ষ-এর নির্দেশ দিয়েছেন।

    (খ) অবশ্যই আমরা সামনের পক্ষ থেকে এর পরিপূর্ণ রিওয়ায়াত করেছি।


    অংশের ব্যাখ্যা:

    এ জন্যে এটা পরিস্কার যে, হযরত মুআয রা. রসূল সস।- এর উত্তর নামায পড়ে কওমে আবার ঐ নামায পড়াতেন। তবে এটা পরিস্কার নয় যে, হযরত মুআয রা. রসূল সস।-এর উর্ধ্বতন ফরয প্রাপ্ত আর কওমে এসে নফল অর্জন করুন। আমার পূর্ববর্ণিত বর্ণনায় একই রকম নামায এক দু'বার পাঠ সহ নিষেধাজ্ঞার দ্বারা এটি পরিপূর্ণ হয় যে, হযরত মুআ রা. ইশার নামায একবারই ভোট; যে নামাযে তিনি তাঁর কওমের ইমামতি করেছেন। আর রল্‌ল স.-এর উল্লেখ উল্লেখ করা মাযয তাঁর নফল। এ ব্যাখ্যা সমর্থন হলে মারফু'র সদস্য এবং সাহাবার আমলের মধ্যে কোন বিরোধ থাকে না। আর সাংগঠনিক কারণে নফল নামায্যকারীর স্বতন্ত্র ফরয্যকারীর ইক্তা দলীলও এ দলিলও এ সমর্থন দ্বারা দেখা না। এ ব্যাখ্যার বিপরীতে যে সব অংশে রয়েছে: هِيَ لهُ تَطَوُّعٌ , وَلَهُمْ فَرِيضَةٌ “হযরত মুআ রা. যে নামায তাঁর কওমে পড়তে গিয়ে পড়ুন তা তাঁর জন্য নফল, আর কওমের জন্য উল্লেখযোগ্য ফরয”। (তাহাবী: খ--১ পৃষ্ঠা-২৭৩, সদস্য নং-২৩৬০) এটা সত্য হযরত মুআয রা. - নিজের মন্তব্য নয়; আমার এটা অন্যদের মতামতের প্রসূত মন্তব্য যা অপরের নিয়তের ক্ষেত্রে দলিল গ্রহণযোগ্য নয়। উপরন্তু, আমর বিন দীনার বৌয়ে আইয়ূব সিখিয়ানী, (বুখারী: ৬৭৬) মানসুর বিন মু'তামির (মুসলিম: ৯২৬) এবং সুফ বিন উইয়াইনাও বর্ণনা বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম: ৯২৪) কিন্তু বর্ণনায় ঐ শব্দটি (هِيَ لَهُ تَطَوُّعٌ..) নেই। আবার যদি মালিকও আযান হয়, হযরত মুযযা রা. ইশার ফর নামায রসূল অফিস স.- এর প্রথম ঐ অংশ নিতে, আর দ্বিতীয় বার নামাযের ইমামতি করতে প্রশ্ন উঠবে, এটা রসূল কাউন্সিলস। থেকে কি না? কোন অবস্থানের বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্যাপক মুসনাদে আহমাদের এক বর্ণনায় বেশ পরিস্কারভাবে উলেসন্নখ আছে, রসূল অফিস সস। হযরত মুআয রা. বলেছেন, إِمَّا أَنْ تُصَلِّيَ مَعِي، وَإِمَّا أَنْ تُخَفِّفَ عَلَى قَوْمِكَ “হযরত আমার সাথে নামায পড়ো অথবা সহজ করো”। (মুসনাদে আহমাদ: ২০৬৯৯, তাহাবী: খ--১, পৃষ্ঠা-২৬৪, কথা নং-২৩৬২) মুসনাদে আহমাদের তাহকীকে শায়খ শুআইব আরনাউত রাহ। এ যোগে সহীহ লিগাইরিহী লেখক। এরাবী ব্যাখ্যায় ইমাম তাহাবী রাহ. বলেন:فَقَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا لِمُعَاذٍ , يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُ أَحَدَ الْأَمْرَيْنِ , إِمَّا الصَّلَاةَ مَعَهُ , أَوْ بِقَوْمِهِ , وَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَجْمَعُهَا “রসূলুল্লাহ স. ব্যক্তিগত মুআয্য।কে এ কথা বলায় তার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, রসূল পরিষদ। সতর্কতা রসূল স.-এর সাথে নামায পড়া। নয়তো তাঁর কাওমের নামায পড়ানো। এ দু'টি একত্রিত করতে সুবিধা না। (তাহাবী: খ--১, পৃষ্ঠা-২৬৪) يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُ أَحَدَ الْأَمْرَيْنِ , إِمَّا الصَّلَاةَ مَعَهُ , أَوْ بِقَوْمِهِ , وَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَجْمَعُهَا “রসূলুল্লাহ স. ব্যক্তিগত মুআয্য।কে এ কথা বলায় তার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, রসূল পরিষদ। সতর্ক রসূল স.-এর সাথে নামায পড়া। নয়তো তাঁর কাওমের নামায পড়ানো। এ দু'টি একত্রিত করতে সুবিধা না। (তাহাবী: খ--১, পৃষ্ঠা-২৬৪) يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُ أَحَدَ الْأَمْرَيْنِ , إِمَّا الصَّلَاةَ مَعَهُ , أَوْ بِقَوْمِهِ , وَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَجْمَعُهَا “রসূলুল্লাহ স. ব্যক্তিগত মুআয্য।কে এ কথা বলায় তার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, রসূল পরিষদ। সতর্ক রসূল স.-এর সাথে নামায পড়া। নয়তো তাঁর কাওমের নামায পড়ানো। এ দু'টি একত্রিত করতে সুবিধা না। (তাহাবী: খ--১, পৃষ্ঠা-২৬৪) - এর সাথে নামায পড়া। নয়তো তাঁর কাওমের নামায পড়ানো। এ দু'টি একত্রিত করতে সুবিধা না। (তাহাবী: খ--১, পৃষ্ঠা-২৬৪) - এর সাথে নামায পড়া। নয়তো তাঁর কাওমের নামায পড়ানো। এ দু'টি একত্রিত করতে সুবিধা না। (তাহাবী: খ--১, পৃষ্ঠা-২৬৪) 

    এ প্রশংসা দ্বারা পরিস্কার মূল্য আসে যে, হযরত মুজায রা. ইশার ফর নামায রসূল সস।- এর ইতিহাস পড়ে দ্বিতীয়বার ঐ একই নামাযে ইমাম করার অনুমতি রসূলটি সসলতি। দেননি। তাহলে এটা কিভাবে ফরয নামাযের মত গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়ের দলিল হতে পারে? সর্বোপরি কথা বলার উপর দলের পক্ষের বক্তব্য যদি এটা মনে হয়, তাহলে সতর্কতা কামনা করা হবে এ জাতীয় বিতর্কিত বিষয় ফরয নামাযকে বাঁচিয়ে রাখা।

    —তাহাবী শরীফ, নং ২৩৬০


    সার কথা, 

    ومن شروط الإمامة أن لا يكون الإمام أدنى حالاً من المأموم، فلا يصح اقتداء مفترض بمتنفل، إلا عند الشافعية، فانظر مذهبهم تحت الخط (١) , وكذا لا يجوز اقتداء قادر على


    সালাতের জামাত/ ইমামতি বৈধ হওয়ার অন্যতম একটি  শর্ত হলো,  সার্বিক দিক থেকে ইমাম মুক্তাদীর তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ হওয়া চলবেনা।  সেই বিবেচনায়, ফরয সালাত আদায়কারী মুসল্লী নফল নামাজ আদায়কারী ব্যাক্তির মুক্তাদী হয়ে সালাত আদায় করলে তা  শুদ্ধ হবেনা। কারণ নফলের তুলনায় ফরজ অধিক তাৎপর্যসমৃদ্ধ ও গুরুত্ববহ।

    আপনার প্রশ্ন, প্রাধান্য মত অনুযায়ী তারাবিহর ইমামের পিছনে ইশার ফরজ সালাত আদায় করা শুদ্ধ হবে না। উক্ত সালাত বাতিল বলে গণ্য হবে। তাই তিনি একাকী ফরজ ও দুরাকাত সুন্নাত আদায় করবে, তারপর তারাবিহর নামাজে শরিক হবে। সূত্র: কিতাবুল ফিকহি আলাল মাজাহিবিল আরবাআ -১ম খন্ড, ৩৮০ পাতা; আব্দুল রহমান আলজাযিরি।


    শেষ কথা বলা,  এ অঞ্চলে ফিকহে হানাফী অনুসারে কুরআন -সুন্নাহ উপর আমল করা হয়। তাই শরীয়ত  প্রয়োজন ছাড়া বিপরীত ফতোয়া দিয়ে বিভ্রান্তে ফেলা উচিত নয়। বাহু: আততামহীদ ২৪/৩৬৭; আলমাজমূ' ৪/১৬৯; ফাতহুল বারী ২/২২৬; কিতাবুল উম্মাহ ১/২০০; আলমুহীতুল বুরহানি ২/১৯৬; যাখীরা ২/২৪২; আলমুনতাকা, ইবনে মিডিয়ামিয়া ১/৬৩২; তাসহুল ২/৪৯৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৩/৫২৪


     

    1. و الله  اعلم بالصواب 

    Stylo

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। পোষ্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে করে যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর