আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৪৮৮: মসজিদের মুতাওয়াল্লি কে হবে

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৪৮৮:

আস্ সালামুআলাইকুম, শায়েখ আমার জানার বিষয় হলো মসজিদের/ওয়াকফ স্টেট এর মুতাওয়াল্লী হওয়ার অধিকারী কারা হবেন এ বিষয়ে সমাধান জানালে উপকৃত হবো। তারিখ:  ০৭/০৩/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 

মাওলানা  মোঃ আমিনুল ইসলাম, সাভার, ঢাকা থেকে।

   জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,


وإن كان الوقف مسجداً , فتعطل في موضعه , كأن خربت محلته ؛ فإنه يباع ويصرف ثمنه في مسجد آخر , وإذا كان على مسجد وقف زاد ريعه عن حاجته ؛ جاز صرف الزائد إلى مسجد آخر ؛ لأنه انتفاع به في جنس ما وقف له ، وتجوز الصدقة بالزائد من غلة الوقف على المسجد على المساكين


ওয়াকফকারী কোন শর্ত না করেন সেক্ষেত্রে হকদার হিসেবে গরীব-ধনী, নর-নারী সবাই সমান। যদি ওয়াকফকারী কোন মুতাওয়াল্লি (তত্ত্বাবধায়ক) নিযুক্ত না করেন কিংবা যাকে নিযুক্ত করেছেন তিনি মারা যান তাহলে যার জন্য ওয়াকফ করা হয়েছে তিনি যদি সুনির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি হন তিনিই ওয়াকফের তত্ত্বাবধান করবেন। আর যদি মসজিদের মত কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়াকফ করা হয় কিংবা এমন সংখ্যক মানুষের জন্য ওয়াকফ করা হয় যাদের সংখ্যা অগণিত, যেমন গরীব-মিসকীন; সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধান এই ওয়াকফ সম্পত্তি তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব পালন করবেন কিংবা তার কোন প্রতিনিধিকে দায়িত্ব দিবেন। সূত্র: আহকামুল ওয়াকফ ফাতওয়া নং -১৩৭২০


إذا شرط الواقف النظر على وقفه لنفسه أو غيره واحداًكان أو أكثر جعله مرتباًبينهم كأن يجعل الولاية لفلان فإذا مات فلفلان، إذا شرط ذلك وجب العمل بشرطه لما روي أن عمر – رضي الله عنه – " كان يلي أمر صدقته – أي وقفه – ثم جعله إلى حفصة تليه ما عاشت ثم يليه أولوا الرأي من أهلها" رواه أبو داود.


দানকারীকে তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করা, যে ব্যক্তি তার নিজের বা অন্যদের জন্য, এক বা একাধিক, যদি তার দান-দক্ষিণ দেখার শর্ত স্থির করে, তবে সে তাদের মধ্যে এটির ব্যবস্থা করে দেয়, যেমন অমুক-অমুকের অভিভাবকত্ব, এবং যদি তাই হয়। -এবং-মৃত্যু হল, তারপর তার অবস্থার উপর আমল করতে হবে।

দলিল: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ صَدَقَةِ، عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رضى الله عنه قَالَ نَسَخَهَا لِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا كَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ عُمَرُ فِي ثَمْغٍ فَقَصَّ مِنْ خَبَرِهِ نَحْوَ حَدِيثِ نَافِعٍ قَالَ غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ مَالاً فَمَا عَفَا عَنْهُ مِنْ ثَمَرِهِ فَهُوَ لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ - قَالَ وَسَاقَ الْقِصَّةَ - قَالَ وَإِنْ شَاءَ وَلِيُّ ثَمْغٍ اشْتَرَى مِنْ ثَمَرِهِ رَقِيقًا لِعَمَلِهِ وَكَتَبَ مُعَيْقِيبٌ وَشَهِدَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الأَرْقَمِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَوْصَى بِهِ عَبْدُ اللَّهِ عُمَرُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ حَدَثَ بِهِ حَدَثٌ أَنَّ ثَمْغًا وَصِرْمَةَ بْنَ الأَكْوَعِ وَالْعَبْدَ الَّذِي فِيهِ وَالْمِائَةَ سَهْمٍ الَّتِي بِخَيْبَرَ وَرَقِيقَهُ الَّذِي فِيهِ وَالْمِائَةَ الَّتِي أَطْعَمَهُ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم بِالْوَادِي تَلِيهِ حَفْصَةُ مَا عَاشَتْ ثُمَّ يَلِيهِ ذُو الرَّأْىِ مِنْ أَهْلِهَا أَنْ لاَ يُبَاعَ وَلاَ يُشْتَرَى يُنْفِقُهُ حَيْثُ رَأَى مِنَ السَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ وَذِي الْقُرْبَى وَلاَ حَرَجَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ إِنْ أَكَلَ أَوْ آكَلَ أَوِ اشْتَرَى رَقِيقًا مِنْهُ .


    

 কোন ব্যক্তির কোন সম্পদ ওয়াক্‌ফ করা সম্পর্কে।

অর্থ:  সুলাইমান ইবনে মোহরী (রাহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ‘উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর সাদ্‌কা সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমাকে আবদুল হামীদ ইবনে ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে ‘উমর ইবনে খাত্তাব এরূপ লিখে দিয়েছেনঃ


বিসমিল্লাহির রাহিমানির রাহীম। এ হলো ঐ বর্ণনা, যা ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে ‘উমর ‘ছামাগ’ সম্পর্কে লিখেছিলেন। অতঃপর রাবী নাফি‘(রাহঃ) এর বর্ণিত হাদিসের ন্যায় বর্ণনা করেছেন যে, ধন-সম্পদ জমাকারী হবে না, আর যে ফল তাতে পতিত হবে, তা হবে ভিক্ষুক এবং বঞ্চিতদের অংশ। অতঃপর রাবী এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেনঃ যদি ঐ বাগানের মুতাওয়াল্লী চায়, তবে সে বাগানের ফল বিক্রি করে সে মূল্য দিয়ে বাগানের কাজের জন্য গোলাম খরিদ করতে পারে। আর মু‘আয়কীব এ বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেন এবং ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে আরকাম এর সাক্ষী হন।


‘‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এটা ঐ ওসীয়তনামা, যার ওসীয়ত আল্লাহর বান্দা আমীরুল মু‘মিনীন ‘উমর (রাযিঃ) করেনঃ যদি তাঁর [উমর (রাযিঃ)] উপর কোন দুর্ঘটনা ঘটে (অর্থাৎ তিনি মারা যান), তাহলে ‘ছামাগ’ ইবনে আকুয়ের ‘সুরমা’ [১] এবং সেখানে যে গোলামেরা আছে, তা; আর খায়বারের একশত হিস্‌সা এবং সেখানকার গোলামেরা এবং ঐ একশত ভাগ যা মুহাম্মাদ (ﷺ) আমাকে খায়বারের নিকটবর্তী উপত্যকায় দিয়েছিলেন এ সবের মুতাওয়াল্লী হবে, যতদিন সে জীবিত থাকবে, হাফসা (রাযিঃ)।[২] তাঁর অবর্তমানে, তাঁর পরিবার পরিজনদের মাঝে যারা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হবে তারা এর মুতাওয়াল্লী হবে। এ শর্তে যে, তারা এ বাগান বেচাকেনা করতে পারবে না। কিন্তু যখন কোন ভিক্ষুক, বঞ্চিত, নিকটাত্মীয় বা কোন বন্ধু বান্ধব হবে, তাদের জন্য এ থেকে খরচ করবে। আর এই বাগানের মুতাওয়াল্লী যদি এ থেকে কিছু ভক্ষণ করে, অভাবগ্রস্থদের খাওয়ায় এর মুনাফা হতে (বাগানের কাজের জন্য) কোন গোলাম খরিদ করে, তবে এত কোন দোষ নেই। তাখরিজ: 

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৮৬৯ (আন্তর্জাতিক নং ২৮৭৯)


তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)


সারকথা হলো, ওয়াকফকারী যাকে মুতাওয়াল্লি নিযুক্ত করবেন, তিনিই এর অধিক হকদার।  


উল্লেখ্য যে, মুতাওয়াল্লি ওয়াকফকারীর আত্মীয়- ওয়ারিশ হলে কোন সমস্যা নেই। আর যার মুতাওয়াল্লি নির্ধারিত নেই, তার তত্ত্বাবধায়ক হবে, রাষ্ট্র বা তার প্রতিনিধি ( মেম্বার, চেয়ারম্যান, টিইও, ডিসি ইত্যাদি)

 

 

والله اعلم بالصواب