আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

ফতোয়া লেখার ক্ষেত্রে আল্লামা শামি রহ. এর তাকওয়া

No Comments

 ফতোয়া লেখার ক্ষেত্রে আল্লামা শামি রহ. এর তাকওয়া



 আল্লামা ইবনে আবিদিন শামি রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার কথা। যিনি সারা বিশ্বে ‘রাদ্দুল মুহতার’ ফতোয়ার কিতাব লেখে সাড়া জাগিয়েছেন। যা মূলত ‘ফতোয়ায়ে শামি’ নামে সকলের কাছে পরিচিত। তিনি এতো বড়ো ফকিহ হওয়া সত্ত্বেও ফতোয়া লেখার ক্ষেত্রে তিনি তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তরের প্রতি খেয়াল রাখতেন। 


মুফতিয়ে আজম, মুফতি শফি রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, ‘ফতোয়ায়ে শামি’ তে তিনি সাধারণত কোনো মাসয়ালা নিজের জিম্মায় বর্ণনা করেন না। যথাসম্ভব তিনি পূর্বের কোনো কিতাব বা কারো হাওলায় বর্ণনা করে থাকেন। 


যদি তাঁদের কথার মধ্যে কোনো ধরণের বিরোধ দেখা যেতো আর তা সমাধান করতে হতো, তখনো তিনি সেখানে নিজে কোনো ফায়সালা করেন না। এখানেও তিনি তাঁদের পূর্বের কোনো ফকিহের কথার আশ্রয় নেন। এবং যতক্ষণ না তিনি অপরাগ না হতেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি নিজের মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন। 



আর যেখানে অপরাগ হয়ে নিজের মত প্রকাশ করতে বাধ্য হতেন, সেখানেও তিনি সতর্কতা অবলম্বন করেন। নিজের মত প্রকাশের পর সকলের উদ্দেশ্যে تَأَمَّلْ (তুমি চিন্তা—ভাবনা করো) বা تَدَبَّرْ (তুমি গভিরভাবে চিন্তা করো) বা এজাতীয় কিছু বলে নিজেকে উক্ত মাসয়ালার জিম্মাদারি থেকে মুক্ত করে নেন। আর উক্ত মাসয়ালার জিম্মাদারি পড়–তাদের উপর ছেড়ে দেন। 


এই কারণেই জটিল—কঠিন মাসয়ালাসমূহে আমাদের মতো লোকদের তাঁর কিতাব থেকে পরিপূর্ণ প্রশান্তি মিলে না।’


সূত্র: আওয়ার ইসলাম