আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৬০১- অমুসলিম দেশের হোটলে গোস্ত খাওয়ার হুকুম কি?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা -১২৬০১

আসসালামুয়ালাইকুম মুহতারাম মুকাররাম মাওলানা যারা বিদেশে থাকে বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকা সেখান কার হোটেল বা বাজারের  গোশত খাওয়ার হুকুম কি, রেগুলার জবেহের ব্যাপারে সন্দেহ আছে একটু বিস্তারিত জানাবেন। তারিখ: ২৬/০৫/২৩

মাওলানা আখতারুজ্জামান রং পুর থেকে।


জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,

 নন মুসলিম রাষ্ট্রে অথবা নন মুসলিম হোটেলে যদি মুসলিমদের জন্য হালাল খাদ্য আলাদাভাবে পাক করা হয় এবং তা যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় (ইদানিং অনেক অমুসলিম রাষ্ট্রে হোটেল/স্কুলে মুসলিমদের জন্য হালাল খাদ্যের ব্যবস্থা রয়েছে) তাহলে খাওয়া জায়েজ হবে।

 আর অমুসলিম দেশে জবাইকৃত গরু মুরগির গোশতের হালাল-হারাম এর ব্যাপারে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের ফতোয়া হল; যেগুলো মুসলিম দেশ থেকে এবং মুসলিম কোম্পানি থেকে আমদানি করা হয়, সেগুলো কিনে খাওয়া যাবে।


আর যেগুলো অন্য অমুসলিম দেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো বর্জন করতে হবে।



এ সম্পর্কে শায়েখ উসাইমিন রহ কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি জবাবে বলেন,


هل تذبح على طريق سليم أم لا ؟

فإن لدينا أصلين : الأصل الأول : السلامة ، والأصل الثاني : الورع ؛ فإذا تورع الإنسان منها ، وتركها : فلا حرج عليه . وإن أكلها : فلا حرج عليه ..." .

انتهى من " نور على الدرب" ابن عثيمين (20/2 ـ شاملة) .

আমাদের দুটি নীতি রয়েছে: প্রথম নীতি: সতর্কতা/নিরাপত্তা, এবং দ্বিতীয় নীতি: তাকওয়া; কেউ যদি এর থেকে সতর্ক হয় এবং তা পরিত্যাগ করে তবে তার কোন দোষ নেই। এবং যদি সে তা খায়: তার কোন পাপ নেই..."। সূত্র: নূর ‘আলা আল-দারব-২/২০


সারকথা হলো, যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে এটা শরীয়ত মোতাবেক জবাই করা হয়েছে, তাহলে জায়েজ এবং বাজারের আমদানিকৃত গোস্ত যদি মুসলিম দেশের হয়, তাহলে খাওয়া বৈধ, অমুসলিম রাষ্ট্র হতে আমদানি করা হলে গোশত খাওয়া হারাম হবে আর যদি সন্দেহ হয়, তাহলে না খাওয়াই উত্তম।