জিজ্ঞাসা-১২৪৪৯:
মোটিভেশন ক্লাস: ০৮
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ , " প্রাত্যহিক জীবনে (সামরিক জীবনের) ধর্মীয় মূল্যবোধ" বা এর কাছাকাছি আনুসাঙ্গিক কোন লেশন প্লান, যদি কারো সংগ্রহে থাকে, শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি। ৩০/০১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা ফারুক হুসাইন সিলেট থেকে
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, আলহামদুলিল্লাহ এ সংক্রান্ত আমি একটি স্বতন্ত্র কিতাব লিখতেছি। সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি, আশা করি ফায়দা হবে ইনশাল্লাহ।
সামরিক পেশা হালাল রিজিক অন্বেষণের একটি অংশ
বাংলাদেশ সেনাবহিনী: হালাল রিজিক খাওয়া প্রত্যেক মুমিনের ওপর ফরজ। সামরিক পেশা হালাল রিজিকের অর্জনের একটি অন্যতম পন্থ। একজন সামরিক সদস্য সারা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে, তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে। সুতরাং বলা যায় সর্বোৎকষ্ঠ হালাল রিজিকের অংশ হলো সামরিক পেশা। আসুন আমরা জানবো এ সম্পর্কে ইসলামের নিরর্দেশনা কি?
ইসলাম: হালাল খাবার খাওয়ার জন্য কুরআনের নির্দেশ রয়েছে- যেমন,
মহান আল্লাহ বলেন, یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ کُلُوۡا مِمَّا فِی الۡاَرۡضِ حَلٰلًا طَیِّبًا ۫ۖ وَّ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ অর্থ: হে মানবজাতি, পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে, তোমরা তা আহার করো এবং কোনোক্রমেই শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সূরা বাকারা-১৬৮
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا اللَّهَ وَأَجْمِلُوا فِي الطَّلَبِ فَإِنَّ نَفْسًا لَنْ تَمُوتَ حَتَّى تَسْتَوْفِيَ رِزْقَهَا وَإِنْ أَبْطَأَ عَنْهَا فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَجْمِلُوا فِي الطَّلَبِ خُذُوا مَا حَلَّ وَدَعُوا مَا حَرُمَ " .
অর্থ: হজরত জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, হে লোকেরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং বৈধ উপায়ে জীবিকা অর্জন করো। কেননা কোনো প্রাণীই তার নির্ধারিত রিজিক পূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না, যদিও কিছু বিলম্ব ঘটে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং সৎভাবে জীবিক অর্জন করো। যা হালাল তাই গ্রহণ করো এবং যা হারাম তা বর্জন করো। তাখরিজ: ইবনে মাজাহ-২১৪৪; মিশকাত ৩৫০০
হারাম মাল দ্বারা গঠিত শরীর জান্নাত হারাম: এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে-
وَعَنْ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ جَسَدٌ غُذِّيَ بالحرَامِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
অর্থ: আবূ বকর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে দেহ হারাম খাদ্য দিয়ে প্রতিপালিত হয়েছে, সে দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তাখরিজ: বায়হাক্বী- শুআবুল ঈমান-৫৭৫৯
নামাজ সমাপান্তে রিজিক অর্জন করা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: একজন আদর্শবান সৈনিক আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম ফজরের নামাজ শেষে তার পেশাগত কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সকালবেলা বরকত নাজিল হয় এবং রিজিক অন্বেষণের মোক্ষম সময়। কোন ট্রুপ/ব্যাটালিয়নের মুভের উত্তম সময়। তাই তো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রায় সকল মুভ সেকশন ভোরে যাত্রা করে। আর এটা ইসলামেরও কাম্য যে, মুমিন শুধু ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং নামাজ শেষে তার হালাল রিজিক তালাশ করবে। আসুন এখন আমরা ইসলামের সেই নির্দেশনা জানবো।
ইসলাম: নামাজ সমাপান্তে রিজিক অর্জন করার নির্দেশ: ইসলাম শুধু নিছক ইবাদত-বন্দেগি পালনের ধর্ম নয়। বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ সালাত আদায়ের আল্লাহর জমিনে রিজিক অন্বেষণের তাগিদ করেছেন। যেমন, ইরশাদ হচ্ছে,
আয়াত নং-০১
﴿فَإِذَا قُضِيَتِ ٱلصَّلَوٰةُ فَٱنتَشِرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَٱبۡتَغُواْ مِن فَضۡلِ ٱللَّهِ وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا لَّعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ﴾ [الجمعة:10]
অর্থ: সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে, এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলকাম হও। সূরা জুমাআ-১০
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী (র.) বলেন:
فاذا فرغتم من الصلاة فانتشروا في الأرض للتجارة والتصرع في حوائجكم
‘‘যখন নামায শেষ হয়ে যাবে, তখন তোমরা ব্যবসায়িক কাজকর্ম ও অন্যান্য পার্থিব প্রয়োজনাদি পূরণে বেড়িয়ে পড়ো। কুরতুবী, আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ, আলজামেউ লি আহকামিল কুরআন, খ.১৮,পৃ.৯৬
আয়াত নং-০২
﴿وَءَاخَرُونَ يَضۡرِبُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ يَبۡتَغُونَ مِن فَضۡلِ ٱللَّهِ وَءَاخَرُونَ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۖ﴾ [الجمعة:9]
আল্লাহ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে, কেউ আল্লাহর অনুগ্রহের সন্ধানে দেশভ্রমণ করবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। সূরা মুযযাম্মিল-২০
أي مسافرين في الأرض يبتغون من فضل الله في المكاسب والمتاجر.
আলোচ্য আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন, অর্থ্যাৎ যারা ব্যবসা-বাণিজ্য ও রিযিক উপার্জনের বিভিন্ন উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের অন্বেষায় পৃথিবীতে ভ্রমণরত। সূত্র: আবুল ফিদা ইসমাইল ইবন উমর ইবন কাসীর, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ৮/২৫৮
নবিজি (ﷺ) তার বাহিনীকে সকালে প্রেরণ করতেন:
সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (ﷺ) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুকে বরকতময় করুন। ’ এ জন্যই রাসুল (ﷺ) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, সখর (রা.)-ও তার ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয়। তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। তাখরিজ: আবু দাউদ-২৬০৬
প্রত্যুষে ওঠার উপকার:
প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়। তাখরিজ: মাজমাউজ জাওয়ায়েদ-৬২২০
ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (ﷺ) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, মামণি! ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যে রিজিক বণ্টন করে থাকেন। তাখরিজ: আত-তারগিব ওয়াত তারহিব-২৬১৬
হালাল রিজিক তালাশ করা শরিয়তের অনত্যম ফরজ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: একজন সেনা সদদ্য সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করেন, তার পেশাগত দায়িত্ব পালনার্থে। রাতে আবার নিরাপত্তা পাহারায় নিয়োজিত থাকে। আইপিএফটি পাশ করা যে কত কষ্ট, যে করে সেই বুঝে।
প্রশ্ন: ক। সেনাসদস্যগণ যে তা চাকরি জীবনে কঠোর পরিশ্রম করে, এত কি তার সওয়াব মিলবে?
উত্তর: ক। এ সম্পর্কে আশরাফ কাননের সর্বশেষ ফুল; ভারতের বিখ্যাত আলেম, বুজুর্গ শাহ আবরারুল হক রহ. বলেন, একজন ব্যক্তি মসজিদে বসে তাসবিহ পাঠ করছেন (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুল্লিাহ, আল্লাহু আকবর ইত্যাদি পাঠ করা) আর একজন ব্যক্তি হালাল রিজিকের জন্য গ্রাম-গঞ্জে, শহরের অলিতে-গলিতে ফেরি ওয়ালা হিসেবে হরেক মাল বিক্রি করছেন বা বাদাম বিক্রি করছেন অথবা যে কোন পণ্য বিক্রির জন্য ডাকা-ডাকি, চিল্লা-চিল্লি করছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, সওয়াব বেশি কার? যে মসজিদে তাসবিহ/জিকির-আজকার তিনি, না যিনি পণ্যদ্রব্য বিক্রির জন্য বাদাম বাদাম, ভাই রাখবেন কাপড়, হরেক মাল ইত্যাদি ইত্যাদি। হজরত বলেন, যিনি মসজিদে বসে তাসবিহ-তাহলিল পড়ছেন, তিনি নফলের আমলের সওয়াব পাবেন। কেননা তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করা নফল। আর যিনি হালাল রিজিকের জন্য পথে-ঘাটে চিল্লা-চিল্লি করছেন, তার এ প্রতিটি ডাকাডাকি ফরজ আমলের সওয়াব মিলবে। কারণ হালাল রিজিক অন্বেষণ করা ফরজ। সুতরাং প্রমাণিত হলো, সেনাসদদ্যগণ যে সকালে পিটি,আইপিএফটি করে, তার দৌড়ের প্রতিটি কদমে কদমে, তার শরীরে প্রতি ফুটা ঘামের বিনিময়ে ফরজ আমলের সওয়াব পাবে ইনশাল্লাহ। প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আসুন আমরা দেখবো শাহ আবরারুল হক রহ. এর উক্তির পক্ষে শরিয়তের কোন দলিল আছে কি?
ইসলাম: এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয। তাখরিজ: বায়হাকি শুআবুল ঈমান-৮৩৬৭; আল মুজামুল কবির- ৯৯৯৩
عن رافع بن خديج، قال: قيل: يا رسول الله، أي الكسب أطيب؟ قال: «عمل الرجل بيده وكل بيع مبرور»
হযরত রাফে ইবনে খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, সর্বোত্তম উপার্জন কোনটি? জবাবে তিনি বলেন: ব্যক্তির নিজস্ব শ্রমলব্দ উপার্জন ও সততার ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয়। ইমাম আহমাদ, মুসনাদ, খ.৪, পৃ. ১৪১.
প্রতিটি কাজ বিসমিল্লাহ (আল্লাহর নাম) বা তাঁর প্রশংসা দ্বারা শুরু করা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিরাচরিত ঐতিহ্য হলো কার্য দিবসের প্রারম্ভে পিটির ফলিনে এবং দরবারে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে তথা আল্লাহর নাম/প্রশংসার দ্বারা শুরু হয়। অবশ্যই তা অত্র বাহিনীতে কর্মরত ধর্ম শিক্ষকদের মৌলিক দায়িত্বের একটি। উল্লেখ্য যে, ধর্ম শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে কোন সৈনিক দ্বারা তা পাঠ করা হয়। আসুন আমরা এখন জানবো, আল্লাহর নাম নিয়ে কাজ শুরু করার ইসলামি নির্দেশনা কি?
ইসলাম : যেকোনো কাজে-কর্মে বিসমিল্লাহ (আল্লাহ তাআলার নাম) বা আল্লাহ তাআলার প্রশংসা দ্বারা শুরু না করলে, সেটা অসম্পূর্ণ-বরকতহীন হয়ে যায়। যেমন হাদিসের বাণী-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: "كُلُّ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُبْدَأُ فِيهِ بِحَمْدِ اللَّهِ أَقْطَعُ অর্থ: হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন- প্রত্যেকটি কাজই হচ্ছে বিরাট আর তা আল্লাহর প্রশংসা সহকারে শুরু না করলে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাখরিজ : আবু দাউদ-৪৮৪০; ইবনে মাজাহ-১৮৯৪
নোট : সনদটি হাসান।
বিসমিল্লাহ শব্দের অর্থ, আল্লাহর নামে শুরু করছি। তাই প্রতিটি কাজের শুরুতে (بسم الله) বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা। কেননা ইহা ব্যতিত কর্মটি/কাজটি লেজ কাটা (অপূর্ণাঙ্গ) রয়ে যায়। যেমন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, كُلُّ كَلَامٍ أَوْ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُفْتَحُ بِذِكْرِ اللهِ فَهُوَ أَبْتَرُ – أَوْ قَالَ : أَقْطَعُ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যদি আল্লাহকে স্মরণ না করে শুরু করা হয়, তাহলে তা লেজ কাটা (বরকতহীন) হয়ে যায়। তাখরিজ: মুসনাদে আহমদ ১৪/৩২৯
বিসমিল্লাহর গুরুত্ব :
(০১) এই বিসমিল্লাহই প্রথম ওহি:
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস বলেন, 'জিবরাইল আ. সর্বপ্রথম মুহাম্মদ (ﷺ) এর প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন, তা হচ্ছে জিবরাইল আ. বললেন, হে মুহাম্মদ, আপনি আশ্রয় চান। মুহাম্মদ সা. বললেন, আমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই। অতঃপর জিবরাইল আ. বললেন, হে নবী, আপনি বলুন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। অতঃপর জিবরাইল আ. বললেন, ইকরা বিস্মি। অর্থাৎ আপনি পড়ূন, আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. বলেন, 'এটাই প্রথম সূরা, যা আল্লাহ তায়ালা জিবরাইলের আ. মাধ্যমে মুহাম্মদ সা. এর প্রতি অবতীর্ণ করেন।' সূত্র: ত্বাবারি, তাফসির ইবনু কাছির হা-২৬৩
(০২) হালাল পশুপাখি আল্লাহর নামে জবাই করা ব্যতিত ভক্ষণ জায়েয নয় :
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌঅর্থ: . যেসব জন্তুর ওপর আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি, তার কিছুই তোমরা আহার করো না; তা অবশ্যই পাপ। সূরা আনআম-১২১
যেসব জীবজন্তু আল্লাহর নামে জবাই করা হয়নি, তা আহার করা বৈধ নয়। কোন অমুসলিম জবেহ করলে তা খাওয়া হারাম। আর কোন মুসলিম ভুলক্রমে আল্লাহর নাম না নিলে তা হালাল; কিন্তু ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে তা খাওয়া হারাম। সূত্র : তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন-৪০৬ পৃ.সংক্ষিপ্ত-মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.)
বিসমিল্লাহর ফজিলত:
(০১) উসমান (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোনো বান্দা সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে এই দুআটি পাঠ করে তবে ঐ দিনে ও ঐ রাতে কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। দুআটি এই-
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
আমি সে আল্লাহর নামে শুরু করছি যার নামে শুরু করলে জমিন ও আসমানে কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারে না, আর আল্লাহ তো সব কিছু শুনেন ও সবকিছু দেখেন। তাখরিজ: আবু দাউদ: ৫০৮৮, ইবনে মাজাহ: ৩৮৬৯
(০২) হুজায়ফা (রা.) বলেন: নবী করিম (ﷺ) বলেছেন,
فقال رسول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم-: «إِنَّ الشَّيطَانَ يَستَحِلُّ الطَّعَامَ أَن لاَ يُذْكَرَ اسمُ الله -تَعَالَى- عَلَيه،
অর্থ: শয়তান সেই খাদ্যকে নিজের জন্য হালাল করে নেয়, যে খাদ্যের ওপর বিসমিল্লাহ বলা হয় না। মুসলিম-২০১৭ আবু দাউদ
(০৩) জাবির (রা.) বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘বিসমিল্লাহ বলে তুমি তোমার দরজা বন্ধ কর। কারণ শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। বিসমিল্লাহ বলে বাতি নিভিয়ে দাও। একটু কাঠখড়ি হলেও আড়াআড়িভাবে বিসমিল্লাহ বলে পাত্রের মুখ ঢেকে রাখ। বিসমিল্লাহ বলে পানির পাত্র ঢেকে রাখ।’ বুখারি হাদিস:৩২৮০, মুসলিম হাদিস:২০১২, আবু দাউদ হাদিস: ৩৭৩১, তিরমিজি হাদিস: ২৮৫৭
ফকিহগণের নিকট বিসমিল্লাহ:
Ø ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের একটি মতে অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা ফরজ।
Ø নামাজের প্রত্যেক রাকাতের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া ইমাম আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদসহ আরো বহু ফকিহের নিকট ওয়াজিব।
Ø ইমাম আবু হানিফা (রাহ.) এর মতে সুন্নত।
Ø তবে নামাজ যেন সর্বসম্মতিক্রমে শুদ্ধ হয়, সে জন্য ফাতেহার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া উচিত। সূত্র: আব্দুল হাই লখনবি, সিয়াহ শরহে বেকায়া, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-১৬৯
শারীরিক সক্ষমতা (Physical Fitness) অর্জন করা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে তাদের শারীরিক সক্ষমতা অর্জন এবং তা ঠিক রাখার জন্য সপ্তাহে ৫ দিন নিজ উদ্যাগে ৫০ মিনিট (বর্তমানে) বিভিন্ন আইটেমের পিটি করতে হয়। বছরে দুবার আইপিএফটি (IPFT=Indidual physical Fitness Test) অর্থাৎ ব্যক্তিগত শারীরিক সক্ষমতা যাচাই/পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। ফেল করলে অনেক ভর্ৎসনা ও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। তাছাড়া ব্যক্তিগত পদোন্নতিতে (প্রমোশনে) আইপিএফটিতে পাশ করা শর্ত। আসুন এখন আমরা জানবো ইসলামে শারীরিক যোগত্যর গুরুত্ব।
ইসলাম: ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখার জন্য ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছে। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান প্রতিপালক তার নিপুণ সৃষ্টিরাজিতেও শক্তির সঞ্চার করেছেন। তার ওহির বাহক হজরত জিবরাইল (আ.)-এর শক্তির প্রশংসা তিনি নিজেই করেছেন। যেমন ইরশাদ হচ্ছে-
عَلَّمَهٗ شَدِیۡدُ الۡقُوٰی ۙ অর্থ: তাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী, (ফিরিশতা জিবরীল)। সূরা নজম-০৫
তাফসীরকারদের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এ ব্যাপারে একমত যে, “মহাশক্তির অধিকারী” এর অর্থ জিবরীল আলাইহিস সালাম। সূত্র: ফাতহুল কাদীর
এবং শক্তিশালী মুমিনকে দুর্বল মুমিনের চেয়ে উত্তম ও আল্লাহর নিকট বেশি পছন্দশীল বলা হয়ছে। যেমন পবিত্র হাদিসে এসেছে-
হাদিস নং-০১
عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله ﷺ: «المُؤْمِنُ القَوِيُّ خَيرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنَ المُؤْمِنِ الضَّعيفِ وَفي كُلٍّ خَيرٌ. احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ، واسْتَعِنْ بِاللهِ وَلاَ تَعْجَزْ . وَإنْ أَصَابَكَ شَيءٌ فَلاَ تَقُلْ لَوْ أنّي فَعَلْتُ كَانَ كَذَا وَكَذَا، وَلَكِنْ قُلْ : قَدرُ اللّهِ، وَمَا شَاءَ فَعلَ ؛ فإنَّ لَوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيطَانِ». رواه مسلم
অর্থ: আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, (দেহমনে) সবল মুমিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মুমিন অপেক্ষা বেশী প্রিয়। আর প্রত্যেকের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। তুমি ঐ জিনিসে যত্নবান হও, যাতে তোমার উপকার আছে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর ও উৎসাহহীন হয়ো না। যদি তোমার কিছু ক্ষতি হয়, তাহলে এ কথা বলো না যে, যদি আমি এ রকম করতাম, তাহলে এ রকম হত।’ বরং বলো, আল্লাহর (লিখিত) ভাগ্য এবং তিনি যা চেয়েছেন তাই করেছেন।’ কারণ, যদি’ (শব্দ) শয়তানের কাজের দুয়ার খুলে দেয়। তাখরিজ: বুখারি ২৬৬৪, ইবন মাজাহ ৭৯, ৪১৬৮, আহমদ ৮৫৭৩, ৮৬১১
হাদিস নং-০২
اغْتَنِمْ خَمْسًا قَبْلَ خَمْسٍ: شَبَابَكَ قَبْلَ هِرَمِكَ، وَصِحَّتَكَ قَبْلَ سَقَمِكَ، وَغِنَاءَكَ قَبْلَ فَقْرِكَ، وَفَرَاغَكَ قَبْلَ شُغْلِكَ، وَحَيَاتَكَ قَبْلَ مَوْتِكَ
অর্থ: পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিস আসার আগে গনিমতের অমূল্য সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করো। জীবনকে মৃত্যু আসার আগে। সুস্থতাকে অসুস্থ হওয়ার আগে। অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে। যৌবনকে বার্ধক্য আসার আগে এবং সচ্ছলতাকে দরিদ্রতা আসার আগে। তাখরিজ: মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৮/১২৭
হাদিস নং-০৩
بْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ اللَّهِ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ ". قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَلاَ تَفْعَلْ، صُمْ وَأَفْطِرْ، وَقُمْ وَنَمْ، فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا ".
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হে আবদুল্লাহ! আমাকে কি এ খবর প্রদান করা হয়নি যে, তুমি রাতভর ইবাদতে দাঁড়িয়ে থাক এবং দিনভর সিয়াম পালন কর? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, তুমি এরূপ করো না, বরং সিয়ামও পালন কর, ইফতারও কর, রাত জেগে ইবাদত কর এবং নিদ্রাও যাও। তোমার শরীরেরও তোমার ওপর হক আছে; তোমার চোখেরও তোমার উপর হক আছে এবং তোমার স্ত্রীরও তোমার ওপর হক আছে। তাখরিজ: বুখারি-৫৭০৩; তিরমিজি-২৩৫০
হাদিস নং-০৪
রাসূল (ﷺ) বলেছেন,مَنْ أَصْبَحَ مِنْكُمْ آمِنًا فِي سِرْبِهِ مُعَافًى فِي جَسَدِهِ عِنْدَهُ قُوتُ يَوْمِهِ فَكَأَنَّمَا حِيزَتْ لَهُ الدُّنْيَا، অর্থ: তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদে সকালে উপনীত হয়, সুস্থ শরীরে দিনাতিপাত করে এবং তার নিকট সারা দিনের খাদ্য থাকে, তবে তার মাঝে যেন দুনিয়ার সকল কল্যাণ একত্রিত করা হলো। তাখরিজ: তিরমিজি-২৩৪৬; ইবনে মাজাহ-৪১৪১; মিশকাত-৫১৯১
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বারবার বলা/স্মরণ করিয়ে দেওয়া
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি রুলস হলো কোনো চিঠি/আদেশ তিনবার পড়ে শুনানো। যাতে সবার কাছে ম্যাসেজটি পৌঁছে, কারণ শতভাগ লোক কোন ফলিনে উপস্থিত সম্ভব নয় ( কোথ, কোয়ার্টার গার্ড বা বিভিন্ন পোস্টে ডিউটি থাকার কারণে)। আর গুরুত্বপূর্ণ একই আদেশ/বিষয় পিটি ও গেমসের ফলিনে, কোম্পানি/ব্যাটারি রুল কলে, সাপ্তাহিক রুল কলে এবং মাসিক রুল কলে বারবার বলা বা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। আসুন আমরা এখন দেখবো পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর এ বিষয়ে নির্দেশনা কি?
ইসলাম : ভাল কথা, ন্যায়-সত্য কথা বারবার বললে মুমিনের ফায়দা হবেই। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন, وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَىٰ تَنفَعُ الْمُؤْمِنِ অর্থ: এবং বোঝাতে থাকুন; কেননা, বোঝানো মুমিনদের উপকারে আসবে। সূরা যারিয়াত-৫৫
হে নবি! আাপনি উপদেশ দিতে থাক। কেননা উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে। সূত্র: তাফসিরে তাওজিহুল কুরআন- মুফতী তাকী উসমানী
Ø শ্রোতারা যেন বিষয়টা বুঝতে পারে এ জন্য নবি করিম একটি কথা তিনবার-বারবার বলতেন। যেমন-হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ «إِذَا تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ أَعَادَهَا ثَلاَثًا، حَتَّى تُفْهَمَ عَنْهُ، وَإِذَا أَتَى عَلَى قَوْمٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ، سَلَّمَ عَلَيْهِمْ ثَلاَثًا»
অর্থ: হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিয়ম ছিল, তিনি যখন মুখ দিয়ে কোন কথা বের করতেন। তিন তিনবার তা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতেন। ফলে শ্রোতা খুব ভালভাবেই তা বুঝে নিতে পারত। যখন তিনি কোন গোত্রের কাছে আসতেন, তাদের সালাম করতেন এবং একাধিকক্রমে সে তিন তিনবার সালাম করতেন। তাখরিজ : বুখারি-৯৫
عنْ أَبي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَجُلاً قالَ للنبيِّ - صلى الله عليه وسلم -: أَوْصِنِي. قالَ: "لا تَغْضَبْ"، فَرَدَّدَ مِرَارًا، قالَ: "لا تَغْضَبْ".
অর্থ: হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-একজন লোক বললেন, আমাকে উপদেশ দিন। রসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন ইরশাদ করলেন, তুমি কখনও রাগ করবে না। লোকটি কথাটিকে বাববার বললেন। তখন রসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করলেন, কখনো রাগ কর না। তাখরিজ: বুখারি-
عَنْ عَائِشَةَ رَحِمَهَا اللَّهُ، قَالَتْ: "كَانَ كَلَامُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلَامًا فَصْلًا يَفْهَمُهُ كُلُّ مَنْ سَمِعَهُ
অর্থ: হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন কথা বলতেন, খুব স্পষ্ট পরিস্কার ও আলাদা আলাদাভাবে বলতেন। শ্রোতাদের সবাই তা হৃদয়ঙ্গম কর নিতে পারত। তাখরিজ: আবু দাউদ-৪৮৩৯
বিস্তারিত দেখুন,
“ইসলামের দৃষ্টিতে সামরিক জীবনের দৈনন্দিন কার্যক্রম” (প্রকাশিতব্য)
লেখক,
মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক (এম.এ কামিল ফিকাহ ও তাফসির, দাওরায়ে হাদিস, আততাখাস্সুস ফিলআদব)
ধর্ম শিক্ষক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মোবাইল ০১৭৩৫-৭৯১৩৮২; ০১৮৮৭৭০১৬৫৬
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক