আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩২২৯: একটি সূরা বাদ দিয়ে আরেকটি সূরা তেলাওয়াত করার হুকুম কী

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩২২৯:

আসসালামু আলাইকুম।  প্রথম রাকাআতে সুরা লাহাব এর পর ২য় রাকাআত এ সুরা ফালাক পড়া ফরজ,ওয়াজীব,

সুন্নত ও নফল নামাজের তেলাওয়াত মাকরুহ হবে কিনা? 

তারিখ:১৯/০৪/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা আব্দুর রশীদ দিনাজপুর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, প্রথম রাকাতে সূরা লাহাব পড়ার পর, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস বাদ দিয়ে সূরা ফালাক পড়া মাকরূহ। কিন্তু সূরা ফালাক এর পরের সূরাগুলো পড়াতে কোন সমস্যা নেই। দলিল- 

ويكره فصله بسورة بين سورتين قرأهما فى ركعتين لما فيه من شبهة التفضيل والهجر، (مراقى الفلاح على هامش الطحطاوى، فصل فى المكروهات-287، الدر المختار مع الشامى- 2/269)

অর্থাৎ সালাতের দুই রাকআতে এমন দুইটি সূরা তিলাওয়াত করা মাকরূহ, যাদের মাঝে কুরআনের ধারাবাহিকতার ক্রমানুসারে একটি সূরা বিদ্যমান রয়েছে। কারণ এভাবে তিলাওয়াত করা হলে বাদ দেওয়া সূরাটিকে বর্জন করার এবং তার উপর আরেকটি সূরাকে প্রাধান্য দেওয়ার একটা নেতিবাচক আবহ সৃষ্টি হয়। ( মারাকীল ফালাহ, মাকরূহ পরিচ্ছেদ; ২৮৭, দুররুল মুখতার; ২/২৬৯)


إن التنكيس أو الفصل بالقصيرة إنما يكره إذا كان عن قصد، فلوسهواً فلا، ( الدر المختار وحاشية ابن عابدين ١/ ٥٤٧)

অর্থাৎ, সালাতে তিলাওয়াতকালে সূরার মাঝে আগপিছ ঘটানো অথবা উভয় রাকাতের তিলাওয়াতের মাঝে সামান্য কিছু বাদ রাখা কিংবা ছোট কোন সূরার বাদ রাখা তখনই মাকরূহ হবে, যখন তা ইচ্ছাকৃত হবে। তবে অনিচ্ছাকৃত হলে তাতে কোন সমস্যা নেই। ( রদ্দুল মুহতার ১/৫৪৭)


সারকথা হলো,  এ হুকুম কেবল ফরযের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সুন্নাত, নামাযে এমন হলে কোনো অসুবিধা নেই।


  والله اعلم بالصواب