আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।
জিজ্ঞাসা -১২৯০০:

জিজ্ঞাসা -১২৯০০:

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১২৮০০: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 


তারিখ:  ০২/০২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা   থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো



সারকথা হলো,  



  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা -১২৮৯৯:একশজনকে হত্যার পরও তওবা কবুল। এর হাদিসটির রেফারেন্স কী?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৮৯৯: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। একশজনকে হত্যার পরও তওবা কবুল। 

এই হাদিসটির আরবি ইবারত সহ জানানোর জন্য অনুরোধ করছি। 

তারিখ:  ০৯/০২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা জামাল হোসেন টাঙ্গাইল থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক হাদিসটি নিম্নরূপ:


باب قَبُولِ تَوْبَةِ الْقَاتِلِ وَإِنْ كَثُرَ قَتْلُهُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ رَجُلٌ قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الأَرْضِ فَدُلَّ عَلَى رَاهِبٍ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنَّهُ قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا فَهَلْ لَهُ مِنَ تَوْبَةٍ فَقَالَ لاَ . فَقَتَلَهُ فَكَمَّلَ بِهِ مِائَةً ثُمَّ سَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الأَرْضِ فَدُلَّ عَلَى رَجُلٍ عَالِمٍ فَقَالَ إِنَّهُ قَتَلَ مِائَةَ نَفْسٍ فَهَلْ لَهُ مِنْ تَوْبَةٍ فَقَالَ نَعَمْ وَمَنْ يَحُولُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ التَّوْبَةِ انْطَلِقْ إِلَى أَرْضِ كَذَا وَكَذَا فَإِنَّ بِهَا أُنَاسًا يَعْبُدُونَ اللَّهَ فَاعْبُدِ اللَّهَ مَعَهُمْ وَلاَ تَرْجِعْ إِلَى أَرْضِكَ فَإِنَّهَا أَرْضُ سَوْءٍ . فَانْطَلَقَ حَتَّى إِذَا نَصَفَ الطَّرِيقَ أَتَاهُ الْمَوْتُ فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلاَئِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلاَئِكَةُ الْعَذَابِ فَقَالَتْ مَلاَئِكَةُ الرَّحْمَةِ جَاءَ تَائِبًا مُقْبِلاً بِقَلْبِهِ إِلَى اللَّهِ . وَقَالَتْ مَلاَئِكَةُ الْعَذَابِ إِنَّهُ لَمْ يَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ . فَأَتَاهُمْ مَلَكٌ فِي صُورَةِ آدَمِيٍّ فَجَعَلُوهُ بَيْنَهُمْ فَقَالَ قِيسُوا مَا بَيْنَ الأَرْضَيْنِ فَإِلَى أَيَّتِهِمَا كَانَ أَدْنَى فَهُوَ لَهُ . فَقَاسُوهُ فَوَجَدُوهُ أَدْنَى إِلَى الأَرْضِ الَّتِي أَرَادَ فَقَبَضَتْهُ مَلاَئِكَةُ الرَّحْمَةِ " . قَالَ قَتَادَةُ فَقَالَ الْحَسَنُ ذُكِرَ لَنَا أَنَّهُ لَمَّا أَتَاهُ الْمَوْتُ نَأَى بِصَدْرِهِ .


পরিচ্ছেদঃ ৩৫. হত্যাকারীর তাওবা আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য; যদিও সে বহু হত্যা করে থাকে


৬৭৫২। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে এক লোক ছিলো। সে নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করার পর জিজ্ঞাসা করল, এ পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় আলিম ব্যক্তি কে? তাকে এক রাহিবের সন্ধান দেওয়া হয়। সে তার কাছে এসে বলল, যে, সে নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করেছো এমতাবস্থায় তার জন্য কি তাওবা আছে? রাহিব বলল, না। তখন সে রাহিবকেও হত্যা করে ফেলল। এবং এর (রাহিবের) হত্যা দ্বারা একশ পূর্ণ করল।


তারপর সে আবার প্রশ্ন করল এ পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় আলিম কে? তখন তাকে এক আলিম ব্যক্তির সন্ধান দেওয়া হল। সে আলিমকে সে বলল যে, সে একশ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে, তার জন্য কি তাওবা আছে? আলিম ব্যক্তি বললেন, হ্যাঁ। এ তাওবার মধ্যে কে অন্তরায় হতে পারে? তুমি অমুক দেশে যাও। সেখানে কতিপয় লোক আল্লাহর ইবাদতে নিয়োজিত আছে। তুমিও তাদের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদতে মশশুল হয়ে যাও। নিজের দেশে আর কখনো ফিরে যেয়ো না। কেননা এ দেশটি বড় মন্দ। তারপর সে চলতে লাগল। এমন কি যখন সে অর্ধ পথে পৌছে তখন তার মৃত্যু এল।


এরপর রহমতের ফেরেশতা ও আযাবের ফেরেশতার মধ্যে তার সম্পর্কে বিবাদ লেগে গেল। রহমতের ফেরেশতারা বললেন, সে অন্তরের আবেগ নিয়ে আল্লাহর দিকে তাওবার জন্য ধাবিত হয়ে এসেছে। আর আযাবের ফেরেশতারা বললেন, সে তো কখনো কোন নেক আমল করেনি। এ সময় মানুষের সুরতে এক ফেরেশতা এলেন। তারা তাকে তাদের মধ্যে মীমাংসাকারী নির্ধারণ করলেন।


তিনি তাদের বললেন, তোমরা দুই দেশের মধ্যবর্তী দূরত্ব মেপে নাও। দুই স্থানের মধ্যে যে স্থানের দিকে সে অধিক নিকটবর্তী হবে তাকে সে স্থানেরই গণ্য করা হবে। তারা মাপলেন। তখন তাঁরা তাকে উদ্দিষ্ট স্থানের অধিক নিকটবর্তী পেলেন। তখন রহমতের ফেরেশতা তাকে কবজ করে নিলেন। কাতাদা (রাহঃ) বলেন, হাসান (রাহঃ) বলেছেন, আমাদের নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, যখন তার মৃত্যু এল, তখন সে বুকের উপর ভর দিয়ে (কিছু এগিয়ে) গেল। তাখরিজ: 

আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ (সহীহ মুসলিম)

হাদিস নং: ৬৭৫২





  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা -১২৮৯৮: হারাম ছেড়ে দেওয়ার ফজিলত সংক্রান্ত এ হাদিসটির আরবি ইবারত প্রয়োজন।

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৮৯৮: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন হারাম জিনিসের উপর ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও আল্লাহর ভয়ে ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে তার চেয়ে উত্তম জিনিস দান করবেন। 

(মুসনাদে আহমাদ) হাদিসটির আরবী ইবারত প্রয়োজন। যাজাকাল্লাহু খয়রান থেকে

তারিখ:  ০৯/০২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  মোঃ শফিউল ইসলাম সিরাজগঞ্জ


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি অনুযায়ী হাদিসটি নিম্নরূপ: 


إنك لَن تدَع شيئًا للهِ عزَّ وجلَّ إلا بدَلك اللهُ به ما هو خيرٌ لكَ منه

মুসনাদে আহমদ -২১৯৯৬ 


নোট: হাদিসটির সনদ সহীহ।

আমল ও দুআ-১৬৭: সব অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকার দোয়া

No Comments

 



দুশ্চিন্তা, ঋণ ও অন্যের অনিষ্টের কারণে কষ্টে থাকা মানুষের দেখা সমাজে হরহামেশাই মেলে। এসব থেকে নিরাপদের থাকতে দুনিয়াবী প্রচেষ্টার সঙ্গে এমন কিছু দোয়া রয়েছে, যেগুলো পাঠ করলে এসব থেকে নিরাপদ থাকা যায়।


সব অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকার দোয়া


হজরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা এক বর্ষণমুখর অন্ধকার রাতে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুঁজতে বের হলাম, যেন তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ পড়েন। তার সঙ্গে যখন সাক্ষাৎ হলো- তিনি বললেন, কুল অর্থাৎ, বলো।


আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, কুল অর্থাৎ, বলো। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, কুল অর্থাৎ বলো। আমি আরজ করলাম, আল্লাহর রাসূল! কী বলব? তিনি বললেন, কুলহুয়াল্লাহু আহাদ ও মুয়াওয়াজাতাইন অর্থাৎ সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস।


সন্ধ্যায় ও সকালে তিনবার এ সূরাগুলো পড়বে, সব কিছু থেকে তোমার হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হবে।’ -সুনানে আবু দাউদ: ৫০৮২


আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।


সূত্র: আওয়ার ইসলাম

গোপন আমলঃ নিয়তের মাধ্যমে জীবনের সমস্ত কাজকে আমলে পরিণত করা

No Comments

 



গোপন আমলঃ নিয়তের মাধ্যমে জীবনের সমস্ত কাজকে আমলে পরিণত করা


হযরত সাইয়েদ আহমদ শহীদ রহ. ৪৬ বৎসর হায়াত পেয়েছিলেন। যখন তাঁর বয়স ছিল ত্রিশের কিছু বেশি তখন একবার তিনি বললেন, যখন থেকে বুঝতে শুরু করেছি তখন থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো কাজ, চাই তা মনুষ্যস্বভাবজাত কাজ হোক যেমন হাসা, কথা বলা, পানাহার করা, মানুষের সাথে মেলামেশা করা, কাপড় পরিধান করা, রাতে ঘুমোনো, দিনে বিশ্রাম গ্রহণ ইত্যাদি কোনো কাজই এমন করিনি, যে কাজে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির নিয়ত থাকত না।

সূত্র: হেদায়েত ও তাবলীগ : ২২৫


 “মুমিন কথা কম বলে, কাজ বেশি করে। আর মুনাফিক কথা বেশি বলে, কাজ কম করে। মুমিন যখন কথা বলে—প্রজ্ঞার সাথে বলে, যখন চুপ থাকে—গভীর চিন্তায় থাকে, যখন তাকায়—শিক্ষা নেয়, যখন কাজ করে—সংশোধন করে। তোমার অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে তোমার প্রতিটা মুহূর্তই ইবাদতে পরিণত হচ্ছে।”

.

🎤— ফুদাইল ইবনু আয়াদ (রহ.)

📖(হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৮/৯৮)

আমল ও দুআ-১৬৬: আল্লাহ তাআলার মহব্বত ও ভয়ের প্রার্থনা

No Comments

 



দু‘আ-১২০

اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ الْأَشْيَآءِ إِلَـيَّ، وَاجْعَلْ خَشْيَتَكَ أَخْوَفَ الْأَشْيَآءِ عِنْدِيْ، وَاقْطَعْ عَنِّيْ حَاجَاتِ الدُّنْيَا بِالشَّوْقِ إِلٰى لِقَآئِكَ، وَإِذَا أَقْرَرْتَ أَعْيُنَ أَهْلِ الدُّنْيَا مِنْ دُنْيَاهُمْ فَأَقْرِرْ عَيْنِيْ مِنْ عِبَادَتِكَ.

ইয়া আল্লাহ! আমার কাছে আপনার ভালোবাসাই যেন হয় সবকিছু থেকে প্রিয়। আর আপনার ভয়ই যেন হয় সকল ভয়ের বড় ভয়। আর আপনার সাথে সাক্ষাতের ব্যাকুলতার মাধ্যমে দুনিয়ার প্রয়োজনসমূহ আমার থেকে বিচ্ছিন্ন করুন আর যখন দুনিয়াওয়ালাদের চক্ষু তাদের দুনিয়া দ্বারা শীতল করেছেন, তখন আমার চোখ আপনার ইবাদত দ্বারা শীতল করুন।১১৭

-কানযুল উম্মাল


১১৭. অর্থাৎ যেভাবে দুনিয়াদাররা পার্থিব ভোগ-বিলাসের দ্বারা সুখী হয়, যা এক স্বাভাবিক বিষয়ও বটে, আমি যেন আপনার বন্দেগী ও আনুগত্যের মাঝেই শান্তি-সুখ খুঁজে পাই। একেই আমার জন্য স্বাভাবিক বানিয়ে দিন।

اِجْعَلْ حُبَّكَ 

(আপনার ভালবাসাই যেন...)। অর্থাৎ আপনার ভালবাসাই যেন পার্থিব সকল কামনা-বাসনার উপর প্রবল 

থাকে।

وَاجْعَلْ خَشْيَتَكَ 

(আপনার ভয়ই যেন হয় আমার কাছে...)। অর্থাৎ সৃষ্টির ভয়ের উপর আপনার ভয়ই যেন প্রবল থাকে। উল্লেখ্য, এক ভয়ের উদাহরণ হল হিংস্র প্রাণীর ভয়, যা কোনো কারণ ছাড়াই মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আরেক ভয় হচ্ছে, কারো প্রবল ক্ষমতা ও পরম মাহাত্ম্যের কারণে ভয়, যিনি একদিকে অতি দয়ালু ও মেহেরবান, অন্যদিকে নাফরমানী ও অবাধ্যতার শাস্তিও দিতে পারেন।

আমল ও দুআ-১৬৫: আল্লাহর রহম-করম আকর্ষণ করার মত দুআ

No Comments

 



দু‘আ-১১৯

اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ أُعَظِّمُ شُكْرَكَ، وَأُكْثِرُ ذِكْرَكَ، وَأَتَّبِـعُ نَصِيْحَتَكَ وَأَحْفَظُ وَصِيَّتَكَ. اَللّٰهُمَّ إِنَّ قُلُوْبَنَا وَنَوَاصِيَنَا وَجَوَارِحَنَا بِيَدِكَ، لَمْ تُمَلِّكْنَا مِنْهَا شَيْئًا، فَإِذَا فَعَلْتَ ذٰلِكَ بِنَا فَكُنْ أَ نْتَ وَلِيَّنَا، وَاهْدِنَاۤ إِلٰى سَوَآءِ السَّبِيْلِ.

ইয়া আল্লাহ! আমাকে এমন করুন যে, আপনার বড় শোকর করি, আপনার যিকির বেশি করি, আপনার উপদেশ মেনে চলি আর আপনার আদেশ মনে রাখি। ইয়া আল্লাহ! আমাদের হৃদয়, আমাদের ঝুঁটি ও আমাদের অঙ্গসমূহ আপনারই কব্জায়। এর কোনো কিছুর উপরই আমাদের ক্ষমতা দেননি। সুতরাং আপনি যখন আমাদের সাথে এ-ই করেছেন, তখন আপনিই হোন আমাদের সাহায্যকারী এবং আমাদেরকে প্রদর্শন করুন সোজা পথ।১১৬


-তিরমিযী, কানযুল উম্মাল


১১৬. আল্লাহর রহম-করম আকর্ষণ করার জন্য তার পেয়ারা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ও কত ধরনের কৌশল উদ্ভাবন করেছেন! এ দু‘আর সারকথা, সৃষ্টির বিধানে আমরা যেমন পুরাপুরি আপনারই কব্জায়, শরীয়তি বিধানেও আমাদের পুরাপুরি আপনার অনুগত করুন। আমরা যেন আপনার নাফরমানি করতেই না পারি।

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী- রজাবা ওয়া শা'বান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান'- এর ব্যাখ্যা -আল্লামা মোল্লা আলি কারি রহ.

No Comments

 




হজরত আনাস (রা.) বলেন, যখন রজব মাসের আগমন হতো, তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দু'আ করতেন-

 ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺑﺎﺭﻙ ﻟﻨﺎ ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻭﺷﻌﺒﺎﻥ

ﻭﺑﻠﻐﻨﺎ ﺭﻣﻀﺎﻥ،


'আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী-

রজাবা ওয়া শা'বান ওয়া বাল্লিগনা

রামাদান'- অর্থাৎ 'হে আল্লাহ

রজব ও শাবান মাসে আমাদের

বরকত দান করো এবং আমাদের

রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও।' তাখরিজ: মুসনাদে আহমদ ১/৩৩৯, মেশকাত ১২১, বায়হাকী- শুআবুল ঈমান-৩/৩৭৫)


ব্যাখ্যা: 

মোল্লা আলী কারী (রহ.) এর

ব্যাখ্যায় বলেন- 'রজব ও শাবানে

আমাদের ইবাদত-বন্দেগীতে

বরকত দান করুন এবং রমজানের

পূর্ণ এক মাস, শুরু থেকে শেষ

পর্যন্ত সিয়াম ও কিয়াম তথা

রোজা ও তারাবীহর তাওফিক দান

করুন।' (মেরকাত ৩/৪৬৩)

হোয়াটসঅ্যাপে ই–মেইল যুক্ত করার সহজ উপায়

No Comments

 



হোয়াটসঅ্যাপে ই–মেইল যুক্ত করার সহজ উপায়



মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে ফোন নম্বরের পাশাপাশি ই-মেইল যুক্ত করা যাচ্ছে। এর ফলে ফোন নম্বর ছাড়াও ই–মেইল ঠিকানা দিয়ে অ্যাকাউন্টে দ্রুত প্রবেশ করার পাশাপাশি পরিচয় যাচাই করা যাবে। 


কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ই–মেইল ঠিকানা যুক্ত করবেন যেভাবে-


প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের ওপরের ডান দিকে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করতে হবে।

এবার সেটিংসে ক্লিক করে ‘অ্যাকাউন্ট’ অপশনে যেতে হবে।


এবার অনেক অপশন প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে ‘ই–মেইল অ্যাড্রেস’ নির্বাচন করে ‘অ্যাড ইয়োর ই–মেইল’ অপশনের নিচে থাকা বক্সে ই–মেইল ঠিকানা লিখতে হবে।


এরপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করলেই ই–মেইল ঠিকানা যাচাই করার জন্য ছয় সংখ্যার একটি কোড পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ।


পরের পৃষ্ঠায় কোডটি লিখে ‘ভেরিফাই’ বাটনে ট্যাপ করলেই ই–মেইল ঠিকানার নিচে টিকচিহ্নসহ ভেরিফায়েড লেখা দেখা যাবে।


সূত্র: আওয়ার ইসলাম ২৪.কম

আমল ও দুআ-১৬৪: ইখলাস ও আবদিয়্যাতের দাবিসমূহের ধারক আশ্চর্য দু‘আ!

No Comments

 



দু‘আ-১১৭

اَللّٰهُمَّ لَكَ صَلَاتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ، وَإِلَيْكَ مَاٰبِيْ، وَلَكَ رَبِّ تُرَاثِيْ.

ইয়া আল্লাহ! আপনারই জন্য আমার নামায, আমার ইবাদত, আমার জীবন, আমার মরণ। আর আপনারই দিকে আমার প্রত্যাবর্তন এবং আমার রেখে যাওয়া সবকিছু আপনারই। তিরমিযী-৩৫২০



মতনসহ হাদিস শরিফ:

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْمُؤَدِّبُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، وَكَانَ، مِنْ بَنِي أَسَدٍ عَنِ الأَغَرِّ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ أَكْثَرُ مَا دَعَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشِيَّةَ عَرَفَةَ فِي الْمَوْقِفِ " اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَالَّذِي تَقُولُ وَخَيْرًا مِمَّا نَقُولُ اللَّهُمَّ لَكَ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي وَإِلَيْكَ مَآبِي وَلَكَ رَبِّ تُرَاثِي اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَوَسْوَسَةِ الصَّدْرِ وَشَتَاتِ الأَمْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَجِيءُ بِهِ الرِّيحُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .

৩৫২০. মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম মুআদ্দিব (রাহঃ) .... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ওয়াকুফ স্থানে আরাফা দিবসের বিকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অধিকাংশ সময় যে দুআ করেছেন তা হলঃ

اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَالَّذِي تَقُولُ وَخَيْرًا مِمَّا نَقُولُ اللَّهُمَّ لَكَ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي وَإِلَيْكَ مَآبِي وَلَكَ رَبِّ تُرَاثِي اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَوَسْوَسَةِ الصَّدْرِ وَشَتَاتِ الأَمْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَجِيءُ بِهِ الرِّيحُ

হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সব তারীফ যেরূপ তুমি বল আর আমরা যা বলি তা থেকে উত্তম। হে আল্লাহ! তোমার জন্যই আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ, তোমার দিকেই তো আমার প্রত্যাবর্তন, তোমার জন্যই তো হে আমার রব! তুমি আমার উত্তরাধিকারী। হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই কবরের আযাব থেকে, মনের ওয়াসওয়াসা থেকে, কাজের বিশৃঙ্খলা থেকে। হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই বায়ু যা বয়ে নিয়ে আসে তার অনিষ্ঠ থেকে।


Ali bin Abi Talib said:

“The most of what the Messenger of Allah (ﷺ) supplicated with during the afternoon at Arafat while standing was: ’O Allah to You is the praise like the one You say, and better than what we say. O Allah, for You is all my Salat, my sacrifice, my living and my dying. And to You is my return, and to You, my Lord, belongs my inheritance. O Allah, indeed, I seek refuge in You from the punishment of the grave, the whispering of the chest, and the dividing of the affair. O Allah, indeed, I seek refuge in You from the evil of what the wind brings (Allāhumma lakal-ḥamdu, kalladhī taqūlu, wa khairan mimmā naqūl. Allāhumma laka ṣalātī wa nusukī, wa maḥyāya wa mamātī, ilaika ma’ābī, wa laka, rabbi, turāthī. Allāhumma innī a`ūdhu bika min `adhābil-qabri, wa waswasatiṣ-ṣadri, wa shatātil-amr. Allāhumma innī a`ūdhu bika min sharri mā tajī’u bihir-rīḥ).”

—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫২০ (আন্তর্জাতিক নং ৩৫২০)


হাদীসের বর্ননাকারী: আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) (মৃত্যু ৪০ হিজরী)


ফায়দা :

ইখলাস ও আবদিয়্যাতের দাবিসমূহের ধারক আশ্চর্য দু‘আ!

لَكَ صَلَاتِي وَنُسُكِي 

সকল ইবাদত শুধু আল্লাহরই জন্য হওয়া চাই। কিন্তু বাহ্যিকভাবে আল্লাহর জন্য হলেও বাস্তবে এমন নামায ও ইবাদত তো কমই হয়ে থাকে। অধিকাংশের মাঝেই অন্য কিছুরও মিশ্রণ ঘটে। এখানে প্রার্থনা করা হচ্ছে, প্রত্যেক নামায ও প্রতিটি ইবাদত যেন হয় জাগ্রত চেতনার সাথে শুধু আল্লাহরই 

জন্য।

مَحْيَايَ وَمَمَاتِي 

(আমার জীবন, আমার মরণ)। এ মনোবাসনার জোরালো প্রকাশ যে, শুধু ইবাদত-বন্দেগীই নয়, জাগতিক কাজ-কর্মেও যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রেরণাই কার্যকর থাকে। খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, ওঠা-বসা, ঘুমানো, জাগ্রত হওয়া, কথাবার্তা, হাসি-কান্না সবই যদি হয় মাওলার রেযামন্দির জন্য, তাহলে তো বান্দার পরম নৈকট্যের 

কথা বলাই বাহুল্য।

وَإِلَيْكَ مَاٰبِىْ وَلَكَ رَبِّ تُرَاثِىْ  

(আর আপনারই দিকে...)। মানুষের যদি নিজের ও নিজের অর্থ-সম্পদের পরিণামের কথা সর্বদা স্মরণ থাকে, তাহলে না কোনো অবহেলা হবে সাধারণ আনুগত্যের ক্ষেত্রে, না সম্পদবিষয়ক দায়িত্ব-কর্তব্যের ক্ষেত্রে ।

জিজ্ঞাসা -১২৮৯৭: কুরআন শরিফ খতম এর পর দুআ কবুল হয় এর কোনো দলিল আছে কী

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১২৮৯৭: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কুরআন শরিফ খতম এর পর দুআ কবুল হয় এর কোনো দলিল আছে কী?

তারিখ:  ০৩/০২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 জনৈক মাওলানা বরিশাল   থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, দুআ কবুলের যে সব সময় আছে, পবিত্র কুরআন খতমের পর হলো একটি সময়। দলিল -


হাদিস নং-০১

عن سيدنا العرباض بن سارية رضي الله عنه أنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى صلاة فريضة فله دعوة مستجابة، ومن ختم القرآن فله دعوة مستجابة (المعجم الكبير للطبراني، الرقم: ٦٤٧، وقال العلامة الهيثمي رحمه الله مجمع الزوائد، الرقم: ١١٧١٢: رواه الطبراني، وفيه عبد الحميد بن سليمان وهو ضعيف)

অর্থাৎ হযরত ইরবাদ বিন সারিয়াহ ( রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, " কোন ফরয সালাত আদায় করার পর, সালাত আদায়কারী ব্যক্তির জন্য দু'আ কবূল হওয়া অবধারিত হয়ে পড়ে। কুরআন খতম করার পর, তিলাওয়াতকারী ব্যাক্তির জন্যও দুআ কবূল হওয়া অনিবার্য হয়ে পড়ে। তাখরিজ: আল মু'জামুল কাবীর  তাবরানী-৬৪৭, মাজমাউয যাওয়ায়েদ- ১১৭১২


হাদিস নং-০২

‏حَدَّثَنَا ‏ ‏عَفَّانُ ‏ ‏حَدَّثَنَا ‏ ‏جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ ‏ ‏حَدَّثَنَا ‏ ‏ثَابِتٌ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏كَانَ ‏ ‏أَنَسٌ ‏ ‏إِذَا خَتَمَ الْقُرْآنَ جَمَعَ وَلَدَهُ وَأَهْلَ بَيْتِهِ فَدَعَا لَهُمْ ‏: 

অর্থাৎ হজরত আনাস রা. কুরআন খতম করলে পরিবারের লোকদের একত্রিত করে দু’আ করতেন।’ তাখরিজ: তাবারানি-১/২৪২; বায়হাকি -২/৩৬৮; সুনানে দারিমি-৩৫১৭


 এই হাদিস/আসার দ্বারা বুঝা যায় যে, কুরআন খতমের পর দুআ কবুল হয়।


হাদিস নং -০৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّهُ مَرَّ عَلَى قَاصٍّ يَقْرَأُ ثُمَّ سَأَلَ فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَلْيَسْأَلِ اللَّهَ بِهِ فَإِنَّهُ سَيَجِيءُ أَقْوَامٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَسْأَلُونَ بِهِ النَّاسَ " . وَقَالَ مَحْمُودٌ وَهَذَا خَيْثَمَةُ الْبَصْرِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْهُ جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ وَلَيْسَ هُوَ خَيْثَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَخَيْثَمَةُ هَذَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ يُكْنَى أَبَا نَصْرٍ قَدْ رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَحَادِيثَ وَقَدْ رَوَى جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ عَنْ خَيْثَمَةَ هَذَا أَيْضًا أَحَادِيثَ .

২৯১৭. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা তিনি এক কুরআন পাঠকারীর পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেনঃ সে কুরআন পড়ে পড়ে মানুষের কাছে ভিক্ষা করছিল। তা দেখে তিনি ইন্না লিল্লাহ্... পড়লেন। পরে বললেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে সে যেন আল্লাহর এর দ্বারা কাছেই কেবল যাচঞা করে। অচিরেই এমন একদল লোকের আবির্ভব ঘটবে যারা কুরআন পড়বে এবং এর ওসীলা দিয়ে মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইবে।


Narrated Al-Hasan:

that ’Imran bin Husain passed by a reciter reciting then he began begging. So he (’Imran) said: ’Indeed we are from Allah and to Him shall we return.’ Then he said: ’I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: ’Whoever recites the Qur’an, then let him ask Allah by it. For indeed there will come a people, who will recite the Qur’an, asking from the people because of it.’"

—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ২৯১৭ (আন্তর্জাতিক নং ২৯১৭)


সারকথা হলো, কোরআন খতম বা পাঠ করার পর দোয়া কবুল হয়, তাই ফোকাহায়ে কেরাম কোরআন খতমের পরে দোয়া করা মুস্তাহাব বলেছেন। যেমন -

فيستحب لمن ختم القرآن أن يدعو بما شاء من خيري الدنيا والآخرة للأدلة السابقة، وراجع الفتوى رقم: 11726.

যে ব্যক্তি কুরআন খতম করেছে তার জন্য পূর্বের প্রমাণের ভিত্তিতে দুনিয়া ও আখেরাতের যা কিছু ভালো জিনিসের জন্য প্রার্থনা করা মুস্তাহাব। সূত্র: আলফাতাওয়া, আদাবুল কুরআন-১১৭২৬ 


  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা -১২৮৯৬: হাফেজে কুরআনের পিতা-মাতাকে নূরের তাজ ও দশজন ব্যক্তিকে সুপারিশ করতে পারবে, এর রেফারেন্স কী?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৮৯৬: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মুহতারাম 

কেয়ামতের দিন হাফেজে কোরআনের পিতা-মাতাকে নূরের টুপি পড়ানো হবে এবং একজন হাফেজে কোরআন ১০ জন নিকট আত্মীয় জাহান্নামীকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিতে পারবেন ।এই দুটো বিষয়ের সহি হাদিসের বর্ণনা থাকলে  বিশেষ দ্রষ্টব্য :দয়া করে রেফারেন্স সহ পাঠাবেন। 


তারিখ:  ০২/০১/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা   থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার বর্ণনা মোতাবেক হাদিস দুটি নিম্নরূপ:

হাদিস নং -০১

أحمد (15645ـ الرسالة) ، وأبو داود (1241) – اللفظ له - عن معاذ بن أنس الجهني رضي الله عنه أن رسول الله عليه وسلم قال : ( مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ ، أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، ضَوْءُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ ، فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا ) .

والحديث ضعفه الشيخ الألباني رحمه الله ، لكن حسنه محققو المسند ـ ط الرسالة ـ لغيره .

হজরত মুয়াজ জুহানি রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সা: এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করেছে এবং তাতে যা আছে সে অনুযায়ী আমল করেছে, তাহলে তার মা-বাবাকে কিয়ামত দিবসে একটি (নূরের) তাজ (টুপি) পরানো হবে। যদি সূর্য তোমাদের গৃহে প্রবেশ করত, তাহলে ওই সূর্যের আলো অপেক্ষাও ওই টুপির আলো উজ্জ্বলতর হবে। এখন তোমরা চিন্তা করো, যে ব্যক্তি কুরআনের নির্দেশ অনুসারে আমল করে, তার মর্যাদা ও অবস্থা কত উত্তম হবে?’ তাখরিজ: আবু দাউদ-১২৪১, আহমাদ-১৫৬৪৫


হাদিস নং-০২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَاسْتَظْهَرَهُ فَأَحَلَّ حَلاَلَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلُّهُمْ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِصَحِيحٍ . وَحَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ .


২৯০৫. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ...... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে এবং তা হিফজ করেছে, এর হালালকে হালাল বলে মেনেছে এবং হারামকে হারাম বলে গ্রহণ করেছে, আল্লাহ্ তাআলা এর কারণে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং সে তার পরিবারের এমন দশ জনকে সুপারিশ করতে পারবে যাদের প্রত্যেকের উপর জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী। ইবনে মাজাহ


হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের আর কিছু জানা নেই। এর সনদ সহীহ নয়, হাফস ইবনে সুলাইমান হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ।


Narrated ’Ali bub Abi Talib:

that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever recites the Qur’an and memorizes it, making lawful what it makes lawful, and unlawful what it makes unlawful, Allah will admit him to Paradise due to it, and grant him intercession for ten of his family members who were to be consigned to the Fire."

—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ২৯০৫ (আন্তর্জাতিক নং ২৯০৫)


হাদীসের বর্ননাকারী: আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) (মৃত্যু ৪০ হিজরী)


নোট: হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের আর কিছু জানা নেই। এর সনদ সহীহ নয়, হাফস ইবনে সুলাইমান হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ।




  والله اعلم بالصواب


জিজ্ঞাসা -১২৮৯৫: শিয়াল মুরগির মাথা ছিঁড়ে ফেলেছে, জবাই করে ঐ মুরগি খাওয়া জায়েজ?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৮৯৫: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।  শ্রদ্ধেয় ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন, একটা শিয়াল একটা মুরগির মাথা ছিরে ফেলেছে আর মুরগিটি লাফাচ্ছিল তখন গলার অংশটুকুতে জবাই করেছে রক্ত ও বের হয়েছে। এটা কি খাওয়া জায়েয হবে?


তারিখ:  ৩০/০১/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  মোঃ শফিকুল ইসলাম খাগড়াছড়ি থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো

কোন হিংস্র পশু হালাল প্রাণীকে আক্রমণ দুধরনের হতে পারে এবং হুকুমও ভিন্ন। যেমন,


১। শরীরে/মাথায় আঘাত করে, মৃত্যুর আগেই বিসমিল্লাহ বলে জবাই করে, তাহলে ঐ প্রাণী খাওয়া হালাল। দলিল -

عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ أَحَدُنَا أَصَابَ صَيْدًا وَلَيْسَ مَعَهُ سِكِّينٌأَيَذْبَحُ بِالْمَرْوَةِ وَشِقَّةِ الْعَصَا؟ فَقَالَ: «أَمْرِرِ الدَّمَ بِمَا شِئْتَ، وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ»

হযরত আদী বিন হাতিম রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমাদের মাঝে কেউ শিকারের প্রাণী ধরে। তারপর তার কাছে ছুড়ি না থাকে, এমতাবস্থায় সে কি কাঁচ ও লাকড়ির কঞ্চি দিয়ে জবাই করতে পারে? রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, যেটা দিয়ে চাও রক্ত প্রবাহিত কর। আর রক্ত প্রবাহিত করার সময় আল্লাহর নাম নিয়ে নাও। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮২৪}


২। হিংস্র প্রাণী যদি মাথা আলাদা করে ফেলে, তারপর জবাই করে, তাহলে ঐ হালাল প্রাণী খাওয়া জায়েজ নেই। কেননা মাথা আলাদা মৃত্যুর কারণ, আর মৃত প্রাণী ভক্ষণ করা হারাম। দলিল -

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ 

তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ।


সারকথা হলো,  জবাই করার আগেই যদি মুরগির মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তাহলে ঐ মুরগি খাওয়া জায়েজ হবে না।



  والله اعلم بالصواب


কবিতা-২৯: স্রষ্টার সন্তুষ্টি -মোঃ নূরুজ্জামান হাফিজাহুল্লাহু

No Comments

 



স্রষ্টার সন্তুষ্টি

মোঃ নূরুজ্জামান 


মাতা-পিতার করলে সেবা

থাকবে খুশি রব,

তাঁদের সেবার কমতি হলে

ধ্বংস হবেই সব।


এই ধরাতে পিতা-মাতার 

নেই তুলনা ভাই,

মনের টানে তাঁদের তরে

করবো সেবা তাই।


সন্তান যবে বাবা-মায়ের 

সেবায় কাটায় দিন,

শান্তি আসে ঐ সংসারে

পাপ হয়ে যায় লীন


এই ধরাতে আছে অনেক

অধম পাপী জন,

মা-বাবাকে আঘাত দিয়ে

কাটায় তার ক্ষণ।


মহান রবকে রাখতে খুশি

কোরবান করো জান,

মাতা-পিতার করলে সেবা

বাড়বে সবার মান।

প্রযুক্তি পরামর্শ -০৮: স্মার্টফোনে স্পিড বাড়ানোর সহজ উপায়

No Comments

 



স্মার্টফোনে স্পিড বাড়ানোর সহজ উপায়


স্মার্টফোন ব্যবহার করতে গিয়েই আমাদের অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। প্রয়োজনের সময় দেখা যায় ফোন অনেক স্লো হয়ে গেছে। ফোনের র‌্যাম অনেক বেশি থাকার পরও অল্প ক’দিনেই স্লো হওয়ার মতো সমস্যায় প্রায় অনেকেই ভুগেন। নটিফিকেশনে বলা হচ্ছে ‘মেমোরি ফুল’।


তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের সমস্যা ফোনের ক্যাশ মেমোরি ভর্তি হলে হয়। ফোনের ব্যবহার যত বেশি হয় তত ক্যাশ ভর্তি হতে থাকে। অবাঞ্ছিত তথ্য ডিলিট করে দেয়ার পরও ‘টেম্পোরারি ফাইলস’ হিসেবে ক্যাশে থেকে যায়। আর এই ফাইলগুলো ক্রমশ ক্যাশে জমতে থাকলে ফোনের গতি অনেক কমে যায়। এবার তাহলে পিসি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফোন স্লো হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


ক্যাশ মেমোরি ক্লিয়ার করলে কি স্পিড বাড়ে : র‌্যামের পরিমাণের উপর ফোনের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে। ফোনে যত বেশি র‌্যাম, সেই ফোন তত গতিসম্পন্ন। ফোনে বেশি পরিমাণে অ্যাপ ব্যবহার করলেও র‌্যাম নষ্ট হয়। আর নিয়মিত ক্যাশ পরিষ্কার করলে র‌্যামও কিছুটা খালি হয়। এতে স্পিড বাড়ে।


ফোনের কোনো অ্যাপ খুলতে যদি সমস্যা হয় বা বারবার ক্র্যাশ করে, তাহলে ক্যাশ ক্লিয়ার করা প্রয়োজন। আবার ফোনের স্টোরেজ স্পেসের জন্যও স্পিড কমে থাকে। তবে মাঝে মাঝে ক্যাশ মেমোরি ক্লিয়ার করলে এ ধরনের সমস্যা খুব কম দেখা দেয়।


ক্যাশ মেমোরি ক্লিয়ারের উপায় : বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্টফোন রয়েছে। একেকটি কোম্পানির ফোনের অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস অ্যান্ড্রয়েড হলেও একেক রকম হয়ে থাকে। ফোনের ক্যাশ ক্লিয়ার করার জন্য প্রথমে সেটিংস অপশনে যান। এবার যে অ্যাপের ক্যাশ ক্লিয়ার করতে চান, সেটিতে ক্লিক করুন। এখন অ্যাপটির স্টোরেজ অপশনে গিয়ে ক্যাশ ক্লিয়ার করুন।


সূত্র: আওয়ার ইসলাম

Stylo

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। পোষ্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে করে যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর