আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৮৯৭: কুরআন শরিফ খতম এর পর দুআ কবুল হয় এর কোনো দলিল আছে কী

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১২৮৯৭: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কুরআন শরিফ খতম এর পর দুআ কবুল হয় এর কোনো দলিল আছে কী?

তারিখ:  ০৩/০২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 জনৈক মাওলানা বরিশাল   থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, দুআ কবুলের যে সব সময় আছে, পবিত্র কুরআন খতমের পর হলো একটি সময়। দলিল -


হাদিস নং-০১

عن سيدنا العرباض بن سارية رضي الله عنه أنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى صلاة فريضة فله دعوة مستجابة، ومن ختم القرآن فله دعوة مستجابة (المعجم الكبير للطبراني، الرقم: ٦٤٧، وقال العلامة الهيثمي رحمه الله مجمع الزوائد، الرقم: ١١٧١٢: رواه الطبراني، وفيه عبد الحميد بن سليمان وهو ضعيف)

অর্থাৎ হযরত ইরবাদ বিন সারিয়াহ ( রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, " কোন ফরয সালাত আদায় করার পর, সালাত আদায়কারী ব্যক্তির জন্য দু'আ কবূল হওয়া অবধারিত হয়ে পড়ে। কুরআন খতম করার পর, তিলাওয়াতকারী ব্যাক্তির জন্যও দুআ কবূল হওয়া অনিবার্য হয়ে পড়ে। তাখরিজ: আল মু'জামুল কাবীর  তাবরানী-৬৪৭, মাজমাউয যাওয়ায়েদ- ১১৭১২


হাদিস নং-০২

‏حَدَّثَنَا ‏ ‏عَفَّانُ ‏ ‏حَدَّثَنَا ‏ ‏جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ ‏ ‏حَدَّثَنَا ‏ ‏ثَابِتٌ ‏ ‏قَالَ ‏ ‏كَانَ ‏ ‏أَنَسٌ ‏ ‏إِذَا خَتَمَ الْقُرْآنَ جَمَعَ وَلَدَهُ وَأَهْلَ بَيْتِهِ فَدَعَا لَهُمْ ‏: 

অর্থাৎ হজরত আনাস রা. কুরআন খতম করলে পরিবারের লোকদের একত্রিত করে দু’আ করতেন।’ তাখরিজ: তাবারানি-১/২৪২; বায়হাকি -২/৩৬৮; সুনানে দারিমি-৩৫১৭


 এই হাদিস/আসার দ্বারা বুঝা যায় যে, কুরআন খতমের পর দুআ কবুল হয়।


হাদিস নং -০৩

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّهُ مَرَّ عَلَى قَاصٍّ يَقْرَأُ ثُمَّ سَأَلَ فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَلْيَسْأَلِ اللَّهَ بِهِ فَإِنَّهُ سَيَجِيءُ أَقْوَامٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَسْأَلُونَ بِهِ النَّاسَ " . وَقَالَ مَحْمُودٌ وَهَذَا خَيْثَمَةُ الْبَصْرِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْهُ جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ وَلَيْسَ هُوَ خَيْثَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَخَيْثَمَةُ هَذَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ يُكْنَى أَبَا نَصْرٍ قَدْ رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَحَادِيثَ وَقَدْ رَوَى جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ عَنْ خَيْثَمَةَ هَذَا أَيْضًا أَحَادِيثَ .

২৯১৭. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা তিনি এক কুরআন পাঠকারীর পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেনঃ সে কুরআন পড়ে পড়ে মানুষের কাছে ভিক্ষা করছিল। তা দেখে তিনি ইন্না লিল্লাহ্... পড়লেন। পরে বললেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে সে যেন আল্লাহর এর দ্বারা কাছেই কেবল যাচঞা করে। অচিরেই এমন একদল লোকের আবির্ভব ঘটবে যারা কুরআন পড়বে এবং এর ওসীলা দিয়ে মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইবে।


Narrated Al-Hasan:

that ’Imran bin Husain passed by a reciter reciting then he began begging. So he (’Imran) said: ’Indeed we are from Allah and to Him shall we return.’ Then he said: ’I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: ’Whoever recites the Qur’an, then let him ask Allah by it. For indeed there will come a people, who will recite the Qur’an, asking from the people because of it.’"

—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ২৯১৭ (আন্তর্জাতিক নং ২৯১৭)


সারকথা হলো, কোরআন খতম বা পাঠ করার পর দোয়া কবুল হয়, তাই ফোকাহায়ে কেরাম কোরআন খতমের পরে দোয়া করা মুস্তাহাব বলেছেন। যেমন -

فيستحب لمن ختم القرآن أن يدعو بما شاء من خيري الدنيا والآخرة للأدلة السابقة، وراجع الفتوى رقم: 11726.

যে ব্যক্তি কুরআন খতম করেছে তার জন্য পূর্বের প্রমাণের ভিত্তিতে দুনিয়া ও আখেরাতের যা কিছু ভালো জিনিসের জন্য প্রার্থনা করা মুস্তাহাব। সূত্র: আলফাতাওয়া, আদাবুল কুরআন-১১৭২৬ 


  والله اعلم بالصواب