আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৮৮৯: ইমাম তিন রাকাত পর সালাম ফিরিয়েছেন, মুসল্লিরা পরস্পর কথা বলেছে, এখন ইমামের জন্য করণীয় কী?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৮৮৯: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

প্রশ্নঃ চার রাকাত ফরজ নামাযের জামাতে ইমাম সাহেব যদি তিন রাকাত পড়ে দু'দিকে সালাম ফিরান, তারপর মুক্তাদী বললেন, "হুজুর! নামাজ তিন রাকাত হয়েছে এবং পারস্পারিক কথোপকথন হয়েছে" সেই ক্ষেত্রে ইমামের করণীয় কি? 

তারিখ:  ২৫/০১/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ থেকে।


 জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته حمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 


তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো,   নামাজের মধ্যে কথা যে কারণেই হোক ফিকহি হানাফি কোন পার্থক্য করেননি। নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। দলিল -


হাদিস নং-০১ 

حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ "------

আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনুস্ সাব্বাহ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... মু'আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সময় -------

আল্লাহর শপথ করে বলছি, তিনি আমাকে ধমকালেন না বা মারলেন না কিংবা বকাঝকাও করলেন না। বরং বললেনঃ সলাতের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশতঃ তাসবীহ, তাকবীর বা কুরআন পাঠ করতে হবে। তাখরিজ: মুসলিম শরীফ ১০৮৬.


হাদিস নং-০২

حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيْلَ بْنِ أَبِيْ خَالِدٍ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ عَنْ أَبِيْ عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ يُكَلِّمُ أَحَدُنَا أَخَاهُ فِيْ حَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطٰى وَقُوْمُوْا لِلهِ قَانِتِيْنَ} فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوْتِ

অর্থ: হজরত যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সালাতের মধ্যে কথাবার্তা বলতাম আর আমাদের কেউ অন্য ভাইয়ের প্রয়োজন নিয়ে কথা বলতেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُوْمُوْا لِلهِ قَانِتِيْنَ তখন আমাদেরকে চুপ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। তাখরিজ: বুখারী- ৪৫৩৪.১২০০


দ্বিতীয় কথা হলো, ইমাম যদি কথা বা নামাজ ভঙ্গ হয় এরকম কর্ম  করে  থাকেন, তাহলে পুনরায় নামাজ আদায় করবেন।


আর ইমাম যদি কথা বা নামাজ ভঙ্গ হয় এরকম কর্ম না  করে থাকেন, তবুও পুনরায় নামাজ আদায় করাই উত্তম। দলিল -

دفعا للمفاسد في عموم البلوى

অর্থাৎ অর্থাৎ  এমন বহুমাত্রিক সমস্যা, যাতে ব্যাপকভাবে উল্লেখযোগ্য হারে বহু মানুষ নিপতিত, সেই প্রেক্ষিতে বিশৃঙ্খলা নিরসনকল্পে। সূত্র : কিতাবুল মাউসুআতিল কাওয়ায়িদুল ফিকহিয়া-৯/১৬৪


সারকথা হলো,  ইমামের জন্য উত্তম হলো পুনরায় নামাজটি আদায় করা 



  والله اعلم بالصواب