আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

আত্মশুদ্ধি-২২: মুমিনের ছুটি নেই

No Comments

 



*মুমিনের ছুটি নেই* 


#'দেহ প্রাণ থাকা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলার ইবাদতের (হুকুমের) ক্ষেত্রে মুমিনের ছুটি নেই (যদি অক্ষম/ অসুস্থ/বেহুঁশ হয় ভিন্ন কথা)। যেমন -


وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ

এবং পালনকর্তার এবাদত করুন, যে পর্যন্ত আপনার কাছে নিশ্চিত কথা (মৃত্যু ) না আসে। সূরা হিজর-৯৯


# প্রিয় বন্ধুগণ! ঈদের মৌসুমে রাস্তা ঘাটে ঈমানের নূর পাওয়া যায় অর্থাৎ নজর হিফাজতের মাধ্যমে। যেমন,

النظرةُ سهمٌ مسمومٌ من سهامِ إبليسَ من تركَه خوفًا من اللهِ آتاهُ اللهُ إيمانًا يجدُ حلاوتَه في قلبِه

অর্থ: কুদৃষ্টি হলো শয়তানের বিষাক্ত তীর এর মধ্যে একটি তীর। যেহেতু আল্লাহর ভয়ে তা পরিত্যাগ করবে। আল্লাহ তাআলা তাকে এমন ঈমান দান করবেন যার মধুরতা সে অন্তরে উপলব্ধি করবে। তাখরিজ: মুসনাদে শিহাব-৪৩৪; হাকেম-৭৮৭৫


# নজর হিফাজত এতটা জরুরি যে, আল্লাহ তাআলা শরীয়তের অন্যান্য বিধানের বিষয়ে শুধু পুরুষদেরকে সম্বোধন করে এর মধ্যে নারীদেরকে শামিল করেছেন অর্থাৎ নারীদের জন্য আলাদা আয়াত বা সিগাহ ব্যবহার করেননি। যেমন,

وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ

আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। সূরা বাকারা-৪৩


# কিন্তু নজর হেফাজতের বিষয়ে পুরুষ এবং নারীদেরকে আলাদা আলাদা সম্বোধন করেছেন। যেমন,

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ

মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। সূরা নূর-৩০


وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ 

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। সূরা নূর-৩১


# নফল ইবাদতের চেয়ে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে আল্লাহ তাআলা দয়া-রহমত-নৈকট্য বেশি অর্জিত হয়। দলিল-

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺقَالَ اتَّقِ الْمَحَارِمَ تَكُنْ أَعْبَدَ النَّاسِ وَارْضَ بِمَا قَسَمَ اللهُ لَكَ تَكُنْ أَغْنَى النَّاسِ وَأَحْسِنْ إِلَى جَارِكَ تَكُنْ مُؤْمِنًا وَأَحِبَّ لِلنَّاسِ مَا تُحِبُّ لِنَفْسِكَ تَكُنْ مُسْلِمًا وَلَا تُكْثِرْ الضَّحِكَ فَإِنَّ كَثْرَةَ الضَّحِكِ تُمِيتُ الْقَلْب

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিষিদ্ধ ও হারাম জিনিস থেকে বেঁচে থাক, তাহলে তুমি মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় আবেদ (ইবাদতকারী) গণ্য হবে। আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন, তাতেই পরিতুষ্ট থাক, তবে তুমিই মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় ধনী হবে। প্রতিবেশীর প্রতি অনুগ্রহ কর, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মু’মিন বিবেচিত হবে। মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ কর, যা তুমি নিজের জন্য পছন্দ কর, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মুসলিম গণ্য হবে। আর খুব বেশী হাসবে না, কারণ, অধিক হাসি অন্তরকে মেরে দেয়। তাখরিজ: আহমাদ-৮০৯৫, তিরমিযী-২৩০৫


# মানুষের নাফসো মারাত্মক খারাপ, খতরনাক, ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন,

Surah Yusuf, Verse 53:

وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَّحِيمٌ

আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু। সূরা ইউনুস-৫৩


# তাহলে এই নফসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, মুজাহাদা কতদিন পর্যন্ত। এ বিষয়ে হাকিমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত শাহ আশরাফ আলী থানভি রহ. বলেন, এ নফসের বিরুদ্ধে মোজাহাদা মৃত্যু পর্যন্ত করতে হবে, কোন ছুটি নেই।


# আর নফসের বিরোধিতা করে আল্লাহর হুকুম পুরো করলে পুরস্কার সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন। যেমন,


Surah An-Naziat, Verse 40:

وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَىٰ

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে,


Surah An-Naziat, Verse 41:

فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَىٰ

তার ঠিকানা হবে জান্নাত। সূরা নাজিয়াত-৪১


# মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে মৃত্যু পর্যন্ত নফস ও শয়তান এর বিরোধিতা করে আল্লাহকে খুশি করার তৌফিক দান করুন। আমিন!!


পিডিএফ ডাউনলোড-৬৯: ঈদুল ফিতরের আলোচনার নোট

No Comments

 



কিতাবটি পাঠ বা ডাউনলোড করতে ডাউনলোড করুন লেখায় ক্লিক করুন-

ডাউনলোড করুন


জরুরি পরামর্শ: প্রথমে ক্লিকে ডাউনলোড হবে না, এডমিনের কাছে একটি রিকুয়েস্ট আসবে সেটা ওকে করার পর আপনার কাছে একটি মেসেজ যাবে তারপর ওপেন অপশনে ক্লিক করলে পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। সুতরাং একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

জিজ্ঞাসা-১৩২২৩: সাত আটজন মিলে ঈদের জামাআত হবে কি

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩২২৩: 

আসসালামু আলাইকুম। এমো গার্ডর ডিউটির কারনে ঈদ জামাতে শরিক হতে অপারগ হলে 7/8 জন মিলে এমো গাডের জায়গায় পৃথকভাবে জামাত করে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবে কি না? 

তারিখ:৩০/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা   শাকুর হাসান। খোলাহাটি দিনাজপুর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, ইসলামের শিক্ষা হলো জুমাআ/ঈদের নামাজে অধিক মুসলমান/মুসল্লী একত্র হয়ে জামাত আদায় করবে। তাই অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন জামাত করা ইসলামে কাম্য নয়। দলিল- 

عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَشْهَدَ الْجُمُعَةَ مِنْ قُبَاءَ ‏

অর্থ: আবদ্ ইবনু হুমায়দ ও মুহাম্মদ ইবনু মায্যাওয়ায়াহ (রহ.) কুবাবাসী জনৈক ব্যক্তি তাঁর পিতা জনৈক সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূল (ﷺ) আমাদেরকে কুবা থেকে এসেও জুমুআয় হাযির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাখরিজ: তিরমিজি-৫০১


ব্যাখ্যা: মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত এই মসজিদ কুবা গ্রামে অবস্থিত। মসজিদে নববি থেকে এর দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। দেখুন, এতো দূরেও আলাদা জুমুআর অনুমতি দেননি। এতে প্রমাণিত হয়। জুমুআর মসজিদ বা ঈদের জামাত কম হওয়া কাম্য।

দ্বিতীয় কথা হলো, ঈদের নামাজ হওয়ার জন্য জামাত হওয়া শর্ত। আর জামাতের জন্য ইমাম ব্যতীত তিনজন মুসল্লী হতে হয়, ফিকহি হানাফীর মতে। তাই সাত-আট জন লোক মিলে ঈদের নামাজ আদায় করলে, অন্যান্য শর্তাবলী  অনুসরণ করলে, নামাজ সহিহ হয়ে যাবে। যেমন খোলা মাঠে জামাআত হওয়া সুন্নত। বিনা ওজরে মসজিদে আদায় না করা।

দলিল- 


صَلاةُ الرَّجُلِ مَعَ الرَّجُلِ أَزْكَى مِنْ صَلاتِهِ وَحْدَهُ ، وَصَلاةُ الرَّجُلِ مَعَ الرَّجُلَيْنِ أَزْكَى مِنْ صَلاتِهِ مَعَ الرَّجُلِ ، وَمَا كَانُوا أَكْثَرَ فَهُوَ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ

অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

‘নিশ্চয় দু’জনের জামাত একাকী নামাজ আদায়ের চেয়ে উত্তম। তিনজনের জামাত দু’জনের জামাতের চেয়ে উত্তম। জামাতে লোক সংখ্যা যত বেশি হবে মহান আল্লাহর নিকট তা ততই বেশি পছন্দনীয়’। (নাসায়ী: ৮৪৩, আবু দাউদ: ৫৫৪)


كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَخْرُجُ يَوْمَ الفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى المُصَلّى.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন (ঈদের নামাযের জন্য) ঈদগাহে (খোলা মাঠে) যেতেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৬৫


সারকথা হলো, প্রশ্নের বর্ণ মোতাবেক ৭-৮ জন মিলে ঈদের নামাজ পৃথকভাবে আদায় করলে নামাজ সহিহ হবে, যদি তা কাম্য নয়।



  والله اعلم بالصواب

জিজ্ঞাসা-১৩২২২: স্ত্রী স্বামীকে যাকাত দিতে পারবে কি

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩২২২: 

আসসালামু আলাইকুম। আসসালামু আলাইকুম, একজন স্ত্রী চাকুরী করেন । তার ২.৫ ভরি স্বর্ণ আছে । আর শুধু ডিপি এসএ ২৪ হাজার টাকা আছে যা এক বছর পূর্ণ হয়েছে। উক্ত স্ত্রীর স্বামী ঋণগ্রস্ত I প্রশ্ন হলো-

১| উক্ত স্ত্রীর উপর যাকাত ফরয কিনা?

21 ফরয হলে উক্ত টাকা স্বামীকে দিতে পারবে কিনা ঋণ পরিশোধের জন্য ?

তারিখ:৩০/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা কামাল হোসেন বরিশাল থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের মোতাবেক যেহেতু স্বর্ণের সাথে নগদ টাকা তাই তাকে যাকাত আদায় করতে হবে। উল্লেখ্য যে, যষ শুধু স্বর্ণ থাকলে যাকাত আদায় করা লাগতো না। 

জমহুর ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত হলো, সোনা, রূপা, ব্যবসায়ী পণ্য, নগদ টাকা পয়সা সব কিছু মিলিয়ে যদি রুপার নিসাব পরিমাণ হয়, তাহলে তাকে জাকাত আদায় করতে হবে। দলিল- 

হাদিস নং-০১ 

١٠٧٣١ - حدثنا جرير عن عبد الحميد عن ليث عن عطاء أن عمر كان يأخذ العروض في الصدقة من الورق.

 হযরত ওমর (রাযিঃ) যাকাতের নিসাব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সকল পণ্যসামগ্রীর মূল্যমানকে রৌপ্যমূল্য হতে ধার্য করতেন। অর্থাৎ রুপাকে সকল প্রকার পণ্যসামগ্রীর প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের মূল মানদণ্ড / নির্ণায়ক হিসেবে বিবেচনা করেই যাকাতের নিসাব ধার্য করতেন। তাখরিজ: মুসন্নাফে ইবনে আবি শাইবা- ১০৭৩১


হাদিস নং-০২

[٧٠٦٣] عبد الرزاق، عَنِ الثَّوْريِّ قَالَ: فَمَا كَانَ مِنَ الْبَقَرِ لِتِجَارَةٍ فَإِنَّهُ يُقَوَّمُ قِيمَةً لَا يُؤْخَذُ عَلَى هَذَا الْحِسَابِ، إِنَّمَا يُقَوَّمُ قِيمَةً، فَإِذَا بَلَغَ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَفِيهَا الزَّكَاةُ.

অর্থাৎ কোন গরুর পাল যদি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লালন-পালন করা হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলো ব্যবসায়িক অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর আওতাভুক্ত হয়ে যাবে। গৃহপালিত গরুর ক্ষেত্রে গতানুগতিক যাকাতের যে নিসাব প্রচলিত আছে, তা এদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবেনা, বরং তখন রূপাকে প্রকৃত মানদন্ড ধরে সেগুলোর বাজারমূল্য নির্ধারণ করতঃ যাকাতের নিসাব ধার্য করা হবে। সেগুলোর বাজারমূল্য দুইশত দিরহাম তথা রুপার নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত আবশ্যক হয়ে যাবে। ( মুসন্নাফে আব্দুর রাযযাক- ৭০৬৩)


দ্বিতীয় কথা হল স্বামী তার স্ত্রীকে যাকাত দিতে পারবেনা এ বিষয়ে সকল ইমাম একমত। তবে স্ত্রী স্বামীকে যাকাত দিতে পারবে কিনা এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। 

ইমাম মালেক, শাফি, হাম্বলী রহ এবং সাহেবানী এর মতে স্বামী গরিব হলে স্ত্রী স্বামীকে যাকাত দিতে পারবে। 

অপর পক্ষে ইমাম আবু হানিফা রহ  মতে, স্ত্রী স্বামীকে যাকাত দিতে পারবে না। এটাই হানাফী মাযহাবের সিদ্ধান্ত। দলিল- 


لَا تَفْعَلُوا لَو كنت آمُر أحد أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنْ حق» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না, (কস্মিনকালেও) করো না। কেননা আমি যদি (আল্লাহ ব্যতিরেকে) অপর কাউকে সিজদা করতে বলতাম তবে স্বামীদের জন্য রমণীদেরকে সিজদা করার নির্দেশ করতাম। তাখরিজ: সুনানে আবু দাউদ-২১৪০

ব্যাখ্যা: স্বামীর সম্মানের কারণে তাকে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না। নফল দান বা সহযোগিতা করা যেতে পারে। 


عن أبى بكر قال: سمعت وكيعا يذكر عن سفيان أنه قال: لا يعطيها من يجبر على نفقته (المصنف لابن أبى شيبة-6\546، رقم-10644)

قوله: وزوجته وزوجها أى لا يجوز الدفع لزوجته ولا دفع المرأة لزوجها لما قدمنا من عدم قطع المنفعة عنه من كل وجه (البحر الرائق، كتاب الزكاة، باب المصرف، كرتاشى-2\244)


অর্থাৎ আবু বকর, ওয়াকী, সুফিয়ান (রাহি.) সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন, নিজের অধিনস্থ যেসকল ব্যক্তির ভরণপোষণ বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করা লাগে, তাদেরকে যাকাতের সম্পত্তি হতে অনুদান দেয়া যাবেনা। ( মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা; ৫৪৬/৬, নং ১০৬৪৪।


উল্লেখ্য যে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে যাকাত প্রদান করা বৈধ নয়। কারণ একে অপরের থেকে আর্থিক উপকার লাভের সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে নাকচ করা যায়না, বরং কোন না কোন ভাবে রয়েই যায়। যার ফলশ্রুতিতে নিজের যাকাতের অর্থ নিজেরই ভোগ করে ফেলার আশংকা কোনভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায়না। (যাকাতের অর্থ ব্যায়ের খাতের অনুচ্ছেদ, যাকাত অধ্যায়, আল-বাহরুর-রায়েক; করাচী'র সংস্করণ -২৪৪/২)


সারকথা হলো,  উক্ত স্ত্রী লোকের যাকাত আদায় করতে হবে আর ফিকহি হানাফির মতে স্ত্রী স্বামীকে যাকাত দিতে পারবে না।



  والله اعلم بالصواب

আমল ও দুআ-৩৭৪: একটি সুন্দর দোয়া (যা ইমাম আবু হানিফা পাঠ করতেন)

No Comments

 



** একটি সুন্দর দোয়া **

.

হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা শাহ আশরাফ আলী থানভী {رحمه الله} বলেন,

ছোটবেলা একটি কিতাবে দেখেছিলাম,

হযরত ইমাম আবু হানীফা (রহ.) বলেছেন-

“আমি যা কিছু লাভ করেছি তা এই দোয়ার বরকতেই লাভ করেছি। দোয়াটি হলো-

 اللَّهُمّ إنا نَسْتَعِينُكَ عَلَى طَاعَتِكَ

অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার আনুগত্য করার ব্যাপারে আপনার সাহায্য প্রার্থনা করছি।”

.

অতঃপর থানভী (রহ.) বলেন, আমি তখন থেকেই এ দোয়াটির উপর আমল করে আসছি।

ছাত্ররা তাবীয চাইতে আসলে আমি তাদেরকেও এ দোয়াটি শিখিয়ে দিয়ে বলতাম,

প্রত্যেক নামাযের পর এগারোবার এ দোয়াটি পাঠ করবে।

.

হযরত মুফতী মুহাম্মদ শফী {رحمه الله}

~ [কিতাব রেফারেন্স: মাজালিসে হাকীমুল উম্মত: ৩৬৭]

চতুর্থ বর্ষপূর্তি

চতুর্থ বর্ষপূর্তি

No Comments

 

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: *আল-বুরহানের চতুর্থ বছরে পদার্পণ* 


# আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তায়ালার অশেষ দয়া রহমতে, হাটি-হাটি, পা-পা করে আল-বুরহান সফলতার সাথে তিন বছর শেষ করলো।


# ৩০ মার্চ ২০২২ আরটিএসি-১৬ কোর্সের শেষের আগের দিন জন্মলাভ করে।


# কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি যারা প্রতিষ্ঠালগ্নকালে আমাকে সহযোগিতা-উৎসাহ-উদ্দীপনা-প্রেরণা ও সমর্থন করেছেন: আরসিও আব্দুর রহমান সাভার, আরসিও আল-আমিন বরিশাল, আরসি সাদেকুল ইসলাম রংপুর, আরসিও আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ চট্টগ্রাম, আরসিও মাসুম বিল্লাহ নারায়ণগঞ্জ, আরসিও আল-আমিন হাদী ময়মনসিংহ, আরসিও সাদ্দাম হোসেন মুন্সিগঞ্জ, আরসিও নাসির উদ্দিন সাভার আরও অনেকে।

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: # মূলত পেশাগত সহযোগিতা ও মাসআলার দালিলিক সমাধানের জন্য খোলা হয়েছিল। প্রশ্নোত্তর হোয়াটসঅ্যাপে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এটা স্থায়ী পদ্ধতি ছিল না। 


# সর্বপ্রথম এটি ওয়েব সাইটে স্থাপন করার জন্য শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আরসিও আখতারুজ্জামান হাফি দিনাজপুর পরামর্শ দেন তারপর জোরালোভাবে পরামর্শ দেন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আরসিও ইসমাইল মোড়ল হাফি. ঝিনাইদহ।

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: # বিষয়টা নিয়ে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু *আরসিও ইবনে আরসিও* জালাল উদ্দিন ইবনে রিদওয়ানুল আকবার হাফি. ঢাকা এর সহযোগিতায় আল-বুরহান ওয়েবসাইট খোলা হয়।


# তারপর এই ওয়েবসাইট উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতা করেন মেধাবী আরসিও ইব্রাহিম খলিল হাফি. সাতক্ষীরা ও আইটিম্যান আরসিও আবু বকর সিদ্দিক হাফি. নোয়াখালী।

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: # শুরুতে শুধু প্রশ্ন উত্তর ওয়েবসাইটে দেয়া হতো, পরবর্তীতে উম্মাহর খেদমতে যুগউপযোগী, জীবন ঘনিষ্ঠ, আমল-দোয়া সন্নিবেশিত করা হয়েছে। উদাহরণ:

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: ১। মাসআলা মাসায়েল-১১২২ টি

২। আমল ও দোয়া-৩৯০ টি

৩। প্রবন্ধ আর্টিকেল-১০০ টি

৪। স্বাস্থ্য পরামর্শ-১০১

৫। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরামর্শ -৩৮

৬। পরকালীন ভাবনা-১১

৭। ইতিহাস ও সিরাত-২৫

৮। দাম্পত্য পরামর্শ-০৭

৮। নির্বাচিত মাসআলা-২৩

৯। সমকালীন মাসআলা-১২

১০। পর্দানশীল (মহিলা বিষয়ক)-০৪

১১। কবিতা-৪৪

১২। মোটিভেশন ক্লাস-৬০

১৩। বিভিন্ন বিষয় পিডিএফ বই-১০২

১৪‌। ছবি বিহীন ভিডিও-০৬

১৫‌। নসিহা-২৪

১৬। বিবিধ 


সর্বমোট ২২৮১ টি পোস্ট ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়েছে।

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: # ওয়েব সাইটে বরকতে খেদমতটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এই সপ্তাহে ৮৪ টি দেশে ভিজিট হয়েছে, বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এবং google translate এর মাধ্যমে যে কোন ভাষায় পড়াশোনা করা যায়। (অপশনটি আমাদের ওয়েবসাইটে আছে।)

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: # সশস্ত্র বাহিনীর আরসিওদের সর্ববৃহৎ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বর্তমান সদস্য ৩৫৬ জন। 


# সকলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ অদ্যাবধি সুন্দরভাবে খেদমতগুলো আনজাম দেওয়া তৌফিক হচ্ছে। বিভিন্নভাবে আমাকে সহযোগিতা করেন আমার স্নেহের ছোট ভাই আরসিও আসাদুল ইসলাম তানয়িম হাফি. ঢাকা

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: # আল-বুরহানের চতুর্থ বছর পদার্পণ উপলক্ষে সকল সদস্যকে পরিচালক ও এডমিন প্যানেলের পক্ষ থেকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। জাযাকাল্লাহু খাইরান। তাক্বাব্বাল্লাহু মিন্না অমিনকুম’

[3/29, 3:39 PM] Abdur Razzak: # *প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আল বোরহানের খেদমত উপকারিতা, কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনাদের মন্তব্য কামনা করছি।* 


উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে আপনাদের মন্তব্য সবগুলো সংরক্ষিত আছে। ভবিষ্যতে স্মরণিকা হিসেবে বের হতে পারে যদি আল্লাহ তাআলা চায়।

[3/29, 3:45 PM] Abdur Razzak: নোট: আরসিও ফজলুল করিম হাফি ফেনী, আরসিও আবু বকর মানিকগঞ্জ, আরসিও মাহবুবুর রহমান ফাহিম চুয়াডাঙ্গা প্রতিষ্ঠালাগ্নে সঙ্গে ছিলেন নাম বাদ পড়েছে।




[3/29, 3:45 PM] RT Fozlul Korim Feni: আলবুরহান সত্যিকার অর্থে আরসিও জাতির ক্রান্তিকালের দ্রুত সমস্যা সমাধানের মাধ্যম। আমি আল বুরহানের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

[3/29, 3:52 PM] RT Maw Mohibbullah AFMC: আমি আল বুরহানের সার্বিক কল্যান, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

[3/29, 3:55 PM] RT Tanim: আল-বুরহান: জ্ঞানের আলোয় আলোকিত পথচলা


সত্যের সন্ধানে, জ্ঞানের অন্বেষণে, হৃদয়ের প্রশান্তিতে আল-বুরহান এক অবিচল বাতিঘর। দ্বীনি শিক্ষা, নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি ও জাগরণের আলোকবর্তিকা হয়ে, এটি নিরন্তর ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসলামের সৌন্দর্য ও মানবতার বার্তা।


আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে কুরআন- সুন্নাহর আলোকে সাজানোর প্রয়াসে, আল-বুরহান হয়ে উঠেছে এক সুশৃঙ্খল পাঠশালা—যেখানে আছে কুরআন-হাদিসের দিকনির্দেশনা, আত্মশুদ্ধির পথনির্দেশ, আমলের ফজিলত, ইসলামের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সমৃদ্ধ আলোচনা।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় ইসলামের ভূমিকা, স্বাস্থ্য-সচেতনতা, খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত জ্ঞানও এখানে সমান গুরুত্ব পায়। মুসলিম মনীষীদের জীবনাদর্শ, হাদিসের নির্ভুল বিশ্লেষণ, পরকালীন ভাবনা ও দ্বীনি সচেতনতা আমাদের আত্মার খোরাক জোগায়, জীবনকে করে তোলে অর্থবহ।


আল-বুরহান শুধু একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি এক জীবনযাত্রার অংশ। সত্য ও সুন্দরের পথে যারা চলতে চায়, তাদের জন্য এটি নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।


আল্লাহর ভালোবাসায় সিক্ত হৃদয়, সুন্নাহর অনুসরণে সুশৃঙ্খল জীবন, ওহির জ্ঞানে আলোকিত মন—এটাই আল-বুরহানের লক্ষ্য। জ্ঞান ও আমলের সমন্বয়ে আমাদের পথচলা হোক আলোকিত ও কল্যাণময়।


[3/29, 4:07 PM] Rt Deen Muhammad: আল বুরহান আরসিও জাতির জন্য রহমত স্বরূপ। পেশাগত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও ধর্মীয় বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব এর ক্ষেত্রে আল বুরহানের ভূমিকা তুলনাহীন। আমি আল বুরহানের সার্বিক অগ্রগতি উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

[3/29, 4:09 PM] RT Romjan Sir: আল্লাহ্ হিংসুকের হিংসা থেকে হেফাজত করুন। খালিস মাসআলা মাসায়েল এর জগতে অনলাইন জগতে আলোকবর্তিকা এই গ্রুপটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

[3/29, 4:15 PM] RT Md Tazul Islam Sylhet: দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের আলোকে দিক নির্দেশনা দেয়া গ্রুপ বুরহান অতুলনীয়। বুরহানের মাধ্যমে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা মাসায়েল বুরহানের মাধ্যমে পাই।বুরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করছি। বুরহানের অন্যতম পরিচালক প্রিয় আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের সুস্থতা ও নেক হায়াত আল্লাহ তায়ালা এনায়েত করুন।

[3/29, 4:20 PM] RT Nozrul Noyakhali: মহান আল্লাহ আল বুরহানের পথ চলাকে আরো মসৃণ করুক। আমীন।।

[3/29, 4:22 PM] RT Muzzammil Cumillah: আমি *আল বুরহানের* সার্বিক কল্যান, 

অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

[3/29, 4:30 PM] RT md Sabbir Hossain Sylhet: আল- বুরহান নামের মধ্যে যেমন একটা বিশালতা এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে ঠিক তার খেদমতেও আছে বিশালতা ও গ্রহণযোগ্যতা।আল- বুরহান সুনামের সাথে সামনে এগিয়ে চলুক এই দোয়াই করি।

[3/29, 4:31 PM] RT-12462 Sakur Hasan What's Up: Alburhan is our light to lead our daily life. It's solves our necessary problem those are we face in our life. We convey a lot of respects and honours to the leader of alburhan who has establish this. We salute them who are conduct this group effectively. So many cngrasulation s to the honorable members of this group . We r grateful to almighty who has given us a good luck to join this group. Dear brothers, I hope u all participate in this group with pleasure and poudly. I pray to the almighty to give us so much progress, bless and happiness. May help u.

[3/29, 4:35 PM] RT Abu Nayem Jomuna: Alhamdulillah. Al Burhan is an authentic, fantastic and worldwide acceptable platform of life related events which is conducted by a profound knowledgeable person who is always busy to inform the nation every new critical subject with documents easily. We pray to Allah from the core of our hearts for its world wide recognization and development day by day.

[3/29, 5:12 PM] RT MD. RAFIQUL ISLAM 119 Fd Wksp: দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের আলোকে দিক নির্দেশনা দেয়া গ্রুপ বুরহান অতুলনীয়। বুরহানের মাধ্যমে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা মাসায়েল বুরহানের মাধ্যমে পাই।বুরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করছি। বুরহানের অন্যতম পরিচালক প্রিয় আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের সুস্থতা ও নেক হায়াত আল্লাহ তায়ালা এনায়েত করুন।

[3/29, 5:12 PM] RT Abdur Razzak Haoladar: মুহতারাম ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক আল বোরহানের উপকারিতা চতুর্মুখী একজন মানুষ চট করে একটি মাসালা জানার প্রয়োজন হতে পারে আর বোরহান সেই সহযোগিতা দিচ্ছে আমি তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদ কেউ শুকরিয়া জানাচ্ছি।

[3/29, 5:20 PM] RT Shahjan Shekh: ছোট ভাই মুহতারাম আঃ রাজ্জাক, তার গোটা পরিবার এবং বুরহান পেইজের সার্বিক কল্যাণ ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি।

[3/29, 5:20 PM] RT Kamal Vai Barishal: দ্বীনি জটিল মাসআলা মাসায়েলের সুন্দর সহজ ও দালিলিক সমাধানে আলবুরহান আর সি ও জগতের জন্য একজন যোগ্য অভিভাবকের ভুমিকা পালন করে আসছে । আমি আলবুরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি অগ্রগতি ও সাফল্য কামনা করছি । পাশাপাশি যারা দায়িত্বশীল বিশেষ করে আঃরাজ্জাক ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দুআ করি I

[3/29, 5:29 PM] RT Nurul Islam Denazpur: আল বুরহান আমাদের জন্য আসলেই পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে একটি বিপ্লব।

[3/29, 5:30 PM] RT Md Amj Hossain Rongpur: আমি *আল বুরহানের* সার্বিক কল্যান, 

অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।সেই সাথে আল্লাহ বুরহানের পরিচালক ও তার পরিবার পরিজন সহ সকলের হায়াতে তৈয়্যিবাহ্ সিহহাতে কুললিয়া নসীব করুন।

[3/29, 5:33 PM] RT Harun Jashor: আল বোরহান আমাদের পেশাগত সমস্যার সমাধানের সর্বোত্তম মাধ্যম। আমি বোরহানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের মঙ্গল কামনা করছি।

[3/29, 5:37 PM] RT anwarulambia93@gmail.com: আমি আল বুরহানের সার্বিক কল্যান, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

[3/29, 5:49 PM] RT Saiful Vai 8EB: আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বোরহানের উত্তরোত্তর সাফল্য, অগ্রগতি, আর ও অধিক প্রচার ও প্রসার কামনা করছি ‌। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন। আমীন

[3/29, 5:55 PM] RT Bin Yeamin Navy: আল বোরহান শরঈ হুকুম আহকামের যুগ উপযোগী সমাধান দিয়ে চলে আসছে।আমি আল বোরহানের চতুথ`বছরে এর

সফলতা কামনা করি।

[3/29, 6:00 PM] RT Shafiqul Islam Tanggail: আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহর অপার করুণায় আলবোরহান বিশ্ববরেণ্য বোরহান মোসলিম জাতির গর্ব। আরসিও মোঃ শফিকুল ইসলাম।

[3/29, 6:07 PM] RT Md Abdus Sakur Air Force: আলহামদুলিল্লাহ, মহান রবের অজস্র কৃতজ্ঞতা মুসলিম উম্মাহর দ্বীনি খেদমতের জন্য 'আল-বুরহান' ওয়েব সাইটটিকে তিনি কবুল করেছেন। ধর্মীয় ও জাগতিক বিভিন্ন সমস্যার দালিলিক সমাধান দেওয়া হয় এখানে। এতে দেশ বিদেশের হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হচ্ছে। জেনে আমল করতে পারছে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কাংখিত সমাধান। আধুনিক বিশ্বে মানব সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে অনলাইন জীবন ব্যবস্থা। এখানে অভিজ্ঞ জ্ঞানি ব্যক্তিদের মানব সেবায় কাজ করার ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সে হিসেবে মুহতারাম বড় ভাই মুফতি আব্দুর রাজ্জাক তার জ্ঞানের ঝর্ণা থেকে নিরলসভাবে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি এই সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হচ্ছে–এটিই এর মাকবুলিয়াতের বড় প্রমাণ। মহান আল্লাহ মুফতি আবদুর রাজ্জাক ভাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং তার এই প্রচেষ্টাকে সর্বোচ্চ মাকবুলিয়াত দান করুন। আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।

[3/29, 6:47 PM] RT Md,Sadequl Islam: আলহামদুলিল্লাহ, আল বুরহানের চতুর্থবর্ষপুর্তিতে সকল সদস্যকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি।বুরহানের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংশ্লিষ্ট থাকতে পেরে মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।আল্লাহ বুরহানকে কবুল করুক।

আরসিও ছাদেকুল ইসলাম, বাংগুই সেন্ট্রাল আফ্রিকা থেকে।

[3/29, 6:55 PM] RT Nurul AMIN Lilfamari: মুফতী আব্দুর রাজ্জাক হাফিজাহুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত আল-বুরহানকে আল্লাহ জাল্লা শানুহু বিশ্বব্যাপী علم পিপাসু বান্দাহদের ইলমে ওয়াহীর সমুজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে কবুল করে গোটা দুনিয়ায় اعلاء كلمة الله বিজয়ী পতাকাকে উড্ডয়নের গুরুত্বপূর্ণ ইলমী ভূমিকা পালনের তাওফিক দান করুন। আমীন।। 

(নূরুল আমীন, নীলফামারী)

[3/29, 6:57 PM] Rt 31st: আল বুরহান আরসিওগণের জন্য দলীল স্বরূপ। পেশাগত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও ধর্মীয় বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব এর ক্ষেত্রে আল বুরহানের ভূমিকা তুলনাহীন। আমি আল বুরহানের সার্বিক অগ্রগতি উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। সেই সাথে অনুজ আরসিও আব্দুর রাজ্জাক সাহেব উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

[3/29, 7:05 PM] Rt Momtaj: ধর্মীয় জীবন জিজ্ঞাসার নির্ভরযোগ্য সমাধানের বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম আল-বুরহানের উত্তরোত্তর বিকাশ ও সাফল্য কামনা করি।

[3/29, 7:05 PM] RT Abul Kalam Azad 55MP: আল বুরহান এর অবদান অনস্বীকার্য

[3/29, 7:06 PM] RT Mahbub Norail: আল- বুরহান মুসলিম মিল্লাতের কল্যাণে এগিয়ে যাক এই কামনাই করি।

[3/29, 7:07 PM] RT-12462 Sakur Hasan What's Up: Al burhan will creat a new revolution in Rcos society and also creat intellectual sprit among us.

[3/29, 7:18 PM] RT Hafez Ahsan Habib Naoga: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সকল ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাদের নিকট "আল-বুরহান " এক সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে চলছে। যুগ জিজ্ঞাসার যেকোনো সমাধান দলিল প্রমাণ সহ আমরা নিমিষে পেয়ে যাচ্ছি। এজন্য আমি আমার অত্যন্ত স্নেহের অনুজ জনাব মুফতি আব্দুর রাজ্জাক সাহেবকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করি। মহান আল্লাহ তাঁর মেধা,যোগ্যতা, ও দক্ষতা আরো বহু গুণে বৃদ্ধি করুন এবং তাঁর এই দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন।

আমি আল-বুরহানের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।

[3/29, 7:27 PM] RT-12462 Sakur Hasan What's Up: I want to alburhan that it will help us to protect our dignity and prosperity. It will help us to spread of Islamic knowledge among the people. It will help us to realise about globalization and modern jaheliat according to modern thought and idea of Islam. Also it will take a step to spread modern technological knowledge among us.

[3/29, 7:41 PM] RT Al Amin Barishal: #আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহ সুবহানাল্লাহু ওয়াতাআ'লার অশেষ দয়ায় "আল-বুরহান" তৃতীয় বর্ষ শেষকরে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে,"আল-বুরহানের"এই শুভক্ষণে পরিচালক মুহ্তারাম মুফতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ভাইকে ও এরসাথে জড়িত সকলকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। 


#আল্লাহ সুবহানাল্লাহু ওয়াতাআ'লা আপনাদের সকল প্রকার খেদমতকে কবুল করুণ। 


#আল-বুরহান সত্যিই জ্ঞাণ পিপাসুদের মনের গভীরে জায়গা করে নিয়েছে তাঁর মননশীল লেখনী,যুগ জিজ্ঞাসার জবাব এবং জটিল ও কঠিন মাস্আলা-মাসায়েলের সমাধান দেয়ার মাধ্যমে। 


#আমি মহান মুনিব আল্লাহ সুবহানাল্লাহু ওয়াতাআ'লার নিকট আল-বুরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি,অগ্রগতি,সমৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব কামনা করছি।

[3/29, 9:53 PM] RT Shohid: মহান আল্লাহর কাছে আল বোরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি ও আরো সমৃদ্ধি কামনা করছি। আল্লাহ যেন বোরহানকে অনেক দূর অগ্রসর হওয়ার তৌফিক দান করেন।

[3/29, 10:10 PM] RT Mostakim: আল বুরহানের ৩য় বর্ষ পূর্তিতে আল্লাহর দরবারে অসংখ্য অগণিত শুকরিয়া। আরসিওদের সমসাময়িক প্রয়োজন পূরণে বুরহানের অবদান অতুলনীয়। দোয়া করি বুরহানের জ্যোতি ছড়িয়ে পরুক বিশ্বময়।

[3/29, 10:23 PM] RT MOSHARROF 36 Ad: আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ্ তাআ'লার অশেষ মেহেরবানিতে "আল-বুরহান" তৃতীয় বর্ষ শেষকরে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে,"আল-বুরহানের"এই শুভক্ষণে পরিচালক ও এরসাথে জড়িত সকলকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি । 

আল্লাহ তাআ'লা আপনাদের সকল প্রকার খেদমতকে কবুল করুণ। 

আল-বুরহান সত্যিই জ্ঞাণ পিপাসুদের মনের গভীরে জায়গা করে নিয়েছে তাঁর মননশীল লেখনী,যুগ জিজ্ঞাসার জবাব এবং জটিল ও কঠিন মাস্আলা-মাসায়েলের সমাধান দেয়ার মাধ্যমে। 

আমি মহান আল্লাহ তাআ'লার নিকট আল-বুরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি,অগ্রগতি,সমৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব কামনা করছি।

[3/29, 10:36 PM] RT Kamrul Islam Jamay: আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ,

মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে আল - বুরহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, অগ্রগতি , সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন আল - বুরহান কে সকল প্রকার বাধা বিপত্তি ভেদ করে আরো বহু দূর পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার তৌফিক দান করেন। এই দোয়ায় কামনা করছি। সর্বোপরি আল- বুরহানের পরিচালক ও তার সাথে জড়িত সকল সহকর্মীকে চতুর্থ বর্ষের পদার্পণের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

কামরুল ইসলাম কুমিল্লা

[3/29, 10:47 PM] RT Nurul Haq Jashor: আলহামদুলিল্লাহ আল বুরহান এর জন্য শুভ কামনা। আমাদের প্রত্যহ জীবনের মাসয়ালা মাসায়েল এবং মোটিভেশন ক্লাস পরিচালনায় যে সহযোগিতা পেয়ে যাচ্ছি তা অনস্বীকার্য। আল বুরহান এর পরিচালনা পর্ষদ কে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

[3/29, 11:01 PM] RT Mufid 10 Eb: আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ আল বুরহানের সদস্যরা নিবেদিত প্রাণ হয়ে যেভাবে কাজ করা যাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি মহান আল্লাহর কাছে উত্তম পুরস্কারের আশা রাখছি। তিনি যেন এ কাজকে সাদাকায়ে জারি হিসেবে কবুল করেন। উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি। আমীন

[3/29, 11:17 PM] RT Kamal Vai Barishal: আসসালামু আলাইকুম, একজন স্ত্রী চাকুরী করেন । তার ২.৫ ভরি স্বর্ণ আছে । আর শুধু ডিপি এসএ ২৪ হাজার টাকা আছে যা এক বছর পূর্ণ হয়েছে। উক্ত স্ত্রীর স্বামী ঋণগ্রস্ত I প্রশ্ন হলো-

১| উক্ত স্ত্রীর উপর যাকাত ফরয কিনা?

21 ফরয হলে উক্ত টাকা স্বামীকে দিতে পারবে কিনা ঋণ পরিশোধের জন্য ?

[3/29, 11:43 PM] RT Akhtar Vai: আসসালামুয়ালাইকুম, আমাদের আরসিও সমাজে আল বুরহান এর মত একটি ইলমি প্লাটফর্ম এর প্রয়োজনীয়তা অনেক আগে থেকেই তামান্না করছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ অনুজ সহকর্মী বিদগ্ধ আলেম ও মুফতি আঃ রাজ্জাক হাঃ আমাদের সেই ইলমি খোরাক কিছুটা হলেও মিটায়েছে। আল বুরহান এর মাধ্যমে আমাদের পেশাগত জীবনের অনেক সমস্যা ও ইলমি বিষয়ের অনেক বিষয় দালিলিক ভাবে খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছি।যার দ্বারা আমাদের কর্মজীবন সহজ হচ্ছে,যা অবশ্যই আমাদের জন্য একটি নিয়ামত এবং এর সাথে জড়িত সকলেই ভুয়সি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আজকের এই দিনে প্রানে খুলে দুআ করছি আল্লাহ একে দ্বীনের প্রচার- প্রসার ও মানবতার জন্য কবুল করুন এবং বিশ্বব্যাপী একে সমাদৃত করুন। মাওলানা আঃ রাজ্জাক সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কে আল্লাহ কবুল করুন , উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং কাজে কর্মে ও মন্তব্যে আরো বিনয়ী, পরমতসহিষ্ণু ও মোখলেছ বানিয়ে দিন। আমীন

[3/30, 3:59 AM] RT Md Rahmat 17 Bir: আমি আপনাকে ছোট বলে মনে করি না আপনি জ্ঞানে গুণে অনেক বড় আরো বড় হও অনেক বড় বোরহান পরিবারকে দোয়া কামনায় শেষ করলাম।

[3/30, 5:45 AM] RT Sazzad Vai: বুরহান মানে আরসিও পরিমন্ডলে একটি আস্থার প্রতীক।

বুরহান মানে তৎক্ষণাৎ সকল দীনী সমস্যা সমাধান পাওয়ার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

বুরহান মানে পেশাগত পারস্পরিক সহযোগিতা পাওয়ার একটি চমৎকার প্লাটফর্ম।

বুরহান মানে মুফতি আবদুর রাজ্জাক। আর মুফতি আবদুর রাজ্জাক মানে সকল সমস্যার সমাধান।

দোয়া রইল বোরহানের জন্য। মুফতি আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের জন্য। বোরহানে সংযুক্ত সকল সদস্যের জন্য। মহান আল্লাহ এ খেদমতকে কবুল করুন। আমিন। এর উত্তরোত্তর উন্নতি অগ্রগতি সমৃদ্ধি এবং মক্ববূলিয়াতের কামনা করছি।

[3/30, 5:55 AM] RT Helal Kobir Cox's Bazar: আল-বুরহান একটি প্রবাহমান দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। বুরহানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে মহান রাব্বুল আলামীন জাযায়ে খাইর দান করুন। বিশেষ করে যার নাম উচ্চারণ না করলে শুকরের পরিপূর্ণ হক আদায় হবে না,,,, তিনি হলেন আমাদের আব্দুর রাজ্জাক ভাই🌹 শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি বুরহানে প্রাণের সঞ্চার করছেন প্রতিনিয়ত। বারাকাল্লাহু ফি কুম।

[3/30, 10:44 AM] RT Ihsanul Korim Rajshahi: আল বোরহানের তৃতীয় বর্ষ পূর্তি এবং চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এর এডমিন এবং সদস্যবৃন্দকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন মোবারকবাদ। আল বোরহান আরসিও পরিমন্ডলে বিভিন্ন সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়ার ক্ষেত্রে চমৎকার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আল্লাহ যেন তাদের মেধা যোগ্যতাকে আরো উৎকর্ষতা দান করেন সেই দোয়া করছি।

[3/31, 8:27 AM] Abdur Razzak: *আসসালামু আলাইকুম*

____________________

         🌙*ঈদ মুবারক*🌙


আল-বুরহানের প্রতিষ্ঠাতা, সকল আরসিও সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।

আজকের এই শুভ দিনে ইসলামী জ্ঞান বিনিময় ও জটিল মাসআলার সহজ সমাধানের ক্ষেত্রে আল-বুরহানের নিরলস আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি॥

আগামী দিনেও আল-বুরহানের সর্বোচ্চ জ্ঞান/ইলম আদানপ্রদানের মাধ্যমে মহান আল্লাহ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সকল আরসিওগনকে উজ্জীবিত করবেন সেই প্রত্যাশা করছি॥

মহান আল্লাহ আমাদেরকে উত্তম সাহায্য দান করুন আমিন॥


আরসিও সিরাজ 

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর।


[3/30, 7:53 AM] RT Monirul Haq Jhalokathi: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আল বোরহানের উপকারিতা কার্যকারিতা আমার কাছে অসাধারণ। যখনই কোন সমস্যার সম্মুখীন হই সাথে সাথে আল বোরহানের শরণাপন্ন হই এবং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান পেয়ে যাই। যা আমাকে এতটাই কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে অক্ষম। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আল বোরহানের উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করছি।

[3/30, 8:44 AM] RT Shorif Rajshahi: আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে "আল বুরহান" তৃতীয় বর্ষ শেষ করে চতুর্থ বর্ষে পা রাখল। এজন্য এক ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী। এর অসাধারণ উপকারিতার বর্ণনা করে একে খাটো করবো না। শত ব্যস্ততার মধ্যেও যিনি প্রশ্নের জবাব দেন আল্লাহ পাক যেন তার মেধা, যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা আরো বাড়িয়ে দেন। এ দ্বীনি খেদমত টাকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের পক্ষ থেকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করুন।

[3/30, 9:22 AM] RT Rabiul Islam Denazpur: *আল বোরহান* 

যুগ জিজ্ঞাসার জীবন্ত সমাধান। আর সি ও সমাজের জিজ্ঞাসার সময় উপযোগী সমাধান তাৎক্ষণিক পেয়ে যায়।

তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে আল বোরহানের পরিচালক পাঠক, দর্শক সকলের উত্তরোত্তর উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করছি।

পিডিএফ ডাউনলোড-৬৮: বদর থেকে বালাকোট

No Comments

 


কিতাবটি পাঠ বা ডাউনলোড করতে ডাউনলোড করুন লেখায় ক্লিক করুন-


ডাউনলোড করুন


জরুরি পরামর্শ: প্রথমে ক্লিকে ডাউনলোড হবে না, এডমিনের কাছে একটি রিকুয়েস্ট আসবে সেটা ওকে করার পর আপনার কাছে একটি মেসেজ যাবে তারপর ওপেন অপশনে ক্লিক করলে পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। সুতরাং একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

জিজ্ঞাসা-১৩২২১: ধার বা কর্জ দিয়ে বেশি গ্রহণ করা জায়েয হবে কি

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩২২১: 

আসসালামু আলাইকুম। পাঁচ বছর আগে বন্ধুকে ২ লাখ টাকা ধার দিলাম। যখন স্বর্ণ পাওয়া যেত চার ভরি। ‌

 এখন যদি সে দুই লাখ ফেরত দেয় স্বর্ণ পাওয়া যাবে ধরেন দুই ভরি। তার মানে আমার টাকার ভ্যালু অর্ধেক কমে গেছে।

 ইনসাফ হচ্ছে সে আমাকে ৪ লাখ টাকা ফেরত দেয়া। তাহলে ২ লাখ কি সুদ হবে? 

আর বরাবর দিলে আমার পারচেজ ভ্যালু কমে ২ লাখ টাকার দাম ১ লাখ হয়ে যায়। 

ইসলাম এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করে?

তারিখ:২৯/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা জিয়াউল হক নোয়াখালী থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, স্বর্ণের দাম কম-বেশির সাথে কর্জের কোন সম্পর্ক নেই। উপরোক্ত যুক্তি সঠিক নয়। যেমন, ধরুন! স্বর্ণের দাম কমে গেলে তিনি কি টাকা কম দিতেন। কর্জ দিয়ে বেশি টাকা আদায় করা বা শর্ত/চুক্তি করা হারাম। দলিল-

عن علي بن أبي طالب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: كل قرض جر منفعة، فهو رب

যে ঋণ ঋণদাতার জন্য কোনো ধরনের মুনাফা বয়ে আনে সেটাই রিবা। তাখরিজ: বুলুগুল মারাম-৮১


দ্বিতীয় কথা হলো, ঋণদাতা যদি অতিরিক্ত টাকা পাওয়ার চুক্তিতে এমনটি করে থাকে, তাহলে এটি সুদ হবে। কিন্তু যদি এমন কোন চুক্তি ছিল না, তাহলে ঋণগ্রহীতা যদি স্বেচ্ছায় ঋণ থেকে অতিরিক্ত টাকা প্রদান করে, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজে আছে। এটি সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।

2390 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، بِمِنًى يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَجُلًا تَقَاضَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَغْلَظَ لَهُ فَهَمَّ بِهِ أَصْحَابُهُ، فَقَالَ: «دَعُوهُ، فَإِنَّ لِصَاحِبِ الحَقِّ مَقَالًا، وَاشْتَرُوا لَهُ بَعِيرًا فَأَعْطُوهُ إِيَّاهُ» وَقَالُوا: لاَ نَجِدُ إِلَّا أَفْضَلَ مِنْ سِنِّهِ، قَالَ: «اشْتَرُوهُ، فَأَعْطُوهُ إِيَّاهُ، فَإِنَّ خَيْرَكُمْ أَحْسَنُكُمْ قَضَاءً»


২২৩২। আবু ওয়ালীদ (রাহঃ) ....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে তার পাওনা আদায়ের কড়া তাগাদা দিল। সাহাবায়ে কিরাম তাকে শায়েস্তা করতে উদ্যত হলেন। তিনি বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও। কেননা, পাওনাদারের কথা বলার অধিকার রয়েছে। তার জন্য একটি উট কিনে আন এবং তাকে তা দিয়ে দাও। তাঁরা বললেন, তার উটের চাইতে বেশী বয়সের উট ছাড়া আমরা পাচ্ছি না। তিনি বললেন, সেটিই কিনে তাকে দিয়ে দাও। কারণ, তোমাদের উত্তম লোক সেই, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।

Narrated Abu Huraira:

A man demanded his debts from Allah’s Messenger (ﷺ) in such a rude manner that the companions of the Prophet intended to harm him, but the Prophet (ﷺ) said, "Leave him, no doubt, for he (the creditor) has the right to demand it (harshly). Buy a camel and give it to him." They said, "The camel that is available is older than the camel he demands. "The Prophet (ﷺ) said, "Buy it and give it to him, for the best among you are those who repay their debts handsomely. "

—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২২৩২ (আন্তর্জাতিক নং ২৩৯০)



সারকথা হলো, ঋণদাতা  বেশি নিতে পারবে, যখন ঋণের চেয়ে বেশি দেওয়া-নেওয়ার কোনো শর্ত অথবা প্রচলন না থাকে। যদি এ দুটির কোনো একটি উপস্থিত থাকে তাহলে অতিরিক্ত গ্রহণ করা জায়েয হবে না।

  والله اعلم بالصواب

জিজ্ঞাসা-১৩২২০: "রমজান মাসে যত পারো খাও, এ মাসে কোন হিসেব নেই।" এ কথাটির কোন ভিত্তি আছে কি?

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩২২০:  

আসসালামু আলাইকুম। "রমজান মাসে যত পারো খাও, এ মাসে কোন হিসেব নেই।" এ কথাটির কোন ভিত্তি আছে কি?

তারিখ:২৭/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা   থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, এ কথার কোন ইসলামি শরিয়ায় ভিত্তি নেই।


দ্বিতীয় কথা হলো, কুরআন-সুন্নাহয় উপরোক্ত কথার বিপরীত বর্ণনা পাওয়া যায়, খাওয়া দাওয়া ক্ষেত্রে অপচয় এবং অতিভোজন ক্ষতিকর। 


আয়াত নং-০১

وَكُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ

 তোমরা খাও, পান করো, অপচয় থেকে বিরত থাক, আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। (সুরা আরাফ: ৩১)


আয়াত নং-০২

Surah At-Takathur, Verse 8:

ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ

এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। সূরা ইনশিরাহ-০৮

হাদিস নং-০১ 

مَا مَلَأَ آدَمِيٌّ وِعَاءً شَرًّا مِنْ بَطْنٍ بِحَسْبِ ابْنِ آدَمَ أُكُلَاتٌ يُقِمْنَ صُلْبَهُ فَإِنْ كَانَ لَا مَحَالَةَ فَثُلُثٌ طَعَامٌ وَثُلُثٌ شَرَابٌ وَثُلُثٌ لِنَفَسِهِ

মিকদাম ইবনে মা’দিকারিব (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

মানুষ তার পেটের চেয়ে মন্দ কোনো পাত্র ভর্তি করেনা। আদম সন্তানের জন্য কয়েক লোকমা খাবারই যথেষ্ট যার মাধ্যমে সে নিজের কোমর সোজা রাখতে পারে। যদি এর বেশি খাওয়া প্রয়োজন মনে করে তবে এক-তৃতীয়াংশ খাবার, আরেক তৃতীয়াংশ পানীয় এবং অপর তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখবে। (সুনানে তিরমিজি: ২৩৮০)


হাদিস নং-০২ 

الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

মুমিন এক পেটে খায় আর কাফের সাত পেটে খায়। (সহিহ বুখারি: ৫৩৯৩) 

অর্থাৎ অতিভোজন কাফেরের বৈশিষ্ট্য, মুমিনের অতিরিক্ত আহার করে না।


হাদিস নং-০৩

باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي سَاعَةٍ لاَ يَخْرُجُ فِيهَا وَلاَ يَلْقَاهُ فِيهَا أَحَدٌ فَأَتَاهُ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ " مَا جَاءَ بِكَ يَا أَبَا بَكْرٍ " . فَقَالَ خَرَجْتُ أَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْظُرُ فِي وَجْهِهِ وَالتَّسْلِيمَ عَلَيْهِ . فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ جَاءَ عُمَرُ فَقَالَ " مَا جَاءَ بِكَ يَا عُمَرُ " . قَالَ الْجُوعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَأَنَا قَدْ وَجَدْتُ بَعْضَ ذَلِكَ " . فَانْطَلَقُوا إِلَى مَنْزِلِ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ التَّيِّهَانِ الأَنْصَارِيِّ وَكَانَ رَجُلاً كَثِيرَ النَّخْلِ وَالشَّاءِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ خَدَمٌ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَقَالُوا لاِمْرَأَتِهِ أَيْنَ صَاحِبُكِ فَقَالَتِ انْطَلَقَ يَسْتَعْذِبُ لَنَا الْمَاءَ . فَلَمْ يَلْبَثُوا أَنْ جَاءَ أَبُو الْهَيْثَمِ بِقِرْبَةٍ يَزْعَبُهَا فَوَضَعَهَا ثُمَّ جَاءَ يَلْتَزِمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَيُفَدِّيهِ بِأَبِيهِ وَأُمِّهِ ثُمَّ انْطَلَقَ بِهِمْ إِلَى حَدِيقَتِهِ فَبَسَطَ لَهُمْ بِسَاطًا ثُمَّ انْطَلَقَ إِلَى نَخْلَةٍ فَجَاءَ بِقِنْوٍ فَوَضَعَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَفَلاَ تَنَقَّيْتَ لَنَا مِنْ رُطَبِهِ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَرَدْتُ أَنْ تَخْتَارُوا أَوْ قَالَ تَخَيَّرُوا مِنْ رُطَبِهِ وَبُسْرِهِ . فَأَكَلُوا وَشَرِبُوا مِنْ ذَلِكَ الْمَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مِنَ النَّعِيمِ الَّذِي تُسْأَلُونَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ظِلٌّ بَارِدٌ وَرُطَبٌ طَيِّبٌ وَمَاءٌ بَارِدٌ " . فَانْطَلَقَ أَبُو الْهَيْثَمِ لِيَصْنَعَ لَهُمْ طَعَامًا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَذْبَحَنَّ ذَاتَ دَرٍّ " . قَالَ فَذَبَحَ لَهُمْ عَنَاقًا أَوْ جَدْيًا فَأَتَاهُمْ بِهَا فَأَكَلُوا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " هَلْ لَكَ خَادِمٌ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَإِذَا أَتَانَا سَبْىٌ فَائْتِنَا " . فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَأْسَيْنِ لَيْسَ مَعَهُمَا ثَالِثٌ فَأَتَاهُ أَبُو الْهَيْثَمِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اخْتَرْ مِنْهُمَا " . فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ اخْتَرْ لِي . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمُسْتَشَارَ مُؤْتَمَنٌ خُذْ هَذَا فَإِنِّي رَأَيْتُهُ يُصَلِّي وَاسْتَوْصِ بِهِ مَعْرُوفًا " . فَانْطَلَقَ أَبُو الْهَيْثَمِ إِلَى امْرَأَتِهِ فَأَخْبَرَهَا بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ مَا أَنْتَ بِبَالِغٍ مَا قَالَ فِيهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ أَنْ تَعْتِقَهُ قَالَ فَهُوَ عَتِيقٌ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَبْعَثْ نَبِيًّا وَلاَ خَلِيفَةً إِلاَّ وَلَهُ بِطَانَتَانِ بِطَانَةٌ تَأْمُرُهُ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَاهُ عَنِ الْمُنْكَرِ وَبِطَانَةٌ لاَ تَأْلُوهُ خَبَالاً وَمَنْ يُوقَ بِطَانَةَ السُّوءِ فَقَدْ وُقِيَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .


حدثنا محمد بن إسماعيل، حدثنا آدم بن أبي إياس، حدثنا شيبان أبو معاوية، حدثنا عبد الملك بن عمير، عن أبي سلمة بن عبد الرحمن، عن أبي هريرة، قال خرج النبي صلى الله عليه وسلم في ساعة لا يخرج فيها ولا يلقاه فيها أحد فأتاه أبو بكر فقال " ما جاء بك يا أبا بكر " . فقال خرجت ألقى رسول الله صلى الله عليه وسلم وأنظر في وجهه والتسليم عليه . فلم يلبث أن جاء عمر فقال " ما جاء بك يا عمر " . قال الجوع يا رسول الله قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم " وأنا قد وجدت بعض ذلك " . فانطلقوا إلى منزل أبي الهيثم بن التيهان الأنصاري وكان رجلا كثير النخل والشاء ولم يكن له خدم فلم يجدوه فقالوا لامرأته أين صاحبك فقالت انطلق يستعذب لنا الماء . فلم يلبثوا أن جاء أبو الهيثم بقربة يزعبها فوضعها ثم جاء يلتزم النبي صلى الله عليه وسلم ويفديه بأبيه وأمه ثم انطلق بهم إلى حديقته فبسط لهم بساطا ثم انطلق إلى نخلة فجاء بقنو فوضعه فقال النبي صلى الله عليه وسلم " أفلا تنقيت لنا من رطبه " . فقال يا رسول الله إني أردت أن تختاروا أو قال تخيروا من رطبه وبسره . فأكلوا وشربوا من ذلك الماء فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم " هذا والذي نفسي بيده من النعيم الذي تسألون عنه يوم القيامة ظل بارد ورطب طيب وماء بارد " . فانطلق أبو الهيثم ليصنع لهم طعاما فقال النبي صلى الله عليه وسلم " لا تذبحن ذات در " . قال فذبح لهم عناقا أو جديا فأتاهم بها فأكلوا فقال النبي صلى الله عليه وسلم " هل لك خادم " . قال لا . قال " فإذا أتانا سبى فائتنا " . فأتي النبي صلى الله عليه وسلم برأسين ليس معهما ثالث فأتاه أبو الهيثم فقال النبي صلى الله عليه وسلم " اختر منهما " . فقال يا نبي الله اختر لي . فقال النبي صلى الله عليه وسلم " إن المستشار مؤتمن خذ هذا فإني رأيته يصلي واستوص به معروفا " . فانطلق أبو الهيثم إلى امرأته فأخبرها بقول رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت امرأته ما أنت ببالغ ما قال فيه النبي صلى الله عليه وسلم إلا أن تعتقه قال فهو عتيق . فقال النبي صلى الله عليه وسلم " إن الله لم يبعث نبيا ولا خليفة إلا وله بطانتان بطانة تأمره بالمعروف وتنهاه عن المنكر وبطانة لا تألوه خبالا ومن يوق بطانة السوء فقد وقي " . قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح غر



তার স্ত্রী বললেনঃ আমাদের জন্য মিঠা পানি আনতে গিয়েছেন তিনি। অল্পক্ষণ পরেই আবুল হায়ছাম পানি ভর্তি মশক বয়ে ফিরে এলেন। এরপর তিনি মশকটি রাখলেন এবং জলদি এসে নবী (ﷺ)-কে জাপটে ধরলেন এবং তাঁর জন্য স্বীয় পিতা-মাতা কুরবান হোক কথাটি বললেন। এরপর তাঁদের নিয়ে তার বাগানে গেলেন এবং তাঁদের জন্য একটি বিছানা বিছিয়ে দিলেন। পরে গিয়ে একটি খেজুর গাছ থেকে একটি ছড়া পেড়ে সামনে এনে রাখলেন।


নবী (ﷺ) বললেনঃ আমাদের জন্য পাকাগুলি আলাদা করে নিয়ে আসতে পারলে না?


আবুল হায়ছাম বললেনঃ আমার ইচ্ছা হল, আপনারা কাচা পাকা যা ইচ্ছা পছন্দ করে নেন।

এরপর তাঁরা তা আহার করলেন এবং ঐ পানি পান করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, এ-ও এমন এক নিআমত যে সম্পর্কে কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রশ্ন করা হবে। এই শীতল ছায়া, সুস্বাদু পাকা টাটকা খেজুর আর ঠাণ্ডা পানি (কত নিআমত!)




সারকথা হলো,  



  والله اعلم بالصواب

পিডিএফ ডাউনলোড-৬৭: তারাবিহর পূর্বে আলোচনা (২৭তম তারাবিহ)

No Comments

 


কিতাবটি পাঠ বা ডাউনলোড করতে ডাউনলোড করুন লেখায় ক্লিক করুন-


ডাউনলোড করুন


জরুরি পরামর্শ: প্রথমে ক্লিকে ডাউনলোড হবে না, এডমিনের কাছে একটি রিকুয়েস্ট আসবে সেটা ওকে করার পর আপনার কাছে একটি মেসেজ যাবে তারপর ওপেন অপশনে ক্লিক করলে পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। সুতরাং একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে।


পিডিএফ আরবি ভাষা শিক্ষা-০৬: সহজে তারকিব শিখি-১ম খণ্ড

No Comments

 



কিতাবটি পাঠ বা ডাউনলোড করতে ডাউনলোড করুন লেখায় ক্লিক করুন-

ডাউনলোড করুন


জরুরি পরামর্শ: প্রথমে ক্লিকে ডাউনলোড হবে না, এডমিনের কাছে একটি রিকুয়েস্ট আসবে সেটা ওকে করার পর আপনার কাছে একটি মেসেজ যাবে তারপর ওপেন অপশনে ক্লিক করলে পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। সুতরাং একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

পিডিএফ ডাউনলোড-৬৬: তারাবিহর পূর্বে আলোচনা (২৬তম তারাবিহ)

No Comments

 



কিতাবটি পাঠ বা ডাউনলোড করতে ডাউনলোড করুন লেখায় ক্লিক করুন-


ডাউনলোড করুন


জরুরি পরামর্শ: প্রথমে ক্লিকে ডাউনলোড হবে না, এডমিনের কাছে একটি রিকুয়েস্ট আসবে সেটা ওকে করার পর আপনার কাছে একটি মেসেজ যাবে তারপর ওপেন অপশনে ক্লিক করলে পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। সুতরাং একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

জিজ্ঞাসা-১৩২১৯: মুখ ভরিয়ে বমি করলে রোজা ভেঙে যায় কি

No Comments




জিজ্ঞাসা-১৩২১৯: 

আসসালামু আলাইকুম। হুজুর, জনৈক ব্যক্তি মুখ ভরিয়ে বমি করেছে, এখন কি রোজা ভেঙে ফেলবে?

তারিখ:২৬/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 হাফেজ আলআমিন সাতক্ষীরা থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, একটি ভুল মাসআলা। 

কিছু মানুষের ধারণা, রোযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভেঙে যাবে এবং তার কাযা করতে হবে। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হলেও রোযা ভাঙবে না, কাযাও আদায় করতে হবে না। তবে হাঁ, কেউ যদি রোযা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে তার রোযা ভেঙে যাবে এবং কাযা আদায় করতে হবে।


আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

مَنْ ذَرَعَهُ القَيْءُ، فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ، وَمَنْ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ.

যার অনিচ্ছাকৃত বমি হয়ে যায় তাকে কাযা আদায় করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোযা ভাঙবে না)। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করে সে যেন কাযা আদায় করে (অর্থাৎ তার রোযা ভেঙে যাবে)। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৭২০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬৭৬; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১৫৫৭


সারকথা হলো,  মনে হয় উক্ত ব্যক্তি ইচ্ছে করে বমি করেনি। সুতরাং তিনি রোজা বহাল রয়েছে, রোজা ভাঙবে না।



  والله اعلم بالصواب

প্রচলিত ভুল-১০: একটি ভুল মাসআলা,  রোযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে কি রোযা ভেঙে যায়?

প্রচলিত ভুল-১০: একটি ভুল মাসআলা, রোযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে কি রোযা ভেঙে যায়?

No Comments

 


একটি ভুল মাসআলা

রোযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে কি রোযা ভেঙে যায়?

কিছু মানুষের ধারণা, রোযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভেঙে যাবে এবং তার কাযা করতে হবে। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হলেও রোযা ভাঙবে না, কাযাও আদায় করতে হবে না। তবে হাঁ, কেউ যদি রোযা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে তার রোযা ভেঙে যাবে এবং কাযা আদায় করতে হবে।


আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-


مَنْ ذَرَعَهُ القَيْءُ، فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ، وَمَنْ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ.


যার অনিচ্ছাকৃত বমি হয়ে যায় তাকে কাযা আদায় করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোযা ভাঙবে না)। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করে সে যেন কাযা আদায় করে (অর্থাৎ তার রোযা ভেঙে যাবে)। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৭২০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬৭৬; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১৫৫৭

জিজ্ঞাসা-১৩২১৮: জনৈক সাহাবী নবীজীর নিকট ধনী হওয়ার দোয়ার পিরাপিরি করলে দোয়া করলেন, এই হাদিস শরিফটির রেফারেন্স দরকার

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩২১৮: 

আসসালামু আলাইকুম। আস্সালামুআলাইকুম,মুহতারাম  নিম্নের  বর্ণনাটি হাদীস হলে রেফাঃসহ জানতে চাই। জনৈক সাহাবী নবীজীর নিকট ধনী হওয়ার দোয়ার পিরাপিরি করলে দোয়া করলেন,এতে কিছুদিনের মধ্যে সে ধনী হওয়ায় আস্তে আস্তে আমল কমতে লাগলো,,,,,,,,,অবশেষে বেআমলদার হয়ে মারা গেল।

তারিখ:২৬/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা আবু সুমাইয়া শাহ্ জাহান শেখ বগুড়া থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক হাদিসটি নিম্নরূপ:

جاء ثعلبة بن حاطب الأنصاري إلى رسول الله ﷺ ، وقال : يا رسول الله ادع الله أن يرزقني مالاً ، فقال : ” ويحك يا ثعلبة ، قليل تؤدي شكره خير من كثير لا تطيقه ” ، ثم جاءه بعد مدة وكرر عليه القول فقال له : ” أمالك فيّ أسوة حسنة ، والذي نفسي بيده لو أردت أن تسير الجبال معي ذهباً وفضة لسارت ” ، ثم جاءه بعد مدة وكرر عليه القول وقال : والذي بعثك بالحق لئن رزقني الله مالاً لأعطين كل ذي حق حقه ، فقال له رسول الله ﷺ : ” اللهم ارزق ثعلبة مالاً ” ، فاتخذ غنماً فنمت كما ينمو الدود ، فكان يصلي مع رسول الله الظهر والعصر ويصلي عند غنمه باقي الصلوات ، ثم أصبح لا يشهد مع رسول الله سوى الجمعة ، ثم كثرت غنمه وزادت فتقاعد حتى لا يشهد الجمعة ولا الجماعة .

فقال رسول الله ﷺ ذات يوم : ” ما فعل ثعلبة ؟ ” فقيل له : اتخذ غنماً لا يسعها وادٍ ، فقال : ” يا ويح ثعلبة ، يا ويح ثعلبة ، يا ويح ثعلبة ” ، فلما وجبت الزكاة أرسل الرسول ﷺ رجلان ليجمعا الصدقة وقال لهما : ” مُرا بثعلبة بن حاطب وبرجل من بني سُليم فخذا صدقاتهما .

فمرا على حاطب وأمراه بدفع الزكاة فقال : ما هذه إلا جزية ، ما هذه إلا أخت الجزية ، وطلب منهما العودة إليه عند الفراغ من جمعها ، فذهبا إلى السُلمي فأخرج أطيب ما عنده ، فرجعا إلى حاطب فقال: ما هذه إلا جزية ، ما هذه إلا أخت الجزية ، اذهبا حتى أرى رأيي ، فأقبل الرجلين على رسول الله ﷺ فقال قبل أن يسألهما : ” يا ويح ثعلبة ” ودعا للسُلمي بخير ، فأنزل الله قوله : ( ومنهم من عاهد الله لئن آتانا من فضله لنصدقن …- إلى قوله – وبما كانوا يكذبون ) التوبة 75 ،

فذهب رجل من أقارب ثعلبة يخبره بأن الله أنزل فيه قرآناً ، فخرج ثعلبة حتى أتى رسول الله ﷺ فسأله أن يقبل صدقته فقال : ” إن الله منعني أن أقبل منك صدقتك ” ، فجعل يحثي التراب على رأسه فقال رسول الله ﷺ : ” هذا عملك قد أمرتك فلم تطعني .

فلما قُبض رسول الله ﷺ ، وجاء أبو بكر حين استخلف ، فجاء ثعلبة بصدقته فلم يأخذها أبو بكر ، وكذلك حين استخلف عمر لم يأخذها منه ، وكذلك عثمان حين استخلف رضي الله عن الجميع .

ومات ثعلبة في خلافة عثمان رضي الله عن الجميع .


أخرج هذه القصة ابن جرير الطبري في ” تفسيره ” ( 14 / 370 – رقم 16987 ) ، والطبراني في ” المعجم الكبير ” ( 8 / 260 – برقم 7873 ) ، والواحدي في ” أسباب النزول 


 ইবনে জরীর, ইবনে আবী হাতেম, ইবনে মারদুবিয়া, তাবারানী ও বায়হাকী প্রমুখ হযরত আবূ উমামাহ বাহেলী (রা)-র রিওয়ায়েতক্রমে ঘটনাটি এভাবে উদ্ধৃত করেছেন যে, জনৈক সা’লাবাহ্ ইবনে হাতেব আনসারী রাসূলে করীম (সা)-এর খিদমতে হাযির হয়ে নিবেদন করল যে, হুযূর দোয়া করে দিন যাতে আমি মালদার ধনী হয়ে যাই। তিনি বললেন, তাহলে কি তোমার কাছে আমার তরীকা পছন্দ নয় ? সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন, যদি আমি ইচ্ছা করতাম, তবে মদীনার পাহাড় সোনা হয়ে গিয়ে আমার সাথে সাথে ঘুরত। কিন্তু এমন ধনী হওয়া পছন্দ নয়। তখন লোকটি ফিরে গেল। কিন্তু আবার ফিরে এল এবং আবারো একই নিবেদন করল এ চুক্তির ভিত্তিতে যে, যদি আমি সম্পদপ্রাপ্ত হয়ে যাই, তবে আমি প্রত্যেক হকদারকে তার হক বা প্রাপ্য পৌছে দেব। এতে রাসূলুল্লাহ্ (সা) দোয়া করে দিলেন, যার ফল এই দাঁড়ায় যে, তার ছাগল-ভেড়ায় অসাধারণ প্রবৃদ্ধি আরম্ভ হয়। এমনকি মদীনায় বসবাসের জায়গাটি যখন তার জন্য সংকীর্ণ হয়ে পড়ে, তখন সে বাইরে চলে যায়। তবে যোহর ও আসরের নামায মদীনায় এসে মহানবী (সা)-এর সঙ্গে আদায় করতো এবং অন্যান্য নামায সেখানেই পড়ে নিত, যেখানে তার মালামাল ছিল।


অতঃপর এ সমস্ত ছাগল-ভেড়ার আরো প্রবৃদ্ধি ঘটে, যার ফলে সে জায়গাটিতেও তার সংকুলান হয় না। সুতরাং মদীনা শহর থেকে আরো দূরে গিয়ে কোন একটি জায়গা নিয়ে নেয়। সেখান থেকে শুধু জুম’আর নামাযের জন্য সে মদীনায় আসত এবং অন্যান্য পাঞ্জেগানা নামায সেখানেই পড়ে নিত। তারপর এসব মালামাল আরো বেড়ে গেলে সে জায়গাও তাকে ছাড়তে হয় এবং মদীনা থেকে বহু দূরে চলে যায়। সেখানে জুমআ ও জামাআত সব কিছু থেকেই তাকে বঞ্চিত হতে হয়।


কিছুদিন পর রাসূলুল্লাহ্ (সা) লোকদের কাছে সে লোকটির অবস্থা জানতে চাইলে লোকেরা বলল যে, তার মালামাল এত বেশি বেড়ে গেছে যে, শহরের কাছাকাছি কোথাও তার সংকুলান হয় না। ফলে বহু দূরে কোথাও গিয়ে সে বসবাস করছে। এখন আর তাকে এখানে দেখা যায় না। রাসূলে করীম (সা) একথা শুনে তিনবার বললেন— ياويح ثعلبة অর্থাৎ সা’লাবাহর প্রতি আফসোস! সা’লাবাহর প্রতি আফসোস ! সা’লাবাহর প্রতি আফসোস !


ঘটনাক্রমে সে সময়েই সদকার আয়াত নাযিল হয়, যাতে রাসূলে করীম (সা)-কে মুসলমানদের কাছ থেকে সদকা আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়। خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً তিনি পালিত পশুর সদৃকার যথাযথ আইন প্রণয়ন করিয়ে দু’জন লোককে সদকা উসুলকারী বানিয়ে মুসলমানদের পালিত পশুর সদকা আদায় করার জন্য পাঠালেন এবং তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে দিলেন, যেন তারা সা’লাবাহর কাছে যান। এছাড়া বনী সুলাইমের আরো এক লোকের কাছে যাবার হুকুমও করলেন।


এরা উভয়ে যখন সা’লাবাহর কাছে গিয়ে পৌঁছাল এবং রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর লিখিত ফরমান দেখাল তখন সা’লাবাহ বলতে লাগল, এ তো ‘জিযিয়া’ কর হয়ে গেল যা অমুসলমানদের কাছ থেকে আদায় করা হয়। তারপর বলল, এখন আপনারা যান, ফেরার পথে এখানে হয়ে যাবেন। এঁরা চলে যান।


আর সুলাইম গোত্রের অপর লোকটি যখন মহানবী (সা)-এর ফরমান শুনল, তখন নিজের পালিত পশু উট-বকরীসমূহের মধ্যে যেগুলো সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ছিল তা থেকে সদকার নিসাব অনুযায়ী সে পশু নিয়ে স্বয়ং রাসূল (সা)-এর সে দুই কর্মকর্তার কাছে হাযির হলেন। তাঁরা বললেন, আমাদের প্রতি যে নির্দেশ রয়েছে, পশুসমূহের মধ্যে যেটি উৎকৃষ্ট সেটি যেন না নেই। কাজেই আমরা তো এগুলো নিতে পারি না। সুলাইমী লোকটি বারবার বিনয় করে বললেন, আমি নিজের খুশিতে এগুলো দিতে চাই; আপনারা দয়া করে কবূল করে নিন।


অতঃপর এ দুই কর্মকর্তা অন্যান্য মুসলমানের সদকা আদায় করে সা’লাবার কাছে এলে সে বলল, দাও দেখি সকার আইনগুলো আমাকে দেখাও। তারপর তা দেখে সে কথাই বলতে লাগল যে, এতো এক রকম জিযিয়া করই হয়ে গেল যা মুসলমানদের কাছ থেকে নেয়া উচিত নয়। যা হোক, এখন আপনারা যান, আমি পরে চিন্তা করে একটা সিদ্ধান্ত নেব।


যখন এরা মদীনায় ফিরে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর খিদমতে হাযির হলেন, তখন তিনি তাদের কুশল জিজ্ঞেস করার পূর্বে আবার সে বাক্যটিই পুনরাবৃত্তি করলেন যা পূর্বে বলেছিলেন। অর্থাৎ يا ويح ثعلبة يا ويح ثعلبة يا ويح ثعلبة (অর্থাৎ সা’লাবাহর উপর আফসোস!) কথাটি তিন তিনবার বললেন। তারপর সুলাইমীর ব্যাপারে খুশি হয়ে তাঁর জন্য দোয়া করলেন। এ ঘটনারই প্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়ঃ وَمِنْهُمْ مَنْ عَاهَدَ اللَّهَ অর্থাৎ তাদের মধ্যে কোন কোন লোক এমনও রয়েছে, যারা আল্লাহর সাথে ওয়াদা করেছিল যে, আল্লাহ্ যদি তাদের ধনসম্পদ দান করেন, তবে তারা দান-খয়রাত করবে এবং উম্মতের সৎকর্মশীলদের মত সমস্ত হকদার, আত্মীয়-স্বজন ও গরীব-মিসকীনের প্রাপ্য আদায় করবে। অতঃপর যখন আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে সম্পদ দান করলেন তখন কার্পণ্য করতে আরম্ভ করেছে এবং আল্লাহ্ ও রাসূলের আনুগত্যে বিমুখ হয়ে গেছে। فَأَعْقَبَهُمْ نِفَاقًا فِي قُلُوبِهِمْ অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আল অপকর্ম ও অঙ্গীকার লংঘনের ফলে তাদের অন্তরসমূহে মুনাফিকী বা কুটিলতাকে আরো পাকাপোক্ত করে বসিয়ে দেন যাতে তওবা করার ভাগ্যও হবে না।


জ্ঞাতব্যঃ এতে বোঝা যায় যে, কোন কোন অসৎ কর্মের এমন অশুভ পরিণতি ঘটে যে, তাতে তওবা করার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়। ’নাউযুবিল্লাহ মিনহু’ (এহেন অবস্থা থেকে আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাই)।


হযরত আবূ উমামাহ্ (রা)-র সে বিস্তারিত রিওয়ায়েতের পর—যা এইমাত্র উল্লেখ করা হলো, ইবনে জরীর লিখেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) যখন সা’লাবাহর يا ويح ثعلبة তিন তিনবার বলেন, তখন সে মজলিসে সা’লাবাহর কতিপয় আত্মীয়-আপনজনও উপস্থিত ছিল। হুযূর (সা)-এর এ বাক্যটি শুনে তাদের মধ্য থেকে একজন সঙ্গে সঙ্গে রওয়ানা হয়ে সা’লাবাহর কাছে গিয়ে পৌঁছল এবং তাকে ভর্ৎসনা করে বলল, তোমার সম্পর্কে কোরআনে আয়াত নাযিল হয়ে গেছে। এ কথা শুনে সা’লাবাহ্ ঘাবড়ে গেল এবং মদীনায় হাযির হয়ে নিবেদন করল, হুযূর আমার সদকা কবূল করে নিন। নবী করীম (সা) বললেন, আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে তোমার সদকা কবূল করতে বারণ করে দিয়েছেন। একথা শুনে সা’লাবাহ্ নিজের মাথায় মাটি নিক্ষেপ করতে লাগল।


হুযূর (সা) বললেন, এটা তো তোমার নিজেরই কৃতকর্ম। আমি তোমাকে হুকুম করেছিলাম, কিন্তু তুমি তা মান্য করনি। এখন আর তোমার সদকা কবূল হতে পারে না। তখন সা’লাবাহ অকৃতকার্য হয়ে ফিরে গেল এবং এর কিছুদিন পরই মহানবী (সা)-এর ওফাত হয়ে যায়। অতঃপর হযরত আবূ বকর (রা) খলীফা হলে সা’লাবাহ সিদ্দীকে আকবর (রা)-এর খিদমতে হাযির হয়ে তার সদকা কবুল করার আবেদন জানাল। সিদ্দীকে আকবর (রা) উত্তর দিলেন, যখন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা)-ই কবুল করেন নি, তখন আমি কেমন করে কবুল করব! তারপর হযরত সিদ্দীকে আকবর (রা)-এর ওফাতের পর সা’লাবাহ ফারূকে আযম (রা)-এর খিদমতে হাযির হয় এবং সে আবেদন জানায় এবং একই উত্তর পায়, যা সিদ্দীকে আকবর (রা) দিয়েছিলেন। এরপর হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফত আমলেও সে এ নিবেদন করে। কিন্তু তিনিও অস্বীকার করেন। হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফতকালেই সা’লাবাহর মৃত্যু হয়। (মাযহারী) তাখরিজ: তাবারানি-৭৮৭৩


মাসআলাঃ এখানে প্রশ্ন উঠে যে, সা’লাবাহ যখন তওবা করে উপস্থিত হয়েছিল তখন তার তওবাটি কবূল হলো না কেন। এর কারণ অতি পরিষ্কার; রাসূলুল্লাহ (সা) ওহীর মাধ্যমে জীনতে পেরেছিলেন যে, সে এখনও নিষ্ঠার সাথে তওবা করেনি। তার মনে এখনও নেফাক তথা কুটিলতা রয়ে গেছে। শুধু সাময়িক কল্যাণ কামনায় মুসলমানগণকে প্রতারিত করে রাযী করতে চাইছে মাত্র। কাজেই এ তওবা কবূলযোগ্য নয়। পক্ষান্তরে স্বয়ং রাসূলে করীম (সা)-ই যখন তাকে মুনাফিক সাব্যস্ত করে দিয়েছেন, তখন পরবর্তী খলীফাগণের পক্ষে তার সদকা কবূল করার কোন অধিকারই অবশিষ্ট থাকেনি। কারণ যাকাতের জন্য মুসলমান হওয়া শর্ত। অবশ্য রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর পর যেহেতু কারো অন্তরে নেফাক বা কুটিলতা নিশ্চিতভাবে কেউ জানতে পারে না, কাজেই পরবর্তীকালের জন্য হুকুম এই যে, যে ব্যক্তি তওবা করে নেবে এবং ইসলাম ও ঈমান স্বীকার করে নেবে তার সাথে মুসলমানদের মতই আচরণ করতে হবে, তার মনে যাই কিছু থাক না কেন। —(বয়ানুল কোরআন)





  والله اعلم بالصواب

Stylo

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। পোষ্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে করে যোগাযোগ করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর