আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
سُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً، تَشْفَعُ لِصَاحِبِهَا حَتَّى يُغْفَرَ لَهُ: تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ.
কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে। যে ব্যক্তি নিয়মিত সেই সূরা তিলাওয়াত করবে তার জন্য ক্ষমা আদায় করা পর্যন্ত সূরাটি সুপারিশ করতে থাকবে। সেই সূরা হল, ‘তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক’। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪০০; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৮৯১; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৭৮৭
ইমাম তিরমিযী রাহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
سُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هِيَ إِلَّا ثَلَاثُونَ آيَةً، خَاصَمَتْ عَنْ صَاحِبِهَا حَتَّى أَدْخَلَتْهُ الْجَنَّةَ، وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ.
কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে। নিয়মিত যে ব্যক্তি সেই সূরা তিলাওয়াত করবে তার পক্ষে সে তর্ক করবে। একপর্যায়ে তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। সেটি হল সূরা মুলক। -আলমুজামুল আউসাত তবারানী, হাদীস ৩৬৫৪; আলআহাদীসুল মুখতারাহ লিল মাকদিসী, হাদীস ১৭৩৮
হাদীসটি হাসান।
[হাইসামী রাহ. বলেন-
رواه الطبراني في الصغير والأوسط، ورِجَالُه رِجَالُ الصَّحِيحِ.
দ্রষ্টব্য : মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৭/১২৭]
مَنْ قَرَأَ تَبٰرَكَ الَّذِیْ بِیَدِهِ الْمُلْكُ كُلَّ لَيْلَةٍ مَنَعَهُ اللهُ بِهَا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَكُنَّا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُسَمِّيهَا الْمَانِعَةَ، وَإِنَّهَا فِي كِتَابِ اللهِ سُورَةٌ مَنْ قَرَأَ بِهَا فِي كُلِّ لَيْلَةٍ فَقَدْ أَكْثَرَ وَأَطَابَ.
যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা মুলক পড়বে আল্লাহ তাআলা তাকে এর ওসিলায় কবরের আযাব থেকে মুক্ত রাখবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় এই সূরাকে আমরা বলতাম- ‘মানেআ’ অর্থাৎ কবরের আযাব প্রতিরোধকারী। যে ব্যক্তি প্রতি রাতে এই সূরা তিলাওয়াত করল সে অনেক তিলাওয়াত করল এবং উত্তম কাজ করল। -সুনানে কুবরা নাসায়ী, হাদীস ১০৫৪৭; আলমুজামুল কাবীর তবারানী, হাদীস ১০২৫৪; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৮৩৯
হাদীসটি হাসান।
[হাইসামী রাহ. বলেন-
رواه الطبراني في الكبير والأوسط، ورِجَالُهُ ثِقات.
দ্রষ্টব্য : মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৭/১২৭