আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

মোটিভেশন ক্লাস-৩৬: হালাল রিজিক অন্বেষণের গুরুত্ব ও ফজিলত এবং তা দিয়ে পরিবার প্রতিপালন

No Comments

 



প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوْا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِيْن- ‘হে মানব জাতি! তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত ভক্ষণ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (বাক্বারাহ ২/১৬৮)।

কুরতুবী (রহঃ) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বিদ্বানগণের নিম্নোক্ত অভিমত তুলে ধরেছেন-


(১) সাহল বিন আব্দুল্লাহ বলেন,النجاة في ثلاثة : أكل الحلال، وأداء الفرائض، والاقتداء بالنبي صلى آله عليه وسلم. ‘নাজাত তিনটি জিনিসে। তাহ’ল ১. হালাল খাবার গ্রহণ করা, ২. ফরয সমূহ আদায় করা এবং ৩. নবী করীম (ছাঃ)-এর অনুসরণ করা।


وَعَن أبي حرَّة الرقاشِي عَن عَمه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «أَلا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان وَالدَّارَقُطْنِيّ فِي الْمُجْتَبى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। (বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান, দারাকুত্বনী- মুজ্তাবা)


আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।


তিনি আরো বলেন,لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ جَسَدٌ غُذِّيَ بالحرَامِ. ‘হারাম দ্বারা পরিপুষ্ট দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না’।[6]



রাসূলু্ল্লাহ (ছাঃ) বলেন, وَإِنَّ نَبِىَّ اللهِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ كَانَ يَأْكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدِهِ ‘আল্লাহর নবী দাঊদ (আঃ) নিজ হাতে উপার্জন করে খেতেন’।[13]


ইবনু আববাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে যে, كَانَ دَاوُدُ زَرَّادًا وَكَانَ آدَمُ حَرَّاثًا وَكَانَ نُوحٌ نَجَّارًا وَكَانَ إِدْرِيسُ خَيَّاطًا وَكَانَ مُوْسَى رَاعِيًا ‘দাঊদ (আঃ) ছিলেন বর্ম নির্মাতা, আদম (আঃ) ছিলেন কৃষক, নূহ (আঃ) ছিলেন কাঠ মিস্ত্রী, ইদ্রীস (আঃ) ছিলেন দর্জি, মূসা (আঃ) ছিলেন রাখাল’।[14]


আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كَانَ زَكَرِيَّاءُ نَجَّارًا ‘যাকারিয়া (আঃ) ছিলেন কাঠ মিস্ত্রী।[15]


ইদ্রীস (আঃ) : সর্বপ্রথম ইদ্রীস (আঃ) প্রথম ব্যক্তি যিনি সুতার তৈরী সেলাইযুক্ত পোষাক তৈরী করেন।

হাদিস নং-০১

ما أكلَ أحدٌ طعامًا قطُّ ، خيرًا من أنْ يأكلَ من عمَلِ يدِهِ وإنَّ نبيَّ اللهِ داودَ كان يأكلُ من عمَلِ يدِهِ অর্থ: কারও জন্য নিজ হাতের উপার্জন অপেক্ষা উত্তম খাবার নেই। আল্লাহর নবি দাউদ (আ.) নিজ হাতের কামাই খেতেন।[51]


হাদিস নং-০২

 ما بعثَ اللهُ نبيًا إلا ورعى الغنمَ قالوا : وأنت يا رسولَ اللهِ ؟ قالَ : نعم كنتُ أرعاها على قراريطَ لأهلِ مكة 

অর্থ: হজরত আবু হুরাইরা রা থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যত নবি রাসূল পাঠিয়েছেন সকলে ছাগল চরিয়েছেন। সাহাবিগণ বললেন হে আল্লাহর রাসূল আপনিও কি চরিয়েছেন ? তখন রাসুল (ﷺ) বললেন হ্যাঁ! আমি কয়েক কেরাতের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল চরিয়েছি (শ্রম খেটেছি)।[52]


[3/5, 7:26 PM] Abdur Razzak: তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:


«التاجرالصدوق الأمين مع النبيين والصديقين والشهداء»


‘‘সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যবসায়ী (পরকালে) নবী, সিদ্দিকীন ও আল্লাহর পথে জীবন বিসর্জনকারী শহীদদের সঙ্গী হবে।[5]

[3/5, 7:27 PM] Abdur Razzak: এছাড়া মূসা আলাইহিস সালাম মাদইয়ানে ৮ বছর চাকরী করছেন, নূহ আলাইহিস সালাম জাহাজ নির্মান করেছেন। যাকারিয়া আলাইহিস সালাম কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।


আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘সন্তানের পিতার ওপর সন্তানের মায়ের জন্য অন্ন-বস্ত্রের উত্তম পন্থায় ব্যবস্থা করা একান্ত দায়িত্ব।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩৩)


রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেন, ‘মানুষের সর্বোত্তম মুদ্রা সেটি, যা সে তার পরিবারের খরচে ব্যয় করে।’ (মুসলিম, হাদিস ৯৯৪




كانَ النبيُّ صَلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ يَعُودُنِي وأَنَا مَرِيضٌ بمَكَّةَ، فَقُلتُ: لي مَالٌ، أُوصِي بمَالِي كُلِّهِ؟ قالَ: لا قُلتُ: فَالشَّطْرِ؟ قالَ: لا قُلتُ: فَالثُّلُثِ؟ قالَ: الثُّلُثُ والثُّلُثُ كَثِيرٌ، أنْ تَدَعَ ورَثَتَكَ أغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِن أنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ في أيْدِيهِمْ،


অর্থ: হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) রাসূল (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে রাসূলুল্লাহ! আমি কী আমার সমস্ত সম্পদের ওসিয়ত করে যাবো? রাসূল (ﷺ) বললেন, না। ----------------- রাসূল (ﷺ) বললেন, করা যায়, তবে এক তৃতীয়াংশও অনেক। এরপর রাসূল (ﷺ) বলেন, সন্তানদেরকে মালদার রেখে যাওয়া, অসহায় দরিদ্র অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম। কারণ, দরিদ্র রেখে গেলে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরবে আর ভিক্ষা চাইবে।[56]