আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩২১৯: মুখ ভরিয়ে বমি করলে রোজা ভেঙে যায় কি

No Comments




জিজ্ঞাসা-১৩২১৯: 

আসসালামু আলাইকুম। হুজুর, জনৈক ব্যক্তি মুখ ভরিয়ে বমি করেছে, এখন কি রোজা ভেঙে ফেলবে?

তারিখ:২৬/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 হাফেজ আলআমিন সাতক্ষীরা থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, একটি ভুল মাসআলা। 

কিছু মানুষের ধারণা, রোযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভেঙে যাবে এবং তার কাযা করতে হবে। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হলেও রোযা ভাঙবে না, কাযাও আদায় করতে হবে না। তবে হাঁ, কেউ যদি রোযা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে তার রোযা ভেঙে যাবে এবং কাযা আদায় করতে হবে।


আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

مَنْ ذَرَعَهُ القَيْءُ، فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ، وَمَنْ اسْتَقَاءَ عَمْدًا فَلْيَقْضِ.

যার অনিচ্ছাকৃত বমি হয়ে যায় তাকে কাযা আদায় করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোযা ভাঙবে না)। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বমি করে সে যেন কাযা আদায় করে (অর্থাৎ তার রোযা ভেঙে যাবে)। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৭২০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬৭৬; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১৫৫৭


সারকথা হলো,  মনে হয় উক্ত ব্যক্তি ইচ্ছে করে বমি করেনি। সুতরাং তিনি রোজা বহাল রয়েছে, রোজা ভাঙবে না।



  والله اعلم بالصواب