আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩২০৪: ইফতারের আগে সম্মিলিত মোনাজাত কি বিদআত?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩২০৪: 

আসসালামু আলাইকুম। ইউটিউবে জনৈক বক্তা বললেন, ইফতারের আগে সম্মিলিত মোনাজাত বিদআত। আসলেই কি বিদআত? কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সমাধান কামনা করছি।

তারিখ:০৮/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাহবুবুর রহমান সাতক্ষীরা থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, বিদআত বলা  হয় এমন আমল যার অস্তিত্ব কোরআন-সুন্নাহ এবং  সাহাবা-তাবেঈ-তাবে তাবেঈদের যুগে  পাওয়া যায় না।

দ্বিতীয় কথা হলো, এখন আমরা যদি হাদিস ও সাহাবীদের আমল দ্বারা প্রমাণ করি, ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়, সম্মিলিত মোনাজাত বেশি কবুল হয় এবং বিখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. সম্মিলিত দুআ করেছেন ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে তাহলে তো আর বেদআত থাকলো না। দলিল-

হাদিস নং-০১ 

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ سَعْدَانَ الْقُبِّيِّ، عَنْ أَبِي مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مُدِلَّةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثَةٌ لاَ تُرَدُّ دَعْوَتُهُمُ الصَّائِمُ حَتَّى يُفْطِرَ وَالإِمَامُ الْعَادِلُ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ يَرْفَعُهَا اللَّهُ فَوْقَ الْغَمَامِ وَيَفْتَحُ لَهَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ وَيَقُولُ الرَّبُّ وَعِزَّتِي لأَنْصُرَنَّكَ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَسَعْدَانُ الْقُبِّيُّ هُوَ سَعْدَانُ بْنُ بِشْرٍ . وَقَدْ رَوَى عَنْهُ عِيسَى بْنُ يُونُسَ وَأَبُو عَاصِمٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَأَبُو مُجَاهِدٍ هُوَ سَعْدٌ الطَّائِيُّ وَأَبُو مُدِلَّةَ هُوَ مَوْلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَإِنَّمَا نَعْرِفُهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَيُرْوَى عَنْهُ هَذَا الْحَدِيثُ أَتَمَّ مِنْ هَذَا وَأَطْوَلَ .


৩৫৯৮. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি এমন যাদের দুআ রদ হয় নাঃ রোযা পালনকারী, যখন সে ইফতার করে, ন্যায়বান শাসক এবং মযলুমের দুআ; আল্লাহ তাআলা তার দুআ মেঘের উপরে নিয়ে যান, এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ করে দেওয়া হয় উন্মুক্ত আর পরওয়ারদিগার বলেনঃ আমার ইযযতের কসম, কিছুদিন পরে হলেও অবশ্যই তোমাকে আমি সাহায্য করব।


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:

“There are three whose supplication is not rejected: The fasting person when he breaks his fast, the just leader, and the supplication of the oppressed person; Allah raises it up above the clouds and opens the gates of heaven to it. And the Lord says: ’By My might, I shall surely aid you, even if it should be after a while.’”

—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫৯৮ (আন্তর্জাতিক নং ৩৫৯৮)


হাদিস নং-০২

عن حبیب ابن مسلمۃ ۔۔۔ قال سمعت رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم یقول : لا یجتمع ملأفیدعو بعضہم ویؤمن البعض إلا أجابہم اللہ ۔۔۔

    رواہ الحاکم فی مستدرکہ : ۳/۳۴۷ الحدیث ۵۴۷۸

অর্থ: হযরত হাবীব ইবনে মাসলামা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলে কারিম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন “যদি কিছু সংখ্যক লোক একত্রিত হয়ে এভাবে দু‘আ করে যে, তাদের একজন দু‘আ করতে থাকে, আর অপররা ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলতে থাকে, তবে আল্লাহ তা’আলা তাদের দু‘আ অবশ্যই কবুল করে থাকেন। তাখরিজ: তালখীসুয যাহাবী, ৩:৩৪৭ পৃঃ, মুস্তাদ্‌রাকে হাকেম : হাঃ নং ৫৪৭৮


হাদিস নং-০৩

كان عبد الله بن عمرو رضي الله عنه إذا أفطر دعا أهله وولده ودعا. انظر مسند الطيالسي برقم (2262)

অর্থাৎ, হজরত আব্দুল্লাহ বিন আমর ( রাযি.) এর কর্মনীতি ছিলো, যখনই ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসতো, তখনই তিনি নিজ পরিবার ও সন্তান-সন্ততিদেরকে ডেকে নিয়ে দোয়ায় মগ্ন হয়ে যেতেন। ( মুসনাদে তয়ালেসী-২২৬২)


সারকথা হলো,   যেহেতু ইফতারের পূর্বে  একজন সাহাবা পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে সম্মিলিত মোনাজাত করেছেন, সুতরাং এটাকে বেদাত বলার কোন অবকাশ নেই।



  والله اعلم بالصواب