আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩২১৮: জনৈক সাহাবী নবীজীর নিকট ধনী হওয়ার দোয়ার পিরাপিরি করলে দোয়া করলেন, এই হাদিস শরিফটির রেফারেন্স দরকার

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩২১৮: 

আসসালামু আলাইকুম। আস্সালামুআলাইকুম,মুহতারাম  নিম্নের  বর্ণনাটি হাদীস হলে রেফাঃসহ জানতে চাই। জনৈক সাহাবী নবীজীর নিকট ধনী হওয়ার দোয়ার পিরাপিরি করলে দোয়া করলেন,এতে কিছুদিনের মধ্যে সে ধনী হওয়ায় আস্তে আস্তে আমল কমতে লাগলো,,,,,,,,,অবশেষে বেআমলদার হয়ে মারা গেল।

তারিখ:২৬/০৩/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা আবু সুমাইয়া শাহ্ জাহান শেখ বগুড়া থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক হাদিসটি নিম্নরূপ:

جاء ثعلبة بن حاطب الأنصاري إلى رسول الله ﷺ ، وقال : يا رسول الله ادع الله أن يرزقني مالاً ، فقال : ” ويحك يا ثعلبة ، قليل تؤدي شكره خير من كثير لا تطيقه ” ، ثم جاءه بعد مدة وكرر عليه القول فقال له : ” أمالك فيّ أسوة حسنة ، والذي نفسي بيده لو أردت أن تسير الجبال معي ذهباً وفضة لسارت ” ، ثم جاءه بعد مدة وكرر عليه القول وقال : والذي بعثك بالحق لئن رزقني الله مالاً لأعطين كل ذي حق حقه ، فقال له رسول الله ﷺ : ” اللهم ارزق ثعلبة مالاً ” ، فاتخذ غنماً فنمت كما ينمو الدود ، فكان يصلي مع رسول الله الظهر والعصر ويصلي عند غنمه باقي الصلوات ، ثم أصبح لا يشهد مع رسول الله سوى الجمعة ، ثم كثرت غنمه وزادت فتقاعد حتى لا يشهد الجمعة ولا الجماعة .

فقال رسول الله ﷺ ذات يوم : ” ما فعل ثعلبة ؟ ” فقيل له : اتخذ غنماً لا يسعها وادٍ ، فقال : ” يا ويح ثعلبة ، يا ويح ثعلبة ، يا ويح ثعلبة ” ، فلما وجبت الزكاة أرسل الرسول ﷺ رجلان ليجمعا الصدقة وقال لهما : ” مُرا بثعلبة بن حاطب وبرجل من بني سُليم فخذا صدقاتهما .

فمرا على حاطب وأمراه بدفع الزكاة فقال : ما هذه إلا جزية ، ما هذه إلا أخت الجزية ، وطلب منهما العودة إليه عند الفراغ من جمعها ، فذهبا إلى السُلمي فأخرج أطيب ما عنده ، فرجعا إلى حاطب فقال: ما هذه إلا جزية ، ما هذه إلا أخت الجزية ، اذهبا حتى أرى رأيي ، فأقبل الرجلين على رسول الله ﷺ فقال قبل أن يسألهما : ” يا ويح ثعلبة ” ودعا للسُلمي بخير ، فأنزل الله قوله : ( ومنهم من عاهد الله لئن آتانا من فضله لنصدقن …- إلى قوله – وبما كانوا يكذبون ) التوبة 75 ،

فذهب رجل من أقارب ثعلبة يخبره بأن الله أنزل فيه قرآناً ، فخرج ثعلبة حتى أتى رسول الله ﷺ فسأله أن يقبل صدقته فقال : ” إن الله منعني أن أقبل منك صدقتك ” ، فجعل يحثي التراب على رأسه فقال رسول الله ﷺ : ” هذا عملك قد أمرتك فلم تطعني .

فلما قُبض رسول الله ﷺ ، وجاء أبو بكر حين استخلف ، فجاء ثعلبة بصدقته فلم يأخذها أبو بكر ، وكذلك حين استخلف عمر لم يأخذها منه ، وكذلك عثمان حين استخلف رضي الله عن الجميع .

ومات ثعلبة في خلافة عثمان رضي الله عن الجميع .


أخرج هذه القصة ابن جرير الطبري في ” تفسيره ” ( 14 / 370 – رقم 16987 ) ، والطبراني في ” المعجم الكبير ” ( 8 / 260 – برقم 7873 ) ، والواحدي في ” أسباب النزول 


 ইবনে জরীর, ইবনে আবী হাতেম, ইবনে মারদুবিয়া, তাবারানী ও বায়হাকী প্রমুখ হযরত আবূ উমামাহ বাহেলী (রা)-র রিওয়ায়েতক্রমে ঘটনাটি এভাবে উদ্ধৃত করেছেন যে, জনৈক সা’লাবাহ্ ইবনে হাতেব আনসারী রাসূলে করীম (সা)-এর খিদমতে হাযির হয়ে নিবেদন করল যে, হুযূর দোয়া করে দিন যাতে আমি মালদার ধনী হয়ে যাই। তিনি বললেন, তাহলে কি তোমার কাছে আমার তরীকা পছন্দ নয় ? সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন, যদি আমি ইচ্ছা করতাম, তবে মদীনার পাহাড় সোনা হয়ে গিয়ে আমার সাথে সাথে ঘুরত। কিন্তু এমন ধনী হওয়া পছন্দ নয়। তখন লোকটি ফিরে গেল। কিন্তু আবার ফিরে এল এবং আবারো একই নিবেদন করল এ চুক্তির ভিত্তিতে যে, যদি আমি সম্পদপ্রাপ্ত হয়ে যাই, তবে আমি প্রত্যেক হকদারকে তার হক বা প্রাপ্য পৌছে দেব। এতে রাসূলুল্লাহ্ (সা) দোয়া করে দিলেন, যার ফল এই দাঁড়ায় যে, তার ছাগল-ভেড়ায় অসাধারণ প্রবৃদ্ধি আরম্ভ হয়। এমনকি মদীনায় বসবাসের জায়গাটি যখন তার জন্য সংকীর্ণ হয়ে পড়ে, তখন সে বাইরে চলে যায়। তবে যোহর ও আসরের নামায মদীনায় এসে মহানবী (সা)-এর সঙ্গে আদায় করতো এবং অন্যান্য নামায সেখানেই পড়ে নিত, যেখানে তার মালামাল ছিল।


অতঃপর এ সমস্ত ছাগল-ভেড়ার আরো প্রবৃদ্ধি ঘটে, যার ফলে সে জায়গাটিতেও তার সংকুলান হয় না। সুতরাং মদীনা শহর থেকে আরো দূরে গিয়ে কোন একটি জায়গা নিয়ে নেয়। সেখান থেকে শুধু জুম’আর নামাযের জন্য সে মদীনায় আসত এবং অন্যান্য পাঞ্জেগানা নামায সেখানেই পড়ে নিত। তারপর এসব মালামাল আরো বেড়ে গেলে সে জায়গাও তাকে ছাড়তে হয় এবং মদীনা থেকে বহু দূরে চলে যায়। সেখানে জুমআ ও জামাআত সব কিছু থেকেই তাকে বঞ্চিত হতে হয়।


কিছুদিন পর রাসূলুল্লাহ্ (সা) লোকদের কাছে সে লোকটির অবস্থা জানতে চাইলে লোকেরা বলল যে, তার মালামাল এত বেশি বেড়ে গেছে যে, শহরের কাছাকাছি কোথাও তার সংকুলান হয় না। ফলে বহু দূরে কোথাও গিয়ে সে বসবাস করছে। এখন আর তাকে এখানে দেখা যায় না। রাসূলে করীম (সা) একথা শুনে তিনবার বললেন— ياويح ثعلبة অর্থাৎ সা’লাবাহর প্রতি আফসোস! সা’লাবাহর প্রতি আফসোস ! সা’লাবাহর প্রতি আফসোস !


ঘটনাক্রমে সে সময়েই সদকার আয়াত নাযিল হয়, যাতে রাসূলে করীম (সা)-কে মুসলমানদের কাছ থেকে সদকা আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়। خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً তিনি পালিত পশুর সদৃকার যথাযথ আইন প্রণয়ন করিয়ে দু’জন লোককে সদকা উসুলকারী বানিয়ে মুসলমানদের পালিত পশুর সদকা আদায় করার জন্য পাঠালেন এবং তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে দিলেন, যেন তারা সা’লাবাহর কাছে যান। এছাড়া বনী সুলাইমের আরো এক লোকের কাছে যাবার হুকুমও করলেন।


এরা উভয়ে যখন সা’লাবাহর কাছে গিয়ে পৌঁছাল এবং রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর লিখিত ফরমান দেখাল তখন সা’লাবাহ বলতে লাগল, এ তো ‘জিযিয়া’ কর হয়ে গেল যা অমুসলমানদের কাছ থেকে আদায় করা হয়। তারপর বলল, এখন আপনারা যান, ফেরার পথে এখানে হয়ে যাবেন। এঁরা চলে যান।


আর সুলাইম গোত্রের অপর লোকটি যখন মহানবী (সা)-এর ফরমান শুনল, তখন নিজের পালিত পশু উট-বকরীসমূহের মধ্যে যেগুলো সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ছিল তা থেকে সদকার নিসাব অনুযায়ী সে পশু নিয়ে স্বয়ং রাসূল (সা)-এর সে দুই কর্মকর্তার কাছে হাযির হলেন। তাঁরা বললেন, আমাদের প্রতি যে নির্দেশ রয়েছে, পশুসমূহের মধ্যে যেটি উৎকৃষ্ট সেটি যেন না নেই। কাজেই আমরা তো এগুলো নিতে পারি না। সুলাইমী লোকটি বারবার বিনয় করে বললেন, আমি নিজের খুশিতে এগুলো দিতে চাই; আপনারা দয়া করে কবূল করে নিন।


অতঃপর এ দুই কর্মকর্তা অন্যান্য মুসলমানের সদকা আদায় করে সা’লাবার কাছে এলে সে বলল, দাও দেখি সকার আইনগুলো আমাকে দেখাও। তারপর তা দেখে সে কথাই বলতে লাগল যে, এতো এক রকম জিযিয়া করই হয়ে গেল যা মুসলমানদের কাছ থেকে নেয়া উচিত নয়। যা হোক, এখন আপনারা যান, আমি পরে চিন্তা করে একটা সিদ্ধান্ত নেব।


যখন এরা মদীনায় ফিরে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর খিদমতে হাযির হলেন, তখন তিনি তাদের কুশল জিজ্ঞেস করার পূর্বে আবার সে বাক্যটিই পুনরাবৃত্তি করলেন যা পূর্বে বলেছিলেন। অর্থাৎ يا ويح ثعلبة يا ويح ثعلبة يا ويح ثعلبة (অর্থাৎ সা’লাবাহর উপর আফসোস!) কথাটি তিন তিনবার বললেন। তারপর সুলাইমীর ব্যাপারে খুশি হয়ে তাঁর জন্য দোয়া করলেন। এ ঘটনারই প্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়ঃ وَمِنْهُمْ مَنْ عَاهَدَ اللَّهَ অর্থাৎ তাদের মধ্যে কোন কোন লোক এমনও রয়েছে, যারা আল্লাহর সাথে ওয়াদা করেছিল যে, আল্লাহ্ যদি তাদের ধনসম্পদ দান করেন, তবে তারা দান-খয়রাত করবে এবং উম্মতের সৎকর্মশীলদের মত সমস্ত হকদার, আত্মীয়-স্বজন ও গরীব-মিসকীনের প্রাপ্য আদায় করবে। অতঃপর যখন আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে সম্পদ দান করলেন তখন কার্পণ্য করতে আরম্ভ করেছে এবং আল্লাহ্ ও রাসূলের আনুগত্যে বিমুখ হয়ে গেছে। فَأَعْقَبَهُمْ نِفَاقًا فِي قُلُوبِهِمْ অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আল অপকর্ম ও অঙ্গীকার লংঘনের ফলে তাদের অন্তরসমূহে মুনাফিকী বা কুটিলতাকে আরো পাকাপোক্ত করে বসিয়ে দেন যাতে তওবা করার ভাগ্যও হবে না।


জ্ঞাতব্যঃ এতে বোঝা যায় যে, কোন কোন অসৎ কর্মের এমন অশুভ পরিণতি ঘটে যে, তাতে তওবা করার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়। ’নাউযুবিল্লাহ মিনহু’ (এহেন অবস্থা থেকে আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাই)।


হযরত আবূ উমামাহ্ (রা)-র সে বিস্তারিত রিওয়ায়েতের পর—যা এইমাত্র উল্লেখ করা হলো, ইবনে জরীর লিখেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) যখন সা’লাবাহর يا ويح ثعلبة তিন তিনবার বলেন, তখন সে মজলিসে সা’লাবাহর কতিপয় আত্মীয়-আপনজনও উপস্থিত ছিল। হুযূর (সা)-এর এ বাক্যটি শুনে তাদের মধ্য থেকে একজন সঙ্গে সঙ্গে রওয়ানা হয়ে সা’লাবাহর কাছে গিয়ে পৌঁছল এবং তাকে ভর্ৎসনা করে বলল, তোমার সম্পর্কে কোরআনে আয়াত নাযিল হয়ে গেছে। এ কথা শুনে সা’লাবাহ্ ঘাবড়ে গেল এবং মদীনায় হাযির হয়ে নিবেদন করল, হুযূর আমার সদকা কবূল করে নিন। নবী করীম (সা) বললেন, আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে তোমার সদকা কবূল করতে বারণ করে দিয়েছেন। একথা শুনে সা’লাবাহ্ নিজের মাথায় মাটি নিক্ষেপ করতে লাগল।


হুযূর (সা) বললেন, এটা তো তোমার নিজেরই কৃতকর্ম। আমি তোমাকে হুকুম করেছিলাম, কিন্তু তুমি তা মান্য করনি। এখন আর তোমার সদকা কবূল হতে পারে না। তখন সা’লাবাহ অকৃতকার্য হয়ে ফিরে গেল এবং এর কিছুদিন পরই মহানবী (সা)-এর ওফাত হয়ে যায়। অতঃপর হযরত আবূ বকর (রা) খলীফা হলে সা’লাবাহ সিদ্দীকে আকবর (রা)-এর খিদমতে হাযির হয়ে তার সদকা কবুল করার আবেদন জানাল। সিদ্দীকে আকবর (রা) উত্তর দিলেন, যখন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা)-ই কবুল করেন নি, তখন আমি কেমন করে কবুল করব! তারপর হযরত সিদ্দীকে আকবর (রা)-এর ওফাতের পর সা’লাবাহ ফারূকে আযম (রা)-এর খিদমতে হাযির হয় এবং সে আবেদন জানায় এবং একই উত্তর পায়, যা সিদ্দীকে আকবর (রা) দিয়েছিলেন। এরপর হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফত আমলেও সে এ নিবেদন করে। কিন্তু তিনিও অস্বীকার করেন। হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফতকালেই সা’লাবাহর মৃত্যু হয়। (মাযহারী) তাখরিজ: তাবারানি-৭৮৭৩


মাসআলাঃ এখানে প্রশ্ন উঠে যে, সা’লাবাহ যখন তওবা করে উপস্থিত হয়েছিল তখন তার তওবাটি কবূল হলো না কেন। এর কারণ অতি পরিষ্কার; রাসূলুল্লাহ (সা) ওহীর মাধ্যমে জীনতে পেরেছিলেন যে, সে এখনও নিষ্ঠার সাথে তওবা করেনি। তার মনে এখনও নেফাক তথা কুটিলতা রয়ে গেছে। শুধু সাময়িক কল্যাণ কামনায় মুসলমানগণকে প্রতারিত করে রাযী করতে চাইছে মাত্র। কাজেই এ তওবা কবূলযোগ্য নয়। পক্ষান্তরে স্বয়ং রাসূলে করীম (সা)-ই যখন তাকে মুনাফিক সাব্যস্ত করে দিয়েছেন, তখন পরবর্তী খলীফাগণের পক্ষে তার সদকা কবূল করার কোন অধিকারই অবশিষ্ট থাকেনি। কারণ যাকাতের জন্য মুসলমান হওয়া শর্ত। অবশ্য রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর পর যেহেতু কারো অন্তরে নেফাক বা কুটিলতা নিশ্চিতভাবে কেউ জানতে পারে না, কাজেই পরবর্তীকালের জন্য হুকুম এই যে, যে ব্যক্তি তওবা করে নেবে এবং ইসলাম ও ঈমান স্বীকার করে নেবে তার সাথে মুসলমানদের মতই আচরণ করতে হবে, তার মনে যাই কিছু থাক না কেন। —(বয়ানুল কোরআন)





  والله اعلم بالصواب