আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৪১৮: একই ব্যক্তি আযান, ইক্বামত ও ইমামত করতে পারবেন কিনা? শরীয়তের দৃষ্টিতে এর সুনির্দিষ্ট মতামত থাকলে জানালে উপকৃত হবো

No Comments


জিজ্ঞাসা-১২৪১৮:

আসসালামু আলাইকুম,

আমার জানার বিষয় ছিলএকই ব্যক্তি আযানইক্বামত ও ইমামত করতে পারবেন কিনা?  শরীয়তের দৃষ্টিতে এর সুনির্দিষ্ট মতামত থাকলে জানালে উপকৃত হবো। তারিখ: ০৭/০১/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি

মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন কুমিল্লা থেকে।

 

জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলোহ্যাঁ, একই ব্যক্তি আযানইক্বামত ও ইমামত করতে পারবেন। কোন অসুবিধা নেই। কেননা নবীজী ()  থেকেও ইকামত দিয়ে নিজেই ইমামতী করার প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন,

 

عن عقبة بن عامرالجهنى قال: كنت مع النبى صلى الله عليه وسلم فى سفر، فلما طلع الفجر أذن وأقام، ثم أقامنى عن يمينه (المصنف لابن ابى شيبة، كتاب الصلاة، باب ما كان يخفف القراءة فى السفر-3/254، رقم-3708)

অর্থাৎ হজরত ওকবা ইবনে আমের (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবি (এর সঙ্গে সফরে ছিলাম। অতঃপর যখন ফজর উদিত হলে তিনি আজান দিলেন এবং একামত দিলেন। অতঃপর তিনি আমাকে তার ডান পাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন (তিনি ইমামতি করলেন)। তাখরিজ: মুসান্নেফে ইবনে আবি শায়বা-৩৭০৮; বাহরুল আনওয়ার-৮৯ খণ্ড, ৪০৩ পৃ.

 

الأفضل كون الإمام هو المؤذن، وفى الضياء: أنه عليه الصلاة والسلام أذن فى سفر بنفسه وأقام وصلى الظهر

وفى رد المحتار: وقد أخرج الترمذى أنه عليه الصلاة والسلام أذ فى سفر وصلى بأصحابه (الدر المختار مع رد المحتار، باب الاذان، مطلب هل بأثر النبى صلى الله عليه وسلم الأذان بنفسه-2/71

ফতোয়ায়ে শামিতে তিরমিজির রেওয়ায়েত নকল করেছেন- সফরে নবি () আজান দিয়েছেন, একামত দিয়েছেন এবং যোহরের সালাতের ইমামতি করেছেন। সূত্র: রদ্দুল মুহতার-২/৭১

 

দ্বিতীয় কথা হলো,  যিনি আজান দিবেন তিনিই ইকামত দিবেন। দলিল:

 

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، وَيَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ الإِفْرِيقِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ، قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أُؤَذِّنَ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ فَأَذَّنْتُ فَأَرَادَ بِلاَلٌ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ أَخَا صُدَاءٍ قَدْ أَذَّنَ وَمَنْ أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى

 

হান্নাদ (রহঃ) ..... যিয়াদ ইবনুল হারিছ সুদাঈ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যেতিনি বলেন একদিন ফজরের সময় রাসূল () আমাকে আযান দিতে নির্দেশ দিলেন। আমি আযান দিলাম। কিন্তু সালাতের সময় বিলাল ইকামত দিতে চাইলে তিনি বলরেন তোমার সুদাঈ ভাই আযান দিয়েছে। আর যেআযান দেয় সে-ই একাকত দিবে। তাখরিজ: ইবনে মাজাহ ৭১৭তিরমিজি-১৯৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

 

নোট: ইমাম তিরমিজি বলেন, হাদিস দুর্বল, তবে অধিকাংশ আলিম এই হাদিস অনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেন যে আযান দেয় সে-ই ইকামত দিবে।


শেষকথা হলো,   একই ব্যক্তি আযানইক্বামত ও ইমামত করতে পারবেন। কোন সমস্যা নেই। উত্তম হলো যিনি আজান দিবেন, তিনিই একামত দিবেন।  সূত্র:  ফাতাওয়া দারুল উলূমখন্ড: পৃষ্ঠা: ৯৫