✅পবিত্র কুরআনে আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম-এর দুআ: পর্ব ৯
🟢হযরত আইয়ূব আ.-এর দুআ
হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালাম ঐশ্বর্য, প্রাচুর্য ও সন্তান-সন্ততির দিক থেকে অত্যন্ত সফল ও ভাগ্যবান ছিলেন। হঠাৎ করে শুরু হল তার ঈমানী পরীক্ষা। তার সহায়-সম্পদ, পরিবার-পরিজন, শরীর ও প্রাণ মহাসংকটের আবেষ্টনীতে পতিত হল। অর্থবিত্ত ধ্বংস হল, স্বজন-পরিজনের মৃত্যু ঘটল এবং দেহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হল। এ ধরনের মহা দুর্দশায় আপতিত হয়েও তার কোনো অভিযোগ নেই, অনুযোগ নেই; বরং তিনি সবর ও ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহ পাকের নিকট শুধু অবস্থা পেশ করে বললেন,
اَنِّیْ مَسَّنِیَ الشَّیْطٰنُ بِنُصْبٍ وَّ عَذَابٍؕ
“শয়তান তো আমাকে যন্ত্রনা ও কষ্টে ফেলেছে।” -সূরা সাদ ৪১
যেহেতু মন্দ কাজ কোনো না কোনোভাবে শয়তানের প্ররোচনার প্রতিফলন, তাই আইয়ূব আ. তার কষ্ট ও যন্ত্রনার জন্য শয়তানকে দায়ী করেছেন অথবা অসুস্থতার সময় শয়তান তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চেষ্টা করলে তিনি মানসিক কষ্ট পান এবং আল্লাহ তাআলার নিকট এই দুআ করেন।
তারপর হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালাম নিজের অবস্থা প্রকাশের জন্য অতি উচ্চাঙ্গের ও অলঙ্কারমণ্ডিত বর্ণনা ভঙ্গি গ্রহণ করে প্রার্থনা করেন, اَنِّیْ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنْتَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِیْنَۚ
“আমি দুঃখকষ্টে পড়েছি, আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।” -সূরা আম্বিয়া ৮৩
আল্লাহ পাক হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালামের দুআ কবুল করেন। তার যে বিত্তবৈভব ও সন্তান-সন্ততি ধ্বংস হয়ে ছিল, আল্লাহ পাক তার দ্বিগুণ তাঁকে দান করেন। আর তার সুস্থতার জন্য একটি প্রস্রবণ প্রবাহিত করেন, যার সুশীতল পানিতে গোসল করে এবং পানি পান করে তিনি সুস্থ হন।
-----