আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩১৯৬: ইমাম সাহু সিজদা ছেড়ে দিলে নামাজ হবে কি

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৯৬: 

আসসালামু আলাইকুম।  প্রশ্নঃ চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজে ইমাম চতুর্থ রাকাতে না বসে দাঁড়ালেন, মুক্তাদি লুকমা দেয়ার পর বসে নামায শেষ করলেন। সাহু সিজদা দিলেন না। এমাতাবস্হায় নামায় হয়ে যাবে কী? 

তারিখ:২৩/০২/২৫ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ফরিদপুর থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, বর্ণিত ছুরতে তারতিব খেলাফ তথা সোজা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে ইমামের উপর সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব ছিল। 


দ্বিতীয় কথা হলো,  সিজদায়ে সাহু ঐ ওয়াক্তের মধ্যে আদায় করতে না পারলে,সময় শেষ হয়ে গেলে দোহরিয়ে পড়তে হয় না, এমন একটি কওল রয়েছে। তবে রাজেহ তথা প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য হল, দোহরিয়ে পড়তে হবে। সময় থাকুক বা না থাকুক। সতর্কতা এর মাঝেই।

وقد علمت ايضا ترجيح القول بالوجوب فيكون المرجح وجوب الإعادة فى الوقت وبعده (رد المحتار-3/532

অর্থাৎ একথাও জেনেছি যে, প্রধান্য মত হলো, ওয়াজিব। ওয়াক্তের মধ্যে ও পরে পুনরায় আদায় করে দেওয়াই উত্তম। সূত্র: রদ্দুল মুহতার-৩/৫৩২

وإعادتها بتركه عمداً" أي ما دام الوقت باقياً وكذا في السهو إن لم يسجد له، وإن لم يعدها حتى خرج الوقت تسقط مع النقصان وكراهة التحريم، ويكون فاسقاً آثماً، وكذا الحكم في كل صلاة أديت مع كراهة التحريم، والمختار أن المعادة لترك واجب نفل جابر والفرض سقط بالأولى؛ لأن الفرض لايتكرر، كما في الدر وغيره. ويندب إعادتها لترك السنة".

ইচ্ছাকৃতভাবে সালাতের কোন ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সংশ্লিষ্ট নামাজের ওয়াক্ত বাকি থাকা সাপেক্ষে পুনরায় সেই সালাতটি আদায় করতে হবে। অনুরূপভাবে ভুলবশত নামাজের কোন ওয়াজিব আমল ছেড়ে দিলে এবং সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ সিজদায়ে সাহু না দিলে একই হুকুম বাস্তবায়িত হবে। তবে যদি সময় থাকতে থাকতে পুনরায় নামাজ আদায় না করে নিতে পারে, তখন নামাজ পুনরাবৃত্তি করার আবশ্যকীয়তা রহিত হয়ে গেলেও নামাজটি অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে এবং মাকরুহে তাহরীমির সাথে নামাজটা আদায় হবে এবং এই কারণে সে পাপাচারি ও গুনাহগার বলে বিবেচিত হবে। যে সকল সালাত মাকরূহে তাহরীমি এর মতো ত্রুটিসহ সম্পাদিত হয়েছে, সেসকল সালাতের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে। উল্লেখ্য যে, গ্রহণযোগ্য মতানুসারে, ওয়াজিব তরকের কারণে যে নামাজটি পুনরায় পড়া হয়ে থাকে, সেটা হলো পূর্বেকার সালাতের ঘাটতির পরিপূরক একটি নফল নামাজ। সুতরাং ফরজ ছুটে যাওয়া নামাজের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি আরো বেশী স্বাভাবিক। কারণ দুররুল মুখতার সহ আরো অসংখ্য নির্ভরযোগ্য গ্রন্থের বিবরণ মোতাবেক,

একই ফরজ আমলের কোন প্রকার পুনরাবৃত্তি হয়না। উল্লেখ্য যে, সালাতের কোন সুন্নাত আমল ছুটে গেলে সেই সালাত পুনরায় আদায় করা মুস্তাহাব। সূত্র: হাশিয়াতুত তহাবি আলা মারাকিল ফালাহ-২৪৭


সারকথা হলো, নামাজটি মাকরুহের সাথে আদায় হয়েছে। যদি সিজদা সাহু করতে ভুলে যায়, তাহলে ওই নামাজের ওয়াক্ত বাকি থাকা অবস্থায় মনে পড়লে ওই নামাজ পুনরায় পড়ে নেওয়া ওয়াজিব হবে। ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর মনে পড়লে পুনরায় ওই নামাজ পড়া ওয়াজিব নয় বরং মুস্তাহাব।


  والله اعلم بالصواب