জিজ্ঞাসা-১৩০২০:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মুহতারাম, জনৈক অফিসার আমাকে বললেন"নিয়ত করেছি (আরাফাদিবসের নিকীর জন্য)আগামী ২ টি ৯ জিলহজ্বই(বাংলাদেশ ও সৌদীআরব)সিয়াম পালন করবো।"দলীলসহ জানাবেন, আমার নিয়ত ঠিক আছে কিনা? ঠিক হলে অথবা না হলে, কিভাবে?
তারিখ: ১২/০৬/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আবুসুমাইয়া মোঃ শাহজাহান শেখ কুমিল্লা থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, আরাফার দিন কোনটি? এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে:
🔰আরাফা দিবসের ছিয়াম নিয়ে আলীমদের কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়:
==============
১/ একদল আলীম বলেছেন হাজীরা যেদিন আরাফার ময়দানে থাকবেন সেদিন আরাফার সিয়াম আমরা পালন করব।
২/ আরেকদল আলীম বলেছেন নিজ নিজ দেশের জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে আরাফার সিয়াম পালন করব।
৩/ কিছু কিছু আলীম বলেছেন ৮ ও ৯ জিলহজ্জ উভয় দিন সিয়াম পালন করব যাতে উপরের উভয় মতের মধ্যে সমন্বয় হয়ে যায়।
৪/ নতুন সল্পসংখ্যক আলীম বলেছেন ৮ ও ৯ তারিখে সিয়াম পালন করা নতুন বিদআত এবং তারা জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখেই সিয়াম পালনের কথা বলেছেন।
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও নিরাপদ মতামত হলো, এ সম্পর্কে
*শাইখ ইবনু উসাইমীন (রহ) কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন,*
سئل الشيخ ابن عثيمين رحمه الله عما إذا اختلف يوم عرفة نتيجة لاختلاف المناطق المختلفة في مطالع الهلال فهل نصوم تبع رؤية البلد التي نحن فيها أم نصوم تبع رؤية الحرمين ؟
فأجاب فضيلته بقوله : هذا يبنى على اختلاف أهل العلم : هل الهلال واحد في الدنيا كلها أم هو يختلف باختلاف المطالع ؟
والصواب أنه يختلف باختلاف المطالع ، فمثلا إذا كان الهلال قد رؤي بمكة ، وكان هذا اليوم هو اليوم التاسع ، ورؤي في بلد آخر قبل مكة بيوم وكان يوم عرفة عندهم اليوم العاشر فإنه
“আল্লাহ যদি চান যে, মক্কার চেয়ে একদিন পরে অন্য দেশে চাঁদ দেখা যাবে। সুতরাং মক্কার নবম দিন (অর্থাৎ আরাফাহ) তাদের ভূমিতে অষ্টম দিন - অতএব, তাদের উচিত নয়তম দিনটি তাদের অনুসারে রোজা রাখা যা মক্কার ১০ তারিখের সাথে মিলে যায়।"
*[মাজমু'আল-ফাতাওয়া/২০, কিতাবুল সিয়াম]*
والله اعلم بالصواب