আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।
No Comments

 


*হযরত ডাক্তার আব্দুল হাই আরেফী (রহঃ) এর মুজাহাদা*

━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━ 


আমাদের হযরত ডাক্তার আব্দুল হাই আরেফী রহ. হোমিও ডাক্তার ছিলেন। তিনি চেম্বার করতেন। হযরত থানভী রহ.-এর অনুমতিতে চেম্বার শুরু করেছেন। প্রথমে তিনি ওকালতি করতেন। যখন চেম্বার আরম্ভ করলেন তখন সেখানে নারী, পুরুষ সবই আসতে লাগল। হযরত বলেন- প্রথমে আমি কোন কোন সময় চিকিৎসা করার জন্য রোগীর বাসায়ও যেতাম। একবার আমাকে এক বাসায় ডাকা হল। সেখানে রোগী ছিল এক মহিলা। সেখানে গিয়ে দেখলাম পোষাকে তার পূর্ণ শরীরও ঢাকা নেই। খুব পেরেশান হলাম। ইয়া আল্লাহ! এ কোন মসিবতে পড়লাম। এখন আমার কি হবে? অবশ্য আল্লাহ হেফাজত করলেন।


পরে আমি হযরত থানভী রহ. কে চিঠি লিখলাম। হযরত! আমি আগে আইন পেশায় জড়িত ছিলাম। সেখানেও অন্য ধরনের ফেতনা ছিল। আর এই ডাক্তারীতে আরেক ধরনের ফেতনা। সবসময় মহিলাদের সম্মুখীন হতে হয়। আমি এখন কি করব? আমার চিঠির জবাবে হযরত দুটি মাত্র কথা লিখলেন। হযরত লিখলেন 'আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করে আপনার অন্তর ও আপনার দৃষ্টি হেফাজত করুন। আমিও দোয়া করছি'। হযরত (আরেফী রহ.) বলেন, এই চিঠি পেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করে চেম্বারে বসলাম, এর ফল এই দাঁড়াল যে, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমার অন্তর এ বিষয়ে যেন পাথর হয়ে গেল।


হযরত (আরেফী রহ.) আরো বলেন, প্রথমে আমার চিন্তা হল, দৃষ্টি অবনত রাখা বিশেষত যখন কোন নারী সামনে এসে পড়বে তখন তো অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ভাবলাম, আমি তো সবসময় দৃষ্টি অবনত রাখার অভ্যাস করে নিতে পারি। সামনে চাই পুরুষ থাকুক বা নারী, আমি সবার সঙ্গেই দৃষ্টি নত রেখে কথা বলব। ফলে আমি অনেক মাস পর্যন্ত অনুশীলন করলাম। সামনে পুরুষ হোক আর নারী, কখনো দৃষ্টি উঠিয়ে দেখতাম না। যার সঙ্গেই কথা বলতাম দৃষ্টি নত রেখে কথা বলতাম। যার ফলে এখন আমার খবরই হয় না যে, আমার সামনে পুরুষ বসা আছে না নারী বসা আছে। বৃদ্ধ বসা না জোয়ান। সুতরাং আমাদের বাঁচার পথ একটাই। তা হল দৃষ্টি অবনত রাখা।


Collected

────⊱◈🌼◈⊰─────