আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩০১৯: হাজিদের জন্য ঈদুল আযহার নামাজের হুকুম কি

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩০১৯: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মুহতারাম মুফতি সাহেব ! আমার জানার বিষয় হল হাজী সাহেবগণ জিলহজের ১০ তারিখ ঈদের নামাজ আদায় করেন কিনা তাদের জন্য কি হুকুম আশা করি জানিয়ে উপকৃত করবেন জাযাকাল্লাহ খাইরান ফিদ্দারাইন মাআসসালাম!

তারিখ: ১১/০৬/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা আনোয়ার হোসেন সিলেট থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, জমহুরের মতে; ১০ জিলহজ অর্থাৎ ইয়ামুন নাহার তথা কুরবানীর দিনে হাজীদের জন্য ঈদুল আযহার নামাজ নেই। দলিল-

حاشية الصاوي على الشرح الصغير: ولا تسن له صلاة العيد بمنى ولا بالمسجد الحرام، لأن الحاج لا عيد عليه، وما يقع الآن من صلاة العيد بالمسجد الحرام بعد رميهم جمرة العقبة فعلى غير مذهبنا.

অর্থাৎ, হজ্জ পালনকারী ব্যক্তির জন্য মিনা কিংবা মসজিদুল হারামে ঈদের সালাত আদায় করা সুন্নাহ নয়। কারণ হজ পালনকারী ব্যক্তির জন্য কোন ঈদ নেই। তবে জামরাতুল আঁকাবায় পাথর নিক্ষেপের পরে মসজিদুল হারামে যে ঈদের সালাত পালিত হয়, সেটা আদায় করা আমাদের মাজহাবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সূত্র: কিতাবু হাশিয়াতিল ছবি আলাল শারয়িস সগির-১/২৭৯



সারকথা হলো,  হাজী সাহেবগণ জিলহজের ১০ তারিখ ঈদের নামাজ আদায় করেন না এবং তাদের জন্য ঈদের সালাত আদায় করা সুন্নাত/জরুরি নয়।



  والله اعلم بالصواب