আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩০৩৮: দৃশ্যমান দাদ-একজিমার কারণে জামাআতে নামাজ না পড়ার বিধান

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩০৩৮: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। হাত-পায়ে দৃশ্যমান দাদ-একজিমা/চুলকানি টাইপের ছোঁয়াছে রোগ নিয়ে মসজিদে / জামাআতে নামাজে শরীক হওয়ার ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী? 

বি:দ্র: কোনো রোগ ছোঁয়াছে না হলেও এধরনের দৃশ্যমান রোগ নিয়ে কারও পাশে নামাজে দাঁড়ালে তারা নামাজে খুব অস্বস্তি ফিল করে,তাদের মধ্যেও সংক্রমণের ভীতি কাজ করে।

তারিখ: ২৯/০৬/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  আব্দুর রহমান সাভার থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। দলিল-


مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ ‏”‏ لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلاَةُ الَّتِي صَلَّى

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনা সত্ত্বেও কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামাতে নামাজ আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) নামাজ কবুল হবে না। (অর্থাৎ তার নামা্জকে পরিপূর্ণ নামাজ হিসেবে গণ্য করা হবে না)। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কী? নবী ﷺ বললেন, ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা। তাখরিজ: সূনান আবু দাউদ ৫৫১


দ্বিতীয় কথা হল, বাস্তবে পক্ষে যদি মুসল্লির পাশে দাঁড়ানোর কারণে তারা ঘৃণা বা অস্বস্তি বোধ করে তাহলে আপাতত নেই জামাতে শরীর হবে না। দলিল-


عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَارْجِعْ»

আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) সুত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাকীফ গোত্রীয় প্রতিনিধি দলের মাঝে একজন কুষ্ঠ রোগী ছিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে (সংবাদ) পাঠালেন যে, আমরা তোমাকে বায়আত করে নিয়েছি। তুমি ফিরে যাও। তাখরিজ:সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২৩১


সারকথা হলো,  উক্ত ব্যক্তি ক্ষতস্থান ঢেকে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা চেষ্টা করবে, যদি ঢাকা সম্ভব না হয় এবং বাস্তবিক পক্ষে যদি লোকজন ঘৃণা করে তাহলে তিনি বাসায় নামাজ আদায় করবেন। তবে একাকি পড়ার চেয়ে পরিবারের নারীদেরকে নিয়ে জামাত করা উত্তম হবে। দলিল- 

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ صَلَّى بِهِ وَبِأُمِّهِ أَوْ خَالَتِهِ ‏.‏ قَالَ فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ وَأَقَامَ الْمَرْأَةَ خَلْفَنَا

 আনাস রাযি. বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ তাঁকে এবং তার মা কিংবা খালাকে নিয়ে নামাজ আদায় করলেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে তাঁর ডান পার্শ্বে দাঁড় করালেন এবং মহিলাকে আমাদের পেছনে দাঁড় করালেন। (মুসলিম ১৩৭৭)



  والله اعلم بالصواب