*সম্মান ও মর্যাদা কামনার নিন্দনীয়তা*
━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━
হাকীমুল উম্মত হযরত থানবী (রহঃ) ইরশাদ করেন, হযরত হাজী সাহেব (রহঃ) বলতেন, মানুষ সৃষ্টির কাছে উচ্চপদ বা মর্যাদা কামনা করা তো অবশ্যই নিন্দনীয় ও নাজায়েয। আর এটা সকলেরই জানা আছে। কিন্তু বাস্তব কথা হচ্ছে স্বয়ং স্রষ্টা তথা আল্লাহ পাকের কাছেও সম্মান-মর্যাদা কামনা করা নিন্দনীয়। দৃষ্টান্তস্বরূপ যেমন কেউ যদি এরূপ আকাংখা করে যে, আমি একজন মকবুল দরবেশ হয়ে যাবো (তবে এটাও নিন্দনীয়)। কারণ যে ব্যক্তি নিজেকে দরবেশ মনে করে সে মহান আল্লাহর সামনে অহংকার প্রকাশকারী।
হযরত হাজী সাহেব (রহঃ)-এর কাছে একবার একজন লোক এসে বললো, আমার প্রিয়নবী হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখার খুব আগ্রহ। আমাকে কোন আমল বাতলে দিন (যার দ্বারা আমি হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দর্শন লাভ করতে পারি।) হযরত (রহঃ) বললেন, মাশাআল্লাহ আপনি তো অনেক 'হিম্মতওয়ালা' মানুষ। আমরা তো (প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রওযা শরীফের উপর প্রতিষ্ঠিত) সবুজ গম্বুজ দেখার যোগ্যতাও রাখি না।
হাকীমুল উম্মত হযরত থানবী (রহঃ) বলেন, এ কথাটি এমন একটি বিষয় যে, এর উপর যদি তালেবে ইলমসুলভ প্রশ্ন করতে থাকি তবে এতে অনেক দ্বিধা সংশয় রয়েছে। কিন্তু সে কথার উৎস ও লক্ষ্য যা ছিলো অর্থাৎ পরিপূর্ণ 'আবদিয়্যত' ও গোলামীর বহিঃপ্রকাশ তা তো শুধু সে ধরনের অন্তরের অধিকারীরাই বুঝতে পারে। শুধু যে ছাত্র সে তার বুঝবে কি?
ذوق وصال و شوق کنار آرزوی کیست ما همیم و حذف بوسی آن آستان بلب
অর্থাৎ, তার সাথে মিলিত হওয়ার আকাংখা পোষণ করার যোগ্যতা আমার নেই, তবে শুধু তার দরবারে হাযির হয়ে আমার ঠোট দ্বারা তার পদ চুম্বনের সুযোগ পেলেই আমি ধন্য।
📚 মাজালিশে হাকীমুল উম্মত ||| পৃষ্ঠা-৫০৩