আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩০৩৭: কসর কোথা থেকে শুরু হবে?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩০৩৭: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

বিজ্ঞ মুফতি সাহেবের কাছে আমার জিজ্ঞাসা হচ্ছে কোন ব্যক্তি তার বাড়ি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে যাওয়ার জন্য বের হলো কিন্তু তার এলাকা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় একদিন থেকে এরপর রওনা হলো। সেক্ষেত্রে তার ওই আত্মীয়ের বাসায় যে একদিন থাকলো সেখানে সালাত কসর করা লাগবে কিনা। ধন্যবাদ 

তারিখ:২৭/০৬/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  দ্বীন মুহাম্মদ পাবনা থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, বিষয়টি নির্ভর করছে উনার নিয়তের উপর।


যদি উনার নিয়ত এমন থাকে উনার আত্মীয় বাড়ীতে একরাত থেকে তার পর ২০০ কি.মি.দূরত্বের সফরে বাহির হবে,তাহলে উনি উনার আত্মীয় বাড়ীতে কসর করবে না, বরং পূর্ণ নামাজই পড়বে। 


আর যদি নিয়ত এমন হয় যে, উনি ২০০ কি.মি. দূরত্বের সফরের নিয়তেই বাড়ী থেকে বাহির হয়েছে, পথিমধ্যে রাত হওয়ায় বা এমনিতেই একরাত কাটায় তাহলে উনি মুসাফির হবেনে এবং কসর আদায় করবেন। দলিল- 

فإذا سافر مثلا من السعودية إلى أمريكا قصر ما دام في الطريق، أو سافر من مكة إلى مصر أو من مصر إلى مكة قصر ما دام في الطريق، 

অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি যদি সৌদি আরব থেকে আমেরিকা কিংবা মক্কা থেকে মিশর, অথবা মিশর থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রার সূচনা করে, তাহলে যাত্রাকালীন সময়ে সে সালাত কসর করে ( রাস্তায় মুসাফির থাকবে ) আদায় করবে। সূত্র: তাতবিকুল মাউসুআতিল ফাতায়িল বাজিয়া, শায়েখ ইবনে বাজ রহ. এর ওয়েবসাইটে থেকে


সারকথা হলো, উক্ত ব্যক্তি ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে সফরে যাওয়ার নিয়ত যদি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় নিয়ত করে, তাহলে বোনের বাসায় কসর আদায় করবে। আর বোনের বাড়ি থেকে সফরের নিয়ত করে; তাহলে পূর্ণ সালাত আদায় করবে।



  والله اعلم بالصواب