আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩০২৪: সাহেবে নিসাব নাবালেগ/অপ্রাপ্তবয়স্কের উপর কুরবানীর হুকুম কি

No Comments

 


জিজ্ঞাসা-১৩০২৪: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আসসালামুয়ালাইকুম শায়েখ 

আমার এই  মাসআলার উওর দিলে উপকৃত হব।

১/নাবালেক যদি সম্পত্তির মালিক হয় তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি?

তারিখ: ১৩/০৬/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 জনাব  মোঃ মাহবুব আলম থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।


দ্বিতীয় কথা হলো, জমহুরের মতে, সাহেবে নিসাব বা ধনী  নাবালেগ/অপ্রাপ্তবয়স্কের উপর কুরবানী করা জরুরি নয়। কেননা তারা মুকাল্লিফুশ শারয়ি নয় অর্থাৎ শরিয়তের বিধান প্রযোজ্য নয় (আমল করা বর্তাবে না)।


দলিল- 

হাদিস নং -০১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَشِبَّ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ " وَعَنِ الْغُلاَمِ حَتَّى يَحْتَلِمَ " . وَلاَ نَعْرِفُ لِلْحَسَنِ سَمَاعًا عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَاهُ الأَعْمَشُ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى قَدْ كَانَ الْحَسَنُ فِي زَمَانِ عَلِيٍّ وَقَدْ أَدْرَكَهُ وَلَكِنَّا لاَ نَعْرِفُ لَهُ سَمَاعًا مِنْهُ وَأَبُو ظَبْيَانَ اسْمُهُ حُصَيْنُ بْنُ جُنْدَبٍ .

মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া কুতা‘ঈ (রাহঃ) ...... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তিন ব্যক্তির উপর থেকে দন্ডবিধি রহিত করে দেওয়া হয়েছে, ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, শিশু যতক্ষণ না সাবালক হয়, বেহুশ ব্যক্তি যতক্ষণ না তার হুঁশ ফিরে এসেছে। - ইবনে মাজাহ ২০৪১, ২০৪২

—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ১৪২৩ (আন্তর্জাতিক নং ১৪২৩)

তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)


হাদিস নং -০২

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الْمُبْتَلَى حَتَّى يَبْرَأَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَكْبَرَ " .

 উছমান ইবনে আবু শায়রা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি হতে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে (অর্থাৎ যাদের ভাল-মন্দ আমল লেখা হয় না)। এরা হলোঃ

(১) নিদ্রিত ব্যক্তি- যতক্ষণ না সে জাগরিত হয়।

(২) পাগল ব্যক্তি- যতক্ষণ না সুস্থ হয় এবং 

(৩) নাবালক ছেলে মেয়ে- যতক্ষণ না তারা বয়োঃপ্রাপ্ত হয়।

—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৩৪৬ (আন্তর্জাতিক নং ৪৩৯৮)

তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)



  والله اعلم بالصواب