আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

প্রবন্ধ-৫৬: কাবেলিয়্যত (যোগ্যতা) ও কবুলিয়্যত -আল্লামা তাকি উসমানি দা বা

No Comments

 



কাবেলিয়্যত ও কবুলিয়্যত


দুনিয়াবি বিষয়ে তো কাবেলিয়্যত (যোগ্যতা) মূল্যায়ন হয়; আর যদি এর সঙ্গে ওসায়েল ও উপকরণও থাকে তা হলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু আল্লাহ তাআলার নিকট বিষয়টি এর বিপরীত। তাঁর দরবারে কাবেলিয়্যতের জায়গায় কবুলিয়্যত কার্যকর।


রাসুল ﷺ  ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের আকৃতি এবং মাল-দৌলত দেখেন না; দেখেন তোমাদের ইখলাস এবং আমল। যে-ব্যক্তির মধ্যে ইখলাস যত বেশি হবে, সে- ব্যক্তি আল্লাহর দরবারে তত বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।


রাসুলুল্লাহ ﷺ এর জমানায় আবু লাহাব জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তায় কারও থেকে কম ছিল না। আবু জাহলের উপাধিই ছিল আবুল হিকাম (প্রজ্ঞার অধিকারী)। কিন্তু তাদের জ্ঞান এবং তাদের মাল-দৌলত তাদের কোনওই কাজে আসেনি।


হযরত খোলাফায়ে রাশেদিন যদিও জান্নাতের সুসংবাদ দুনিয়াতেই পেয়ে গেছেন, কিন্তু তাঁদের ওপর খোদাভীতি এতটাই প্রবল ছিল যে, হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযি. বলতেন, হায়, যদি আমি একটি বৃক্ষ হতাম, যাকে কেটে ফেলা হত! হযরত উমর ফারুক রাযি. অনেক সময়ে একটি খড় হাতে নিয়ে বলতেন, হায়, আমি যদি এই খড় হতাম! অনেক সময়ে বলতেন, আমাকে যদি আমার মা জন্মই না দিতেন! একবার ফজরের নামাযে তিনি সূরা ইউসুফ পাঠ করছিলেন । إِنَّمَا أَشْكُو بَنِي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ পর্যন্ত পৌঁছলে তিনি কাঁদতে লাগলেন। তাহাজ্জুদের নামাযে অনেক সময়ে কাঁদতে-কাঁদতে পড়ে যেতেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়তেন।


হযরত সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়িন, তাবে'তাবেয়িন রাযি. এবং আউলিয়ায়ে কিরামের এরূপ ঘটনা দ্বারা তাঁদের জীবনী এবং ইতিহাসের কিতাব ভরপুর। যে- ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুলিয়্যতের চিন্তায় চিন্তিত এবং যে তার মনের মধ্যে আল্লাহর ভয় রাখে, সে-ব্যক্তি বুদ্ধিমানও এবং সফলকামও।


আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুলিয়্যত পাওয়ার উপায় কী, সেটাও কুরআনে কারিমে উল্লেখ রয়েছে।

'নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মুত্তাকিদের থেকেই কবুল করেন।' [সূরা মায়েদা: ২৭] 


মানুষ তাকওয়া অবলম্বন করবে প্রকাশ্যে এবং গোপনে; সামাজিক এবং লেনদেনের বিষয়ে আল্লাহ তাআলার ভয় মনে রাখবে; জায়েয-নাজায়েয এবং হালাল-হারামের খেয়াল রাখবে; তা হলে অবশ্যই তারা আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুলিয়্যতের মর্যাদা পাবে এবং এর ফল হিসেবে পরকালে নাজাত পাবে।


[ মূল : মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি. ]