আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩১৪৪: এক সালামে চার রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করার কোন দলিল আছে কি

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৪৪:  

আসসালামু আলাইকুম। মুহতারাম আমার জানার বিষয় হলো কোন একটি কিতাবে লেখা হয়েছে সুন্নাত নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হবে।চার রাকাত সুন্নাত একত্রে যা আমরা আদায় করি এটাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তাহলে সুন্নাত নামাজ কি দুই রাকাত করেই পড়তে হবে নাকি চার রাকাত সুন্নাত এক সালামে পড়া যাবে দলিলসহ জানালে উপকৃত হব। এ

তারিখ:১০/১২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  কামরুল ইসলাম, বাগেরহাট।  থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, এ বিষয়ে ইমামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। যেমন, ইবনে রুশদ রহ. বলেন,

ابن رشد: "واختلفوا في النوافل هل تثنى أو تربع أو تثلث؟

فقال مالك[2] والشافعي[3]: صلاة التطوع بالليل والنهار مثنى مثنى، يُسلم في كل ركعتين.

وقال أبو حنيفة[4]: إن شاء ثنى، أو ثلث، أو ربع، أو سدس، أو ثمن، دون أن يفصل بينهما بسلام.

وفرق قومٌ بين صلاة الليل وصلاة النهار: فقالوا: صلاة الليل مثنى مثنى، وصلاة النهار أربع.

تحفة المحتاج 2/244 - 245، ونهاية المحتاج 2/130 - 131.

[4] فتح القدير 1/318 - 321، وحاشية ابن عابدين 2/16.

অর্থ : নফল নামাযের ব্যাপারে মতভেদ করেছে: দুরাকাত, চার রাকাত বা তিন রাকাত পড়া উচিত?

ইমাম মালিক এবং আল-শাফিঈ রহ. বলেন: দিনে ও রাতে নফল নামায দুই দুই করে এবং প্রতি দুই রাকাতে সালাম করা হয়।

ইমাম আবূ হানীফা বলেন, সে ইচ্ছা করলে দুরাকাত, তিন রাকাত বা চার রাকাত, বা ছয় রাকাত বা আট রাকাত, এক সালামে আদায় করতে পারবে।

কিছু লোক রাতের নামায এবং দিনের নামাযের মধ্যে পার্থক্য করেছেন: তারা বলেছেন: রাতের নামায দুই দ্বারা দুই এবং দিনের সালাত চারটি। সূত্র: তুহফাতুল মুহতাজ-২/২৪৪; ফাতহুল কাদীর -১/৩১৮


ইমাম মালিক এবং শাফি রহ. এর দলিল:

হাদিস নং-০১ 

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ الظُّهْرِ سَجْدَتَيْنِ وَبَعْدَهَا سَجْدَتَيْنِ وَبَعْدَ الْمَغْرِبِ سَجْدَتَيْنِ وَبَعْدَ الْعِشَاءِ سَجْدَتَيْنِ وَبَعْدَ الْجُمُعَةِ سَجْدَتَيْنِ فَأَمَّا الْمَغْرِبُ وَالْعِشَاءُ وَالْجُمُعَةُ فَصَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِهِ .

১৫৭১। যুহাহার ইবনে হারব, উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে যোহরের পূর্বে দু’রাকআত ও তার পরে দু'রাক’আত, মাগরিবের পরে দু'রাকআত, ইশার পরে দু'রাক’আত এবং জুমআর পরে দু'রাক’আত নামায আদায় করেছি। আর মাগরিব, ইশা, জুমআর (দু-রাকআত) নামায রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে তাঁর ঘরেই আদায় করেছি।

—সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৭১ (আন্তর্জাতিক নং ৭২৯)


হাদিস নং-০২ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَلِيٍّ الأَزْدِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " صَلاَةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى " .

،মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) বলেনঃ রাত ও দিনের (নফল) নামায হল দুই দুই রাকআত করে। - ইবনে মাজাহ ১৩২২


ফিকহির হানিফির দলিল:

হাদিস নং-০১ 

1147 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ المَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ: أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ؟ فَقَالَتْ: «مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلاَ تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلاَ تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا»

قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ: أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ؟ فَقَالَ: «يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي»


১০৮০। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, রমযান মাসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায কেমন ছিল? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযান মাসে এবং অন্যান্য সময় (রাতের বেলা) এগার রাকআতের অধিক নামায আদায় করতেন না। তিনি চার রাকআত নামায আদায় করতেন। তুমি সেই নামাযের সৌন্দর্য ও দীর্ঘত্ব সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করো না। তারপর চার রাকআত নামায আদায় করতেন। তুমি সেই নামাযের সৌন্দর্য ও দীর্ঘত্ব সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করো না। তারপর তিনি তিন রাকআত (বিতর) নামায আদায় করতেন।* 

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, (একদিন) আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি বিতরের আগে ঘুমিয়ে থাকেন? তিনি ইরশাদ করলেনঃ আমার চোখ দু’টি ঘুমায়, কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না।

*সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৮০ (আন্তর্জাতিক নং ১১৪৭)


হাদিস নং-০২ 

عن بقية، عن مبشر بن عبيد، عن حجاج بن أرطاة، عن عطية العوفي، عن ابن عباس قال كان النبي صلىالله عليه وسلم يركع قبل الجمعة أربعا لا يفصل في شيء منهن.

বাকিয়্যাহ মুবাশশির ইবনে উবাইদ থেকে, তিনি হাজ্জাজ ইবনে আরতাত থেকে, তিনি আতিয়্যা আল আওফী থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণনা করেন, ‘নবী (ﷺ) জুমার আগে চার রাকাত পড়তেন। মাঝে (সালামের দ্বারা) আলাদা করতেন না, (অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পড়ে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন)। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১১২৯

সনদের মান:

হাফেয আবু যুরআ ইরাকী (৮২৬ হিজরী) তরহুত তাছরীব গ্রন্থে ( খ. ৩, পৃ. ৩৬) লেখেন-

والمتن المذكور رواه أبو الحسن الخِلَعي في فوائده بإسناد جيد من طريق أبي إسحاق عن عاصم بن ضمرة عنعلي رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم.

সুতরাং এ বিষয়ের প্রথম মারফূ হাদীস যার সনদ নির্ভরযোগ্য।


হাদিস নং-০৩ 

محمد بن عبد الرحمن السَّهْمي، حدثنا حُصَيْن بن عبد الرحمن السُّلَمِي، عن أبي إسحاق، عن عاصم بنضَمْرة، عن علي قال : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي قبل الجمعة أربعا، وبعدها أربعا، يجعلالتسليمَ في آخرهن

মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান আসসাহমী বর্ণনা করেন, আমাদেরকে হুসাইন ইবনে আব্দুর রহমান আসসুলামী বর্ণনা করেছেন, তিনি আবু ইসহাক (সাবীয়ী) থেকে, তিনি আসিম ইবনে দমরা থেকে, তিনি আলী রা. থেকে, যে ‘‘আল্লাহর রাসূল (ﷺ) জুমার আগে চার রাকাত এবং জুমার পরে চার রাকাত পড়তেন এবং সর্বশেষ রাকাতে সালাম ফেরাতেন।’’-আলমুজামুল আওসাত, তবারানী খ. ২, পৃ. ৩৬৮ আলমু’জাম আবু সায়ীদ ইবনুল আরাবী-লিসানুল মীযান খ. ৭, পৃ. ২৭৮, ৫ : ২৪২)

সনদের মান : সনদের সকল রাবী পরিচিত ও প্রসিদ্ধ এবং উত্তম স্মৃতিশক্তির অধিকারী ও নির্ভরযোগ্য। ‘‘আলজরহু ওয়াত তা’দীলে’’ (খ. ৩ কিসত : ২ পৃ. ৩২৬)


হাদিস নং-০৪

أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصلي أربعا بعد أن تزول الشمس، قبل الظهر، وقال : إنها ساعةتُفْتَح فيها أبواب السماء، فأحب أن يصعد لي فيها عمل صالح.

আব্দুল্লাহ ইবনুস সাইব রা. বর্ণনা করেছেন-আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সূর্য ঢলার পর যোহরের আগে চার রাকাত নামায পড়তেন। এবং বললেন ‘এই সময় (সূর্য ঢলার পর) আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয়। আমি চাই, এ সময় আমার কোনো নেক আমল ওপরে যাক।-আশ শামাইলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ, তিরমিযী, হাদীস : ২৯৫; জামে তিরমিযী, হাদীস : ৪৮২; মুসনাদে আহমদ খ. ৬, পৃ. ৪১১, হাদীস : ১৫৩৯৬


হাদিস নং-০৫

عن جَبَلة بن سُحَيْم، عن عبد الله بن عمر أنه كان يصلي قبل الجمعة أربعا لا يفصل بينهن بسلام، ثم بعدالجمعة ركعتين ثم أربعا.

জাবালা ইবনে সুহাইম রাহ. আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণনা করেন, ‘তিনি জুমার আগে চার রাকাত পড়তেন। মাঝে সালাম ফেরাতেন না।’

-শরহু মাআনিল আছার, তহাবী পৃ. ১৬৪-১৬৫


আল্লামা নীমাভী রাহ. ‘‘আছারুস সুনান’’ পৃ. ৩০২-এ এর সনদকে সহীহ বলেছেন। ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রাহ. ‘‘ফাতহুল বারী শরহু সহীহিল বুখারী’’ গ্রন্থে (৫/৫৩৯) একে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

হাদিস নং-০৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، أَرَادَ أَنْ يَغْزُوَ، فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَأَرَادَ أَنْ يَبِيعَ عَقَارًا لَهُ بِهَا فَيَجْعَلَهُ فِي السِّلاَحِ وَالْكُرَاعِ وَيُجَاهِدَ الرُّومَ حَتَّى يَمُوتَ فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ لَقِيَ أُنَاسًا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَنَهَوْهُ عَنْ ذَلِكَ وَأَخْبَرُوهُ أَنَّ رَهْطًا سِتَّةً أَرَادُوا ذَلِكَ فِي حَيَاةِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَهَاهُمْ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " أَلَيْسَ لَكُمْ فِيَّ أُسْوَةٌ " . فَلَمَّا حَدَّثُوهُ بِذَلِكَ رَاجَعَ امْرَأَتَهُ وَقَدْ كَانَ طَلَّقَهَا وَأَشْهَدَ عَلَى رَجْعَتِهَا فَأَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَعْلَمِ أَهْلِ الأَرْضِ بِوِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَالَ عَائِشَةُ . فَأْتِهَا فَاسْأَلْهَا ثُمَّ ائْتِنِي فَأَخْبِرْنِي بِرَدِّهَا عَلَيْكَ فَانْطَلَقْتُ إِلَيْهَا فَأَتَيْتُ عَلَى حَكِيمِ بْنِ أَفْلَحَ فَاسْتَلْحَقْتُهُ إِلَيْهَا فَقَالَ مَا أَنَا بِقَارِبِهَا لأَنِّي نَهَيْتُهَا أَنْ تَقُولَ فِي هَاتَيْنِ الشِّيعَتَيْنِ شَيْئًا فَأَبَتْ فِيهِمَا إِلاَّ مُضِيًّا . - قَالَ - فَأَقْسَمْتُ عَلَيْهِ فَجَاءَ فَانْطَلَقْنَا إِلَى عَائِشَةَ فَاسْتَأْذَنَّا عَلَيْهَا فَأَذِنَتْ لَنَا فَدَخَلْنَا عَلَيْهَا . فَقَالَتْ أَحَكِيمٌ فَعَرَفَتْهُ . فَقَالَ نَعَمْ . فَقَالَتْ مَنْ مَعَكَ قَالَ سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ . قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قَالَ ابْنُ عَامِرٍ فَتَرَحَّمَتْ عَلَيْهِ وَقَالَتْ خَيْرًا - قَالَ قَتَادَةُ وَكَانَ أُصِيبَ يَوْمَ أُحُدٍ . فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ أَلَسْتَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ قُلْتُ بَلَى . قَالَتْ فَإِنَّ خُلُقَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ الْقُرْآنَ . - قَالَ - فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ وَلاَ أَسْأَلَ أَحَدًا عَنْ شَىْءٍ حَتَّى أَمُوتَ ثُمَّ بَدَا لِي فَقُلْتُ أَنْبِئِينِي عَنْ قِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ أَلَسْتَ تَقْرَأُ ( يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ) قُلْتُ بَلَى . قَالَتْ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ افْتَرَضَ قِيَامَ اللَّيْلِ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السُّورَةِ فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ حَوْلاً وَأَمْسَكَ اللَّهُ خَاتِمَتَهَا اثْنَىْ عَشَرَ شَهْرًا فِي السَّمَاءِ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ التَّخْفِيفَ فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ فَرِيضَةٍ . - قَالَ - قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ مَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهَا إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ فَيَذْكُرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُوهُ ثُمَّ يَنْهَضُ وَلاَ يُسَلِّمُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي التَّاسِعَةَ ثُمَّ يَقْعُدُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُوهُ ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ وَهُوَ قَاعِدٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ فَلَمَّا أَسَنَّ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ وَصَنَعَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ مِثْلَ صَنِيعِهِ الأَوَّلِ فَتِلْكَ تِسْعٌ يَا بُنَىَّ وَكَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَحَبَّ أَنْ يُدَاوِمَ عَلَيْهَا وَكَانَ إِذَا غَلَبَهُ نَوْمٌ أَوْ وَجَعٌ عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً وَلاَ أَعْلَمُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ وَلاَ صَلَّى لَيْلَةً إِلَى الصُّبْحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً غَيْرَ رَمَضَانَ . - قَالَ - فَانْطَلَقْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسِ فَحَدَّثْتُهُ بِحَدِيثِهَا فَقَالَ صَدَقَتْ لَوْ كُنْتُ أَقْرَبُهَا أَوْ أَدْخُلُ عَلَيْهَا لأَتَيْتُهَا حَتَّى تُشَافِهَنِي بِهِ . - قَالَ - قُلْتُ لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ لاَ تَدْخُلُ عَلَيْهَا مَا حَدَّثْتُكَ حَدِيثَهَا .


১৬১২। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না আনাযী (রাহঃ) ......... যুরারা (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, সা’দ ইবনে হিশাম ইবনে আমির (রাহঃ) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার ইচ্ছা করে মদীনায় এলেন এবং সেখানে তাঁর একটি সম্পত্তি বিক্রি করে তা যুদ্ধাস্ত্র ও ঘোড়া সংগ্রহে ব্যয় করার এবং মৃত্যু পর্যন্ত রোমানদের বিরুদ্ধে জিহাদে আত্মনিয়োগ করার সংকল্প করলেন। মদীনায় আসার পর মদীনাবাসী কিছু লোকের সাথে সাক্ষাত হলে তাঁরা ঐ কাজ করতে নিষেধ করলেন এবং তাঁকে জানালেন যে, ছয় জনের একটি দল নবী (ﷺ) এর জীবদ্দশায় এরূপ ইচ্ছা করেছিল। তখন নবী (ﷺ) তাদের নিষেধ করেন এবং বলেন, ″আমার মধ্যে তোমাদের জন্য কি কোন আদর্শ নেই″?


মদীনাবাসীরা তাঁকে এ ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি নিজের স্ত্রীর সাথে রাজা’আত, (পুনরায় স্ত্রীত্বে বরণ) করলেন। কেননা তিনি তাঁকে তালাক দিয়েছিলেন এবং তিনি তাঁর এ রাজা’আতের ব্যাপারে সাক্ষীও রাখলেন। এরপর তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে গিয়ে তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিতর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিতর সম্পর্কে পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক বিজ্ঞ ব্যক্তি সম্পর্কে কি তোমাকে বলে দিব না? তিনি বললেন, তিনি কে? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, তিনি আয়িশা (রাযিঃ)। তাঁর কাছে গিয়ে তুমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করবে পরে আমার কাছে এসে তোমাকে দেওয়া তার জবাব সম্পর্কে অবহিত করবে।


আমি তখন তাঁর কাছে রওয়ানা হলাম। আর হাকীম ইবনে আফলাহ (রাযিঃ) এর কাছে গিয়ে আমার সঙ্গে আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলাম। তিনি বললেন, আমি তো তাঁর নিকট যাই না। কেননা (বিবাদমান) দু’দল সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে আমি তাকে নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি তাতে অংশগ্রহণ না করতে অস্বীকার করেন। সা’দ (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি তাঁকে কসম দিলাম। তখন তিনি তৈরী হলেন। আমরা আয়িশা (রাযিঃ)-এর উদ্দেশ্যে চললাম এবং তাঁর কাছে গিয়ে অনুমতি চাইলাম। তিনি আমাদের অনুমতি দিলেন।


আমরা তাঁর ঘরে প্রবেশ করলে তিনি বললেন, হাকীম না কি? তিনি তাঁকে চিনে ফেলেছিলেন। উত্তরে হাকীম (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, তোমার সঙ্গে কে? হাকীম (রাযিঃ) বললেন, সা’দ ইবনে হিশাম। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, কোন হিশাম? হাকীম (রাযিঃ) বললেন, ইবনে আমির। তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাঁর জন্য রহমতের দুআ করলেন এবং তাঁর সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করলেন। রাবী কাতাদা (রাহঃ) বলেছেন, আমির (রাযিঃ) উহুদের যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। আমি (সা’দ) বললাম, হে, উম্মুল মু'মিনীন! আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আখলাক সম্পর্কে অবহিত করুন! তিনি বললেন, তুমি কি কুরআন পাঠ কর না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহর নবী (ﷺ)-এর চরিত্র তো ছিল আল-কুরআনই।


সা’দ (রাহঃ) বলেন, তখন আমার ইচ্ছে ছিল যে, উঠে যাই এবং মৃত্যু পর্যন্ত কাউকে কোন বিষয় জিজ্ঞাসা করব না। পরে আবার মনে হল (আরো কিছু জিজ্ঞাসা করি) তাই আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রাতের ইবাদত সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন! তিনি বললেন, তুমি কি সূরা ″ইয়া আয়্যুহাল মুযযামিল″ পড় না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ এ সূরার প্রথমাংশ (ইবাদত) রাত্রি জাগরণ ফরয করে দিয়েছিলেন। তখন আল্লাহর নবী (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীগণ এক বছর যাবত (তাহাজ্জুদের জন্য) রাত্রি জাগরণ করলেন। আর আল্লাহ তাআলা এ সূরার শেষ অংশ বার মাস পর্যন্ত আসমানে রুখে রাখেন। অবশেষে এ সূরার শেষ অংশ নাযিল করে সহজ করে দিলেন। ফলে রাত্রি জাগরণ ফরয হওয়ার পরে নফলে পরিণত হয়।


সা’দ (রাহঃ) বলেন, আমি বললাম, উাম্মুল হে মু'মিনীন! আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিতর সম্পর্কে অবহিত করুন! তিনি বললেন, আমরা তাঁর জন্য তাঁর মিসওয়াক ও ওযুর পানি প্রস্তুত রাখতাম। রাতের যে সময় আল্লাহর ইচ্ছা হত তাকে জাগিয়ে দিতেন। তিনি তখন মিসওয়াক ও ওযু করতেন এবং নয় রাক’আত নামায আদায় করতেন। তিনি এর মাঝে আর বসতেন না অষ্টম রাক’আত ব্যতীত। তখন তিনি আল্লাহর যিক্‌র করতেন, তাঁর হামদ করতেন এবং তাঁর কাছে দুআ করতেন। তারপর সালাম না করেই উঠে পড়তেন এবং নবম রাক’আত আদায় করে বসতেন এবং আল্লাহর যিক্‌র ও তাঁর হামদ ও তাঁর কাছে দুআ করতেন। পরে এমন ভাবে সালাম বলতেন যা আমরা শুনতে পেতাম। সালাম করার পরে বসে দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। বৎস, এ হল মোট এগার রাকআত।


পরে যখন আল্লাহর নবী (ﷺ)-এর বায়োঃবৃদ্ধ হয়ে গেলেন এবং তিনি স্থুলদেহী হয়ে গেলেন, তখন সাত রাকআত দিয়ে বিতর আদায় করতেন। আর শেষ দু’ রাক’আতে তাঁর আগের আমলের অনুরূপ আমল করতেন। বৎস, এভাবে হল নয় রাক’আত। নবী (ﷺ) যখন কোন নামায আদায় করতেন তখন তাতে স্থায়িত্ব রক্ষা করা পছন্দ করতেন। আর কখনো নিদ্রা বা কোন ব্যাধি তাঁর রাত জেগে ইবাদতের ব্যাপারে তাঁকে সংঘাত ঘটালে দিনের বেলা বারো রাক’আত নামায আদায় করে নিতেন।


আর আল্লাহর নবী (ﷺ) একই রাতে পূর্ণ কুরআন পড়েছেন বলে আমার জানা নেই এবং তিনি ভোর পর্যন্ত সারা রাত নামায আদায় করেননি এবং রমযান ব্যতীত অন্য কোন পূর্ণ মাস রোযা পালন করেননি।


সা’দ (রাহঃ) বলেন, পরে আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে গেলাম এবং আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীস তাঁর কাছে বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, ঠিকই বলেছেন। আমি যদি তাঁর কাছে যেতাম, অথবা বললেন, আমি যদি তাঁর সঙ্গে যেতাম তাহলে অবশ্যই আমি তাঁর কাছে গিয়ে সরাসরি তার মুখে এ হাদীস শুনতাম। সা’দ (রাহঃ) বলেন, আমি বললাম, আমি যদি জানতাম যে, আপনি তাঁর কাছে যান না, তবে তাঁর হাদীস আমি আপনাকে শোনাতাম না


—সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬১২ (আন্তর্জাতিক নং ৭৪৬-



সারকথা হলো,  ফিকহি হানিফির মতামত হলো, নফল নামাজ সর্বদা দুই দুই রাকাত নামায করা উত্তম। তবে দিনের বেলা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা যেমন, যোহরের আগে রাকাত সুন্নাত এক সালামে আদায় করবে এবং আসরের আগে চার রাকাত সুন্নাতে গয়রে মুয়াক্কাদা এক সালামে উত্তম। কেননা দিনের সুন্নাত/নফল চার রাকাত এক সালামে উত্তম। দলিল- 


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَلِيٍّ الأَزْدِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " صَلاَةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى اخْتَلَفَ أَصْحَابُ شُعْبَةَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ فَرَفَعَهُ بَعْضُهُمْ وَأَوْقَفَهُ بَعْضُهُمْ . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيِّ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا . وَالصَّحِيحُ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى " . وَرَوَى الثِّقَاتُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ صَلاَةَ النَّهَارِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَبِالنَّهَارِ أَرْبَعًا . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي ذَلِكَ فَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنَّ صَلاَةَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَرَأَوْا صَلاَةَ التَّطَوُّعِ بِالنَّهَارِ أَرْبَعًا مِثْلَ الأَرْبَعِ قَبْلَ الظُّهْرِ وَغَيْرِهَا مِنْ صَلاَةِ التَّطَوُّعِ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقَ .

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ইবনে উমর (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটির সনদে শু’বা-এর শাগরিদদের মতবিরোধ রয়েছে। এটিকে কেউ কেউ মারফূ হিসাবে আর কেউ কেউ মউকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। আব্দুল্লাহ আল-উমরী নাফি ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূল (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ‘‘রাতের নামায হল দুই দুই রাকআত করে’’ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর এই মর্মে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি হল সহীহ রিওয়ায়াত। একাধিক সিকাহ বা নির্ভরযোগ্য রাবী ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে এই হাদীসটির রিওয়ায়াত করেছেন কিন্তু তাঁরা ‘‘দিনের নামায’’ কথাটি উল্লেখ করেন নি।


উবাইদুল্লাহ নাফি (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) রাতে দুই রাকআত করে আর দিনে চার রাকআত করে (নফল) নামায আদায় করতেন। এই বিষয়ে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ বলেনঃ রাত ও দিনের (নফল) নামায হল দুই দুই রাকআত করে। এ হল ইমাম শাফিঈ ও আহমদ (রাহঃ)-এর অভিমত। আর কতক আলিম বলেনঃ রাতে নামায দুই দুই রাকআত করে আর দিনের নফল নামায হল চার রাকআত করে। যেমন যোহরের পূর্বে চার রাকআত এবং অন্যান্য নফল নামায। এ হল সুফিয়ান সাওরী, ইবনে মুবারক ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।

—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ৫৯৭ (আন্তর্জাতিক নং ৫৯৭)


  والله اعلم بالصواب