আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩১৫০: প্রথম স্বামীর তালাক ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহ করার বিধান

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৫০: 

আসসালামু আলাইকুম। একজন ব্যক্তি একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত হয় এবং কাউকে না জানিয়ে ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করে। পরে মেয়েটির পরিবার অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয় এখন ছেলেটার করণীয় কি

তারিখ:১৭/১২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 হাফেজ ইয়াসিন সাতক্ষীরা থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহিতা নারীরা নিশ্চিত ও কার্যকরী পন্থায় তালাকপ্রাপ্তা/বিধবা হয়ে ইদ্দত (তিন হায়েজ পরিমাণ সময় নির্জন বাস) পালনের আগে দ্বিতীয় কোনও পুরুষের সঙ্গে বিয়ে করতে পারবে না, হারাম। যিনার গুনাহ হবে। দলিল-

আয়াত নং-০১

وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أ

এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা (যে স্ত্রী স্বামী জীবিত আছে, সর্বত্রিকা) স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ। সূরা নিসা-২৪


আয়াত নং-০২

وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ ۚ [٢:٢٢٨]

আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। [সূরা বাকারা-২২৮]


দ্বিতীয় কথা হলো, ছেলেটি যদি এখন ঐ মেয়েকে নিয়ে সংসার করতে চায়, তাহলে অভিভাবকদের মাধ্যমে মেয়ে পক্ষ ও দ্বিতীয় স্বামীকে অবগতি করবে। তারা রাজি হলেই হবে, যেহেতু দ্বিতীয় বিবাহ শুদ্ধ হয়নি, প্রথম স্বামীর স্ত্রী এখনো বহাল আছে।


কিন্তু যদি ছেলে পক্ষ রাজি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী আইনী আশ্রয় নিতে পারবে।


আর ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে সংসার করতে না চায়, তাহলে ছেলেটি তাদেরকে জানিয়ে তিন তালাক দিবে, তারপর মেয়েটা ইদ্দত পালন করার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। এছাড়া দ্বিতীয় স্বামীর সাথে হালাল হওয়ার কোন সুযোগ নেই।




  والله اعلم بالصواب