জিজ্ঞাসা-১৩১৫৩:
আসসালামু আলাইকুম। তৃতীয় রাকাতে যদি জোরে জোরে কেরাত পড়ে একপর্যায়ে মনে আসলো এবং কেরাত নিজেই অফ করে দিল অথবা লোকমা দিল সে অবস্থায় করণীয় কি
জানাবেন। অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল
তারিখ:২৩/১২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ঝালকাঠি থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, ইমাম মালেক, শাফি ও হাম্বল রহ. এর মতে তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে নিম্নস্বরে (গোপনে) তেলাওয়াত করা সুন্নাত।
আর ফিকহি হানাফির মতে,
একাকি পড়া হোক কিংবা জামাতে নিম্নস্বরে তেলাওয়াত করা ওয়াজিব। তাই এ দুই রাকাতে কেউ যদি ভুল করে ছোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত পরিমাণ ( তিন সমান ৩০ অক্ষর ) উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করে, তাহলে তার ওপর সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। ছোট একটি/দুটি আয়াত উচ্চস্বরে পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। দলিল-
أن الحنفية ذهبوا إلى أن الجهر واجب وليس سنة، حيث جاء في كتاب [الهداية 1/74]: "ولو جهر الإمام فيما يخافت أو خافت فيما يجهر تلزمه سجدتا السهو لأن الجهر في موضعه والمخافتة في موضعها من الواجبات
হানাফীদের মতে উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করা বলা ওয়াজিব এবং সুন্নাত নয়, যেমনটি কিতাবে বলা হয়েছে [আল-হিদায়াহ 1/74]: “এবং ইমাম যদি উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করে যা নিম্নস্বরে বা চুপচাপ থাকে যা উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করলে, তার জন্য বিস্মৃতির দুটি সিজদা (সাহু সিজদা) করা ওয়াজিব বা বাধ্যতামূলক কারণ যথাস্থানে উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করা এবং যথাস্থানে নীরব থাকা ওয়াজিব কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।” সূত্র: হিদায়া-১/৭৪
সারকথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক, উক্ত ইমাম যদি ছোট তিন আয়াত তথা ৩০ অক্ষর সমান তেলাওয়াত করে থাকে, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব ছিল। যদি সাহু সিজদা আদায় না করে থাকে, তাহলে পুনরায় নামাজটি সবার দোহরায়তে হবে।
আর যদি তার চেয়ে কম হয়, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়নি, এমতাবস্থায় অফ করলে নামাজ শুদ্ধ হয়েছে।
والله اعلم بالصواب