জিজ্ঞাসা-১২৩৭৭:
আসসালামু আলাইকুম। কারও সন্তান যে বাচ্চার সাথে দুধ পান করেছে সেই বাচ্চার অন্য ভাই বোনের সাথে উক্ত ব্যক্তির হুরমাতে রদ্বাআত প্রমাণিত হবে কিনা? তারিখ: ১২/১২/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আব্দুল্লাহ আল কাফী ঝিনাইদহ থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর কথা হলো, رضاعة রিদাআতের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, দুধ পান করানো। শরয়ী পরিভাষায় ‘রিদাআত’ বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে, মা ভিন্ন অন্য কোনো মহিলার দুধ পান করা। সূত: আত তারিফাত লিজ জুরজানী-১১১
দুধ পান করার কারণে নিজ মায়ের মত হুরমত ও বংশীয় সম্পর্ক কায়েম হয়। দলিল:
কুরআনুল কারিম
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ
অর্থ: তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন। সূরা নিসা-২৩
হাদিসে নববি
٢٦٤٥ -حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بِنْتِ حَمْزَةَ: «لاَ تَحِلُّ لِي، يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ، هِيَ بِنْتُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ –
অর্থ: ইবনে আব্বাস (রা.) হযরত হামজা (রা.) এর কন্যাকে বিবাহের বিষয়ে রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাকে বিবাহ করা তোমার জন্য বৈধ না। কেননা দুধ পান করার দ্বারা যেমন বিবাহ হারাম হয়, তেমনি বংশের কারণেও হারাম হয়, আর হামজা (রা.) এর কন্যা তোমার দুধবোন। তাখরিজ: বুখারি-২৬৪৫
ইজমায়ে উম্মাহ: ইসলাম দুধ সম্পর্ককে বংশীয় সম্পর্কের ন্যায় মনে করে। ইজমায়ে উম্মত হচ্ছে, বংশীয় কারণে যারা হারাম, দুধ সম্পর্কের কারণেও তারা হারাম। সূত্র: মূফতী তকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ, ফিকহুল বূউ, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩১৫; শহীদুল ইসলাম অনূদিত
সুতরাং আপনার প্রশ্নে আলোকে যে বাচ্চা/শিশু যে নারীর দুধ পান করেছে ঐ নারীর (দুধ মায়ের) সকল সন্তান দুধপানকারীর শিশুর সন্তান হুরমত সাবস্ত্য হবে।
আর দুধ পানের বয়স ও কতুটুকু পান করলে হুরমত সাবস্ত্য হবে এ বিষয়ে বুরহানে জিজ্ঞাসা-১২৩২৪ শিরোনামে মাসয়ালাটি আলোচিত হয়েছে। লিংকটি নিম্নে দেওয়া হলো (লিংকটিতে দেখতে না পারলে, সার্চ অপশনে জিজ্ঞাসা নাম্বার লিখলে পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ):
https://al-burhaan.blogspot.com/2022/10/blog-post_31.html
والله اعلم بالصواب