আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৩৩৭: ফজর নামাজের পর হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ইত্যাদি ইত্যাদি তাসবিহ পাঠের কোন দলিল আছে কি

No Comments

 


জিজ্ঞাসা -১২৩৩৭:

আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন ভাই আশা করছি সবাই ভালো আছেন।

০১। ফজর নামাজের পর হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ।

০২। জোহর নামাজের পর হুয়াল আলিইয়ুল আজিম।

০৩। আসর নামাজের পর হুয়ার রহমানুর রহিম।

০৪। মাগরিবের নামাজের পর হুয়াল গফুরুর রহিম।

০৫। এশার নামাজের পর হুয়াল লাতিফুল কবির।

এই তাসবিহ গুলোর বিষয়টি ভিত্তি কি জানতে চাই। তারিখ: ১২/১১/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি


মাওলানা নেছার উদ্দিন কঙ্গো থেকে

 

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم

তাসলিম ও হামদ-দরুদ পর প্রথম কথা হলো, আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত প্রতিটি তাসবিহ মহান আল্লাহ তাআলার সিফাতি বা গুণবাচক নাম। উক্ত নাম গুলোর মর্তবা-বরকত রয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই।


দ্বিতীয় কথা হলো, আমাদের জানামতে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে উক্ত তাসবিহগুলো পাঠ করতে হবে এ বিষয়ে কোনো নস নেই।


অনির্ভরযোগ্য কিছু নামাজ শিক্ষা বইয়ের পাওয়া যায়, কিন্তু কোন রেফারেন্স উল্লেখ করেননি।


সারকথা হলো, আল্লাহ তাআলার গুণবাচক প্রতিটি নাম বরকতপূর্ণ, যে কোন মুসলিম যেকোনো সময় তা পাঠ করতে সমস্যা নেই। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে নির্দিষ্ট নাম পাঠ করা ঠিক হবে না, অর্থাৎ উক্ত তাসবিহ গুলো সুন্নত মনে পাঠ করা বিদআত হবে। আর আর যদি সুন্নত মনে না করে বিশেষ কোন উদ্দেশ্য হাসিনার জন্য ওলামায়ে দ্বীন অভিজ্ঞতার আলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাঠ করার কথা বলেন, তাহলে বিদআত হবে না। সূত্র: ফয়জুল কাদির -৮৩৩৩