আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১৩১৩০: জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খাওয়া বা কনডম ব্যবহার করার বিধান কি

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৩১৩০:  

আসসালামু আলাইকুম। জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খাওয়ার বিধান কি? এবং অন্যান্য পদ্ধতি গুলোর হুকুম কি যেমন কনডম? লাইগেশন ইত্যাদি

তারিখ:২২/১১/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  আব্দুর রহমান সাভার থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি দুই প্রকার। ১। স্থায়ী পদ্ধতি ২। অস্থায়ী পদ্ধতি।

স্থায়ী পদ্ধতি সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। অস্থায়ী পদ্ধতি তথা পিল খাওয়া, কনডম ব্যবহার ইত্যাদি ইত্যাদি শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ। যেমন,

فإن تحديده النسل لمجرد صعوبة المعيشة أو خوف الفقر أو بحجة الاكتفاء بعدد معين من الأولاد لا يجوز، لما في ذلك من ضعف اليقين في وعد الله تعالى بالرزق، ولما فيه من مصادمة شرع الله الذي ارتضاه الله لعباده، كما سبق بيانه بالتفصيل في الفتاوى التالية أرقامها: 

ولذلك، فإنه لا اعتبار للوضع المادي في تحديد النسل، لأن الرزق بيد الله تعالى، والمال يطرأ ويزول، ومع ذلك فإن أهل العلم قالوا: لا بأس بتنظيم الحمل وتأخيره من فترة لأخرى للتفرغ لحضانة الطفل السابق


অর্থাৎ জীবন ধারণ কঠিন হয়ে যাবে কিংবা দারিদ্র‍্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে হবে অথবা কিংবা পরিবার পরিকল্পনার খোঁড়া যুক্তির দোহাই দিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা বৈধ নয়। কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত রিজিকের বরাদ্দের বিষয়ে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাসের মাঝে চিড় ধরে। এছাড়া বান্দাকে কেন্দ্র করে আল্লাহর গৃহিত পরিকল্পনার মাঝে একপ্রকার সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

সুতরাং দারিদ্রতা ঠেকাতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রচলিত ব্যবস্থাগুলো যথাযথা কার্যকরী নয়। কারণ রিজিক বা জীবনোকরণের একমাত্র মাধ্যম হলেন আল্লাহ তায়াল। সম্পদ কখনো বৃদ্ধি পাবে, কখনো একেবারে নি:শেষ হয়ে যাবে।

তবে উভজাগতিক জ্ঞান রাখেন এমন আলেমগণ বলেন, সন্তান যদি একেবারেই ছোট হয়ে থাকে, তাহলে তাকে যথাযথভাবে লালন-পালনের সুবিধার্থে খানিক বিরতি নিয়ে নতুন করে সন্তান নেয়া দোষনীয় নয়। বিদ্যমান সন্তানের সুষ্ঠু পরিচর্যার খাতিরে সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে। সূত্র: ফিকহুল উসরাতুল মুসলিমা, আল-আযলু ওয়া তাহদিদুল নাসল-২১২৮৭২ (ফতোয়া নং)


সারকথা হলো,  দুই বাচ্চার জন্মের মাঝে কিছু সময় বিরতি দেওয়া, যাতে প্রথম সন্তানের লালন-পালন, পরিচর্যা ঠিকমতো হয়।

- কোন কারণে মহিলার বাচ্চা লালন-পালনের সামর্থ্য না থাকলে।

- মহিলা অসুস্থ ও দুর্বল হওয়ার কারণে গর্ভধারণ বিপজ্জনক হলে, অস্থায়ী পদ্ধতি পিল খাওয়া বা কনডম ব্যবহার করা জায়েয।

তবে ভালোভাবে মনে রাখা দরকার যে, এসব ক্ষেত্রে বৈধতা শুধু ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। সম্মিলিতভাবে মানুষের কাছে প্রচারণা করা ও এতে উদ্বুদ্ধ করা কোনোভাবেই জায়েজ নয়।




  والله اعلم بالصواب