জিজ্ঞাসা-১৩১২৮:
আসসালামু আলাইকুম। একটি জরুরি মাসয়ালা জানার প্রয়োজন ছিলো।
যখন কন্ডেমেশন বোর্ড হয় তখন কোনো সৈনিক/ সেনাসদস্য যদি ইস্যকৃত কম্বল জমা না দিয়ে আর্মি স্টোর থেকে কিনে পুরাতন কম্বল জমা দেয় তাহলে এটা জায়েজ হবে কি না?
অর্থাৎ তার আগের কম্বল আছে কিন্তু জমা দেওয়ার সময় অন্য পুরাতন কম্বল জমা দিয়ে সরকার থেকে নতুন কম্বল নিলে জায়েজ হবে কি না?
তারিখ:১৯/১১/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা কামরুল হাসান যশোর থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, স্বাভাবিক অবস্থায় ভালো কম্বল রেখে পুরাতন কম্বল কিনে জমা দেওয়া জায়েয হবে না। ধোঁকা দেওয়ার শামিল হবে। তবে যদি হারিয়ে যায় বা জমা দিতে অপারগ হলে, এ ক্ষেত্রে পুরাতন কম্বল কিনে জমা দিতে পারবে। দলিল-
يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: «أَفَلَا جَعَلْتَهُ فَوْقَ الطَّعَامِ كَيْ يَرَاهُ النَّاسُ، مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি সেটাকে খাবারের উপরে রাখলে না কেন; যাতে লোকেরা দেখতে পেত? “যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়”। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২
সারকথা হলো, যখন কন্ডেমেশন বোর্ড হয়, তখন ইস্যকৃত কম্বল জমা না দিয়ে আর্মি স্টোর থেকে কিনে পুরাতন কম্বল জমা দেওয়া জায়েজ হবে না।
কেননা কম্বল গুলো ভোগ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে, মালিক বানানো হয়নি। জমা দেওয়ার পদ্ধতি না থাকলে জায়েজ হতো।
والله اعلم بالصواب