আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

নসিহা-১৭: সফল উস্তাদের (১০০) আমল ও গুণাবলী:-_*

No Comments

 



*_সফল উস্তাদের (১০০) আমল ও গুণাবলী:-_*


১. অধ্যাপনা পাওয়ার পর রব্বে কারিমের শুকরিয়া আদায় করা।

২. ইখলাস দিয়ে জীবনকে সাজানো।

৩. তাকওয়া অর্জনের গুরুত্ব দেয়া।

৪. ধৈর্য - সহ্যের অভ্যাস গড়ে তুলা।

৫. ছাত্রদের দিলে ইলমের মুহাব্বাত জন্মিয়ে দেয়া।

৬. কটুকথা বলা থেকে বিরত থাকা 

৭. 'তালিবে ইলম' আপনার কাছে আমানত।


৮. ছাত্রদের উপর পৃথকভাবে ভাবে মনোযোগ দেয়া।


৯. ছাত্রদের কে তাদের স্বভাবজাত যোগ্যতার প্রতি মনোযোগী করা।


১০. জিন্দেগীতে একাগ্রতা গ্রহণ করা।


১১. মানুষের সাথে সম্পর্ক কম করা।


১২. রুটিন অনুযায়ী চলা।


১৩. স্বীয় উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদিত প্রাণ হওয়া।


১৪. নিজের মধ্যে উচ্চ হিম্মত তৈরি করা।


১৫. ইলমের প্রতি আগ্রহ তৈরি করা।


১৬. ইলমী উন্নতির জন্য ধন- সম্পদ খরচ করা।


১৭. সময়ের গুরুত্ব দেয়া।


১৮. অন্য উস্তাদদের সময় নষ্ট না করা।


১৯. রাত্রি জাগরণের অভ্যাস তৈরি করা।


২০. সব বিষয়ের মূল কিতাব অধ্যায়ন করা।


২১. ইলমের জন্য সফর করা।


২২. প্রতিটি কথা মূল থেকে গ্রহণ করা।


২৩. ক্লাসে ভদ্রতা বজায় রাখা।


২৪. সহনশীলতা ও গম্ভীর্যতা গ্রহণ করা।


২৫. অহেতুক, অনুপযোগী কঠোরতা থেকে বিরত থাকা।


২৬. অতিরিক্ত আহার পরিত্যাগ করা।


২৭. শাস্ত্রীয় বিজ্ঞ আলেমদের সাথে সম্পর্ক রাখা।


২৮. মুহাক্কিক আলেমদের কিতাব মুতালাআ করা।


২৯. অনর্থক বিনোদন পরিহার করা।


৩০. অলসতা থেকে বিরত থাকা।


৩১. লৌকিকতা ও কৃত্রিমতা থেকে বিরত থাকা।


৩২. সাধারণ জীবন যাপন করা।


৩৩. নিজেকে কখনো মহাজ্ঞানী মনে না করা।


৩৪. নেসাব বন্টনে মন্তব্য না করা।


৩৫. উমুমী দাওয়াত ও মজলিস এড়িয়ে চলা।


৩৬. অনর্থক ইন্টারনেট, স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার না করা।


৩৭. অনর্থক কথাবার্তা পরিহার করা।


৩৮. ছাত্রদের উৎসাহিত করা।


৩৯. ছাত্রদের ভালো কাজের প্রশংসা করা।


৪০. নিজের সুস্থতার খেয়াল রাখা।


https://chat.whatsapp.com/EmcIlO5alhqIj4xSQ4keh2


৪১. সবকের পূর্বে দরস সহজ হওয়ার জন্য দু'আর অভ্যাস করা।


৪২. ছাত্রদের আত্মসম্মানে আঘাত না করা।


৪৩. অহেতুক শব্দ চয়ন ও উপাধী এড়িয়ে চলা।


৪৪. ছাত্রদের জন্য সর্বদা দুআ করা।


৪৫. যথা সম্ভব ছাত্রদেরকে বহিষ্কার না করা।


৪৬. ছাত্রদের ক্ষেত্রে সর্বদা দুআ মূলক বাক্য বলা।


৪৭. ছাত্রদেরকে সাধ্যমত আর্থিক সাহায্য করা।


৪৮. কখনো ছাত্রদের তিরস্কার না করা।


৪৯. স্বীয় ভুল থেকে সরে দাঁড়াতে টাল বাহানা না করা।


৫০. ছাত্রদের নাম মুখস্ত রাখা।


৫১. প্রত্যেক কাজে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা।


৫২. ছাত্রদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া।


৫৩. ছাত্রদেরকে যুগের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য করা।


৫৪. ছাত্রদের সামনে অধিকাংশ সময় ইলমী আলোচনা করা।


৫৫. ছাত্রদের যোগ্যতার প্রতি খেয়াল রাখা।


৫৬. নিজের যবান ও কাজ স্বচ্ছ রাখা।


৫৭. ছাত্রদের নিজের সন্তান মনে করা।


৫৮. শৃংখলা ও নিয়মের পাবন্দি করা।


৫৯. ছাত্রদের সামনে সংকোচহীনতা থেকে বেঁচে থাকা।


৬০. ছাত্রদের সামনে নিজের আর্থিক সমস্যা প্রকাশ না করা।


৬১. ছাত্রদেরকে প্রহারের পন্থা এড়িয়ে চলা।


৬২. ছাত্রকে তার ভুলের জন্য নির্জনে বুঝানো।


৬৩. ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার না করা।


৬৪. সাদা রংয়ের পোশাক পরিধানের চেষ্ঠা করা।


৬৫. দাড়ি-মোচের সুন্নত তরিকার প্রতি খেয়াল রাখা।


৬৬. প্রাথমিক ক্লাসগুলোতে সবক মুখস্ত করানো।


৬৭. সবক সহজভাবে উপস্থাপন করা।


৬৮. মুতাআলায়া ছাড়া সবক না পড়ানো।


৬৯. সবক তিন দফায় মুতাআলায়া করা। বুঝার জন্যে,বুঝানোর জন্যে ও সহজ করণের জন্যে।


৭০. প্রয়োজনে চশমা ও শ্রবণ যন্ত্র ব্যবহার করা।


৭১. প্রাথমিক পর্যায়ে সবক লেখানো।


৭২. প্রাথমিক পর্যায়ে সবক নিজে শ্রবণ করা।


৭৩. প্রাথমিক পর্যায়ে সবার থেকে সবক শ্রবণ করা।


৭৪. ইবারত ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া।


৭৫. প্রত্যেক মাসআলার ইবারত পৃথক করে পড়া।


৭৬. মুতাআলার সব বিষয় দরসে না বলা।


৭৭. ফিকাহ ও হাদীসের দরসে নিত্য-নতুন মাসআলা বলা।


৭৮. নিজের আমলের উপর মেহনত করা।


৭৯. সবকের সময় সকল ছাত্রদেরকে নিজের কাছাকাছি রাখা।


৮০. শরীয়তের বিধানসমূহের পরিপূর্ণ পাবন্দি করা।


৮১. আত্মশুদ্ধির জন্যে কামেল পীরের সাথে সম্পর্ক করা।


৮২. ছাত্রদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরিণ শুদ্ধির প্রতি পরিপূর্ণ মনোযোগ দেয়া।


৮৩. কোন ছাত্রের ব্যপারে নৈরাশ না হওয়া।


৮৪. ছাত্রদেরকে খেলাধুলার সুযোগ দেয়া।


৮৫. ছাত্রদের অভিবাকদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা।


৮৬. ছাত্রদের অভিবাকদের সাথে কখনও তর্ক-বিতর্ক না করা।


৮৭. নিজের অবুঝ সন্তানকে ক্লাসে না আনা।


৮৮. বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক নিয়মে পড়ানো।


৮৯. দৈনিক চারটির অধিক ক্লাস না নেয়া।


৯০. মাদরাসার আর্থিক লেনদেনে হস্তক্ষেপ না করা।


৯১. মাদরাসার সকল উস্তাদের সাথে একই ধরণের সম্পর্ক রাখা।


৯২. নিজেকে কোন সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত না করা।


৯৩. তাবলিগ ও দাওয়াতি কাজে অবশ্যই সময় দেয়া।


৯৪. কাখনো ক্লাসে ইসলামী কোন দলের বিরোধিতা না করা,(বাতিল ফেরকার পর্যালোচনা ভিন্ন।)


৯৫. সবককে আকর্ষণীয় ও সহজ করে উপস্থাপন করা।


৯৬. স্তরভেদে সবক পড়ানো।


৯৭. সবক রেকর্ড করে নিজে শ্রবণ করা যাতে নিজের ভুল জানা যায়।


৯৮. দরস প্রদানকালে কন্ঠস্বর স্বাভাবিক রাখা।


৯৯. সবক পড়ানোর সময় রাগ না করা।


১০০. পিছনের সবকের যোগসূত্র বর্ণনা করে সামনের সবক প্রদান করা এবং সংক্ষিপ্ত ও অর্থবহ আলোচনা করা।


---(সংগৃহীত)---