জিজ্ঞাসা-১৩১২৬:
আসসালামু আলাইকুম। নাবালক সন্তান উপহার প্রাপ্ত সম্পদের মালিক সে নিজে কি না? তার পিতা মাতা ও নাবালক ভাই বোন আছে।
তারিখ:১৭/১১/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আব্দুর রশীদ দিনাজপুর থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, বাচ্চাদের প্রাপ্ত উপহারের মালিক তারা নিজেরাই, যা পিতামাতা তাদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। বরং সেগুলো শিশুদের প্রয়োজনেই ব্যয় করতে হবে। কাজেই ওই গিফটগুলো যদি সংরক্ষণের মতে হয় যেমন টাকা-পয়সা বা স্বর্ণালংকার তাহলে সম্ভব হলে সেগুলো তাদের ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করবে। কিন্তু যদি (বাবা মায়ের দারিদ্রের কারণে) সেগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব না হয় তাহলে শিশুদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, পোশাক পরিচ্ছেদ, দুধ, খাবার, চিকিৎসা ঔষধ ইত্যাদি কাজে তা ব্যায় করবে। কেননা নাবালক সন্তানের মালিকানায় সম্পত্তি থাকলে তার ভরণপোষণ পিতার উপর আইনত আবশ্যক নয়। কাজেই উপরোক্ত হাদিয়া, গিফট, উপহার বা উপঢৌকন তাদের কাজে ব্যবহার করা যাবে। দলিল-
الهدايا التي يهدى للمولود أول ما يولد هي ملك له ، والأم ليس لها ولاية على ولدها مع وجود أبيه ، وعلى هذا فلا يحل لها أن تتصرف فيها إلا بإذن أبيه ، فإذا أذن فلا بأس ، وسواء كان المولود بنتا أو ابنا الحق في المال للأب لا للأم ” .
انتهى من ” مجموع فتاوى ورسائل العثيمين ” (25/211).
“নবজাতক শিশু জন্মের পর যে সকল উপহার-সামগ্রী পায় সেগুলোর মালিক সেই। আর বাবা বিদ্যমান থাকা অবস্থায় মা সন্তানের অভিভাবক নয়। সুতরাং বাবার অনুমতি ছাড়া মা’র জন্য সেগুলো ইচ্ছামত ব্যবহার করা বৈধ নয়। তবে অনুমতি দিলে কোনও আপত্তি নাই।
সুতরাং নবজাতক শিশু-ছেলে হোক বা মেয়ে হোক-তার সম্পদে পিতার হক রয়েছে; মায়ের নয়।” [মাজমু ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েল-উসায়মিন ২৫/২১১]
সারকথা হলো, নাবালক সন্তান উপহার প্রাপ্ত সম্পদের মালিক সে নিজেই? তার পিতা মাতা ও নাবালক ভাই বোন হবে না। তবে উক্ত শিশুটি মারা যায়, তাহলে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী সবাই মিরাসের অধিকারী হবে।
والله اعلم بالصواب