*_কথা বলার আদব:-_*
১.কম কথা বলা উত্তম। সত্য বলা ওয়াজিব, মিথ্যা বলা হারাম।
২.সাধারণভাবে আস্তে কথা বলাই উত্তম। তবে বড়
মজলিসের প্রয়োজন অনুপাতে জোরে কথা বলা যাবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত জোরে কথা বলা ভালো নয়।
৩.নিজের চেয়ে অধিক বয়স এবং অধিক জ্ঞানসম্পন্ন লোকদের কথা বলতে অগ্রাধিকার দেওয়া আদব।
৪.তাহকীক বা তদন্ত ব্যতীত কথা বলা অন্যায়।যে কোন কথা শুনেই তাহকীক-তদন্ত ব্যতিত তা বর্ণনা করা মিথ্যার
শামিল।
৫.যে কথায় ঝগড়া এবং তর্ক সৃষ্টি হয়,তা বলা অন্যায়।
৬.নিজের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন খবর বা
প্রতিশ্রুতিমূলক কথা বললে ইনশাআল্লাহ বলতে হবে।
৭.বড়দের সঙ্গে আদব রক্ষা করে কথা বলতে হবে।
৮.বড়দেরকে সম্মানজনক সম্বোধন করে কথা বলা আদব।
৯.কাউকে কাফের, ফাসেক,মালাউন, আল্লাহর দুশমন, বেঈমান ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা নিষেধ।
১০.নিজের ভাঙ্গা ভাঙ্গা অভিজ্ঞতার কথা বলবে না, এতে শ্রোতাদের মনে বিরক্তির উদ্রেক হয়।
১১.আত্মপ্রশংসা অর্থাৎ নিজের প্রশংসা নিজে করা নিষেধ।
১২.অতিরিক্ত ঠাট্টা মজা না করা ভালো। এতে প্রভাব,লজ্জা-শরম ও পরহেজগারী কমে যায়।
১৩.যে শব্দ বা ভাষা খারাপ উদ্দেশ্যে এবং খারাপ অর্থে ব্যবহার করা হয় সেটা পরিহার করা কর্তব্য।
১৪.চিন্তা করে কথা বলতে হবে।বিনা চিন্তায় কথা বললে অনেক সময় মিথ্যা হয়ে যায়।
১৫.কথা সংক্ষেপ বা দীর্ঘ হবে না অর্থাৎ যতটুকু কথা বললে প্রয়োজন অনুযায়ী ততটুকু বলতে হবে।
১৬.চাটুকারিতামূলক কথা অর্থাৎ কারও তোষামোদ করে কথা বলা যাবে না।
১৭.কোন প্রয়োজনের কথা পূর্বে বলে থাকলে আবার সেটা পুনরাবৃত্তি করার ক্ষেত্রে পূর্ণ কথা বলতে হবে। পূর্ণ কথা না বললে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
১৮.কারও বক্তব্য শেষ হওয়ার পূর্বেই তার কথা কেটে মাঝখানে কথা না বলা আদব।
১৯.নিজের কথায় ভুল হলে সেটা স্বীকার করে নেয়া এবং অপব্যাখ্যায় না যাওয়া আদব।