জিজ্ঞাসা-১৩১১৬:
আসসালামু আলাইকুম। অন্তরের পাপ বিষয়টা কি? এ পাপের আওতায় কি কি কাজ অন্তর্ভুক্ত এবং এর থেকে বাঁচার উপায় কি?
তারিখ:০৬/১১/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
জনাব মিল্লাত হোসেন ইব্রাহীমপুর ঢাকা থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, অন্তরে পাপ বলতে যে সমস্ত পাপ যা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত। এই অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার জন্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে অসংখ্য তাগিদে এসেছে এবং বাতেনি গুনাহ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন,
Surah Al-Anaam, Verse 120:
وَذَرُوا ظَاهِرَ الْإِثْمِ وَبَاطِنَهُ إِنَّ الَّذِينَ يَكْسِبُونَ الْإِثْمَ سَيُجْزَوْنَ بِمَا كَانُوا يَقْتَرِفُونَ
তোমরা প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্ন গোনাহ পরিত্যাগ কর। নিশ্চয় যারা গোনাহ করেছে, তারা অতিসত্বর তাদের কৃতকর্মের শাস্তি পাবে। সূরা আনআম-১২০
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না;
إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে। সূরা শুআরা,৮৮-৮৯
أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً, إِذَا صَلَحَتْ, صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ, وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ, أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি মাংসের টুকরো আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সে মাংসের টুকরোটি হল অন্তর। তাখরিজ: বুখারী ৫২, ২০৫১, মুসলিম ১৫৯৯, তিরমিযী ১২০৫, নাসায়ী ৪৪৫৩, ৫৭১০, আবূ দাউদ ৩৩২৯, ইবনু মাজাহ ৩৯৮৪, আহমাদ ১৭৮৮, ১৭৯০৩, দারেমী ২৫৩১
নোট: হাদিস শরিফটির অংশ বিশেষ উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় কথা হলো, অন্তরের অনেকগুলি রোগ রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:
১। অহংকার: দলিল -
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ، - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، - أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبَانَ بْنِ تَغْلِبَ، عَنْ فُضَيْلٍ الْفُقَيْمِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ " . قَالَ رَجُلٌ إِنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أَنْ يَكُونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا وَنَعْلُهُ حَسَنَةً . قَالَ " إِنَّ اللَّهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ الْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَغَمْطُ النَّاسِ "
১৬৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না, মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ও ইবরাহীম ইবনে দীনার (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যার অন্তরে অনু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, মানুষ চায় যে, তার পোশাক সুন্দর হোক, তার জুতা সুন্দর হোক, এও কি অহংকার? রাসুল বললেনঃ আল্লাহ সুন্দর, তিনি সুন্দরকে ভালবাসেন। অহমিকা হচ্ছে দম্ভভরে সত্য ও ন্যায় অস্বীকার করা এবং মানুষকে ঘৃণা করা।
It Is narrated on the authority of Abdullah b. Mas’ud that the Messenger of Allah (ﷺ), observed:
He who has in his heart the weight of a mustard seed of pride shall not enter Paradise. A person (amongst his hearers) said: Verily a person loves that his dress should be fine, and his shoes should be fine. He (the Holy Prophet) remarked: Verily, Allah is Graceful and He loves Grace. Pride is disdaining the truth (out of self-conceit) and contempt for the people.
—সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৭ (আন্তর্জাতিক নং ৯১-১)
২। হিংসা: দলিল-
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ فَإِنَّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা হিংসা হতে বেঁচে থাকো। কেননা হিংসা সৎকর্মসমূহকে খেয়ে ফেলে, যেমনিভাবে কাষ্ঠখন্ডকে আগুন খায়। আবূ দাঊদ ৪৯০৩, ১৯০২ আত তারগীব ১৭২৩, শু‘আবুল ঈমান ৬৬০৮
৩। লোভ: সম্পদের ও সম্মানের লোভ: দলিল-
وَعَن كَعبِ بنِ مَالِكٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلاَ فِي غَنَمٍ بِأفْسَدَ لَهَا مِنْ حِرْصِ المَرْءِ عَلَى المَالِ وَالشَّرَفِ لِدِينهِ رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح
কা’ব ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুটি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে কোন ছাগপালে ছেড়ে দিলে তারা ছাগলের যতটা বিনাশ সাধন করে তার চাইতেও ধনলোভ ও খ্যাতিলোভ মানুষের দ্বীনের অধিক বিনাশ সাধন করে। তাখরিজ: তিরমিযী ২৩৭৬, ইবনে হিব্বান ৩২১৮
৪। কুধারণা: দলিল-
عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ، فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ، وَلاَ تَحَسَّسُوا، وَلاَ تَجَسَّسُوا، وَلاَ تَنَاجَشُوا، وَلاَ تَحَاسَدُوا، وَلاَ تَبَاغَضُوا، وَلاَ تَدَابَرُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا ".
আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অনুমান থেকে বেঁচে থেকেো। কারণ অনুমান বড় মিথ্যা ব্যাপার। আর কারো দোষ অনুসন্ধান করো না, গোয়েন্দাগিরী করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দিও না, আর পরস্পর হিংসা করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করো না এবং পরস্পর বিরুদ্ধাচরন করো না। বরং সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকো। তাখরিজ: বুখারি- ৬০৬৬
৫। রাগ: দলিল-
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أنّ رَسولَ الله ﷺ قَالَ لَيْسَ الشَّدِيدُ بالصُّرَعَةِ إنَّمَا الشَدِيْدُ الَّذِيْ يَملكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
আবূ হুরাইরাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (প্রকৃত) বলবান সে নয়, যে কুস্তিতে (অপরকে পরাজিত করে)। প্রকৃত বলবান (কুস্তিগীর) তো সেই ব্যক্তি, যে ক্রোধের সময় নিজেকে কাবুতে রাখতে পারে। তাখরিজ: বুখারী ৬১১৪, মুসলিম ৬৮০৯
৬। অন্তর দিয়ে হারাম মজা নেওয়া: দলিল-
6612 - حَدَّثَنِي مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَشْبَهَ بِاللَّمَمِ، مِمَّا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ، فَزِنَا العَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ المَنْطِقُ، وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ» وَقَالَ شَبَابَةُ: حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
৬১৫৯। মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে সগীরা (ছোট) গুনাহ সম্পর্কে যা বলেছেন তার চেয়ে যথাযথ উপমা আমি দেখি না। (নবী ﷺ বলেছেনঃ) আল্লাহ আদম সন্তানের উপর যিনার কোন না কোন হিসসা লিখে দিয়েছেন; তা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চোখের যিনা হল (নিষিদ্ধের প্রতি) নজর করা এবং জিহ্বার যিনা হল (যিনা সম্পর্কে) বলা। মন তার আকাঙ্ক্ষা ও কামনা করে, লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবায়িত করে অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।
শাবাবা (রাহঃ)ও ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
Narrated Ibn `Abbas:
I did not see anything so resembling minor sins as what Abu Huraira said from the Prophet, who said, "Allah has written for the son of Adam his inevitable share of adultery whether he is aware of it or not: The adultery of the eye is the looking (at something which is sinful to look at), and the adultery of the tongue is to utter (what it is unlawful to utter), and the innerself wishes and longs for (adultery) and the private parts turn that into reality or refrain from submitting to the temptation."
—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬১৫৯ (আন্তর্জাতিক নং ৬৬১২)
তৃতীয় কথা হলো, এর বাঁচার কয়েকটি পন্থা আছে। যেমন,
১। তওবা করা: দলিল -
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا أَخْطَأَ خَطِيئَةً نُكِتَتْ فِي قَلْبِهِ نُكْتَةٌ سَوْدَاءُ فَإِذَا هُوَ نَزَعَ وَاسْتَغْفَرَ وَتَابَ سُقِلَ قَلْبُهُ وَإِنْ عَادَ زِيدَ فِيهَا حَتَّى تَعْلُوَ قَلْبَهُ وَهُوَ الرَّانُ الَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ : (كلاَّ بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ) " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
৩৩৩৪. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ বান্দা যখন কোন গুনাহ করে তখন তার হৃদয়ে একটি কাল দাগ পড়ে। পরে যখন সে গুনাহ থেকে বিরত হয় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে ও তাওবা করে তখন তার হৃদয় উজ্জ্বল হয়ে যায়। কিন্তু সে যদি পুনরাবৃত্তি করে তবে কাল দাগ বৃদ্ধি পায়। এমনকি তার হৃদয়ের উপর তা প্রবল হয়ে উঠে। এই আবস্থাটিকেই আল্লাহ তাআলা রা’না (মরচে পড়া) বলে উল্লেখ করেছেনঃ (كلاَّ بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ) - কখনও নয়, বরং এদের কৃতকর্মেও দরুন এদের হৃদয়ে জং ধরেছে। (সূরা মুতাফফিফীন ৮৩ঃ ১৪)।
Abu Hurairah narrated that :
the Messenger of Allah said: “Verily, when the slave (of Allah) commits a sin, a black spot appears on his heart. When he refrains from it, seeks forgiveness and repents, his heart is polished clean. But if he returns, it increases until it covers his entire heart. And that is the ’Ran’ which Allah mentioned: ’Nay, but on their hearts is the Ran which they used to earn.’”
—জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ৩৩৩৪ (আন্তর্জাতিক নং ৩৩৩৪)
নোট:(আবু ঈসা তিরমিজি রহ. বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
২। কুরআন তেলাওয়াত ও মৃত্যুর কথা স্মরণ:
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ هَذِهِ الْقُلُوبَ تَصْدَأُ كَمَا يَصْدَأُ الْحَدِيدُ إِذَا أَصَابَهُ الْمَاءُ» . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا جِلَاؤُهَا؟ قَالَ: «كَثْرَةُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَتِلَاوَةِ الْقُرْآنِ» . رَوَى الْبَيْهَقِيُّ الْأَحَادِيثَ الْأَرْبَعَةَ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২০১৪)
৩। সাদিকীন তথা আল্লাহ ওয়ালাদের সহবতে থাকা:
Surah At-Taubah, Verse 119:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। সূরা তওবা-১১৯
ইসলাহে নফস বা আত্মশুদ্ধির জন্য এই পন্থা তথা আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও ফকিহ হযরত আশরাফ আলী থানবী বলেন، উসূলে ফিকহির একটি নিয়ম হল,
مقدم الواجب واجب
অর্থাৎ যে কাজ ফরজ তার শুরুও ফরজ। যে কাজ হারাম তা শুরুও হারাম।
সেই হিসেবে আত্মশুদ্ধি ফরজ আর আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে সম্পর্ক ব্যতীত আত্মশুদ্ধি হয় না তাই কোন পরিক্ষীত আল্লাহ ওয়ালাদের সাথে ইসলাহী তাআল্লুক/সম্পর্ক করাও ফরজ।
সারকথা হলো,
والله اعلم بالصواب