জিজ্ঞাসা-১২৩৩৯
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
আমার একজন জেসিও আমাকে এই নাম গুলো পাঠিয়েছে উনার ২ মেয়ের নাম।এখনো জন্মনিবন্ধন করেনি তাই ভুল থাকলে সংশোধন করবে এজন্য নাম গুলোর অর্থ এবং সঠিক কিনা জানতে চেয়েছে।দয়া করে উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ হব আসসালামু আলাইকুম।
পিতা: মোঃ রবিউল হাসান
মেয়ে
১। সাবাহ রাইসা হাসান তাসফিয়া
২। সাবাহ যীনাত হাসান তাবাসসুম? তারিখ: ১৩/১১/২২ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা নজরুল ইসলাম চাঁদপুর থেকে-----
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, জন্মের পর শিশুর একটি সুন্দর নাম রাখা পিতা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যেমন, আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন-
من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.
অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। তাখরিজ: মুসনাদে বাযযার- ৮৫৪০
০১। সাবাহ অর্থ- সকাল।
রাইসা অর্থ- নেত্রী, রানী ।
হাসান অর্থ - সুন্দর, উত্তম, চমৎকার ইত্যাদি।
তাসফিয়া অর্থ- পবিত্র, বিশুদ্ধ
০২। সাবাহ অর্থ- সকাল।
যীনাত অর্থ- শোভা, সৌন্দর্য
হাসান অর্থ - সুন্দর, উত্তম, চমৎকার ইত্যাদি।
তাবাস্সুম অর্থ- মিষ্টি হাসি, মুচকি হাসি, মৃদু হাসি ইত্যাদি।
উপরোক্ত শব্দগুলো সবকটিই আরবি শব্দ ও অর্থই ভাল। তবে এভাবে না রেখে দুটি শব্দ রাখলে অর্থবহ হবে।
নামদ্বয় এভাবে রাখা যেতে পারে, রাইসাস সাবাহ (আসফিয়া) অর্থ হবে সকালের রাণী/নেত্রী আর বাক নাম আসফিয়া
এবং যীনাতুস সাবাহ (তাবাসসুম) অর্থ হবে সকালের সৌন্দর্য/শোভা আর ডাক নাম তাবাস্সুম
সারকথা হলো, আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত নামদ্বয় অসঙ্গতিপূর্ণ। নামটি শুধু আরবি হলেই চলবে না, অর্থপূর্ণ, অর্থবহ, সুন্দর অর্থ বহন করে এভাবে মিলিয়ে রাখাই উচিত।
والله اعلم بالصواب