আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১৬৩: বাজি ধরা জায়েজ কি?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১৬৩: কোন কম্পিটিশন যেমন ভলিবল/ক্রিক্রেট এর অনুশিলন চলছে, এ ক্ষেত্রে খেলোয়াররা নিজেদের মধ্যে একটা নিয়ম করল যে, যারা খেলায় হারবে তারা ১ কেজি/২ কেজি মিস্টি খাওয়াবে এবং যারা বিজয়ী হবে শুধু তারাই খাবে, ইসলামী শরীয়তের দৃস্টিতে এটা জায়েয কিনা? তারিখ -১৫/০৬/২০২২ ঈসায়ি/ইংরেজি 


হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, যশোর


জবাব: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, তাহলেই তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ আদায়ে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না। ’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৯০-৯১)


 নবীজির আমলে দুই ব্যক্তি ঘোড়াদৌড়ের প্রতিযোগিতা লাগাত এবং পরস্পরে এ চুক্তিতে আবদ্ধ হতো, যে পরাজিত হবে সে বিজয়ী ব্যক্তিকে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। রাসুল (সা.) একেও জুয়ার অন্তর্ভুক্ত করে হারাম ঘোষণা করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুল জিহাদ)।


 


আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন ‘তারা আপনাকে (নবী) মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, ‘উভয়ের মধ্যেই রয়েছে মহাপাপ।’ (সূরা বাকারা : ২১৯)।


 


আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) সূরা বাকারার ২১৯নং আয়াতে বর্ণিত মাইসিরের ব্যাখ্যায় বলেন মাইসির কিমারকে বলা হয়। জাহেলি যুগে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সঙ্গে পরস্পরে স্বীয় অর্থসম্পদ এবং পরিবার-পরিজনকে বাজির উপকরণ হিসেবে পেশ করত। দুই ব্যক্তির যে অপরকে জুয়ার দ্বারা পরাজিত করত, সে অপরের ধনসম্পদ ও পরিবার-পরিজনকে নিয়ে যেত।’ (তফসির ইবনে জারীর তারাবী : ২/৩৫৮)


 জুয়ার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে তাফসিরে মাআরিফুল কোরআনের লেখক মুফতি মুহাম্মদ শফী (রহ.) বলেন, যে চুক্তিতে কোনো সম্পদের মালিকানায় এমন সব শর্ত আরোপিত হয়, যাতে মালিক হওয়া না হওয়া উভয় সম্ভাবনাই সমানভাবে বিদ্যমান থাকে, এর ফলে পূর্ণ লাভ কিংবা লোকসান উভয় দিকেই বজায় থাকে, এটাই হলো জুয়া। (ফাতাওয়া শামী : ৫/৩৫৫)


 আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বলেছেনঃ তীর নিক্ষেপ এবং উট ও ঘোড়দৌড় ব্যতীত অন্য কিছুতে প্রতিযোগিতা নেই। রেফারেন্সঃ আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নম্বরঃ ১২৮৯, সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১৭০০ হাদিসের মানঃ সহিহ।


 


ই মুহূর্তে আমার হাতের কাছে যেই ব্যাখ্যা গ্রন্থ আছে সেই হিসেবে হাদিস নম্বর ২৫৭১


 


উত্তর দিচ্ছেন, মাওলানা মোহাম্মাদ আব্দুর রহমান