দু‘আ-১৪০
اَللّٰهُمَّ مَا قَصُرَ عَنْهُ رَأْيِيْ وَضَعُفَ عَنْهُ عَمَلِيْ وَلَمْ تَبْلُغْهُ مُنْيَتِيْ وَ مَسْأَلَتِيْ مِنْ خَيْرٍ وَّعَدْتَهٗۤ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوْ خَيْرٍ أَنْتَ مُعْطِيْهِ أَحَدًا مِّنْ عِبَادِكَ فَإِنِّيْۤ أَرْغَبُ إِلَيْكَ فِيْهِ، وَأَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ.
ইয়া আল্লাহ! এমনসব কল্যাণ, যা উপলব্ধি করতে আমার চিন্তা ব্যর্থ, যা অর্জনে আমার কর্ম অপারগ আর যা আমার আকাঙ্ক্ষা ও প্রার্থনার ঊর্ধ্বে। অথচ আপনি কোনো মাখলুককে তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অথবা আপনার কোনো বান্দাকে তা দান করবেন, আমি ঐ বিষয়ে আপনার কাছে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছি এবং আপনার রহমতের উসীলায় তা আপনার কাছে প্রার্থনা করছি ইয়া রাব্বাল আলামীন!১৩৫
–কানয; তিরমিজি -৩৪১৯
১৩৫. এতে এ শিক্ষাও আছে যে, সম্ভাব্য সকল কল্যাণের বিষয়ে বান্দার আকাঙ্ক্ষা কেমন হওয়া চাই। বান্দা নিবেদন করছে, কোনো প্রকারের কল্যাণ, যা পাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আমার চিন্তার অক্ষমতার কারণে কিংবা যা আমার জ্ঞান ও কল্পনারও অতীত। কিন্তু কোনো মাখলুক তা পেতে পারে, তাহলে আমাকেও ঐ কল্যাণের প্রার্থী গণ্য করুন। আপনি তো উচ্চ-নীচ, উপযুক্ত-অনুপযুক্ত সবারই পরওয়ারদেগার।