হযরত আমির খসরু (রহ.)-৪
উচ্চ সভ্যতা প্রচারদের
হযরত আমির খসরু একাধারে তুর্কি, আরবী ও সাংস্কৃতিক সাংস্কৃতিক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারী ছিলেন। তার সঙ্গীতের ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। তৎ কালীন ভারতীয় সঙ্গীতের এক অংশ ছিল গ্রিক। অন্য একটি অংশ ছিল সম্পূর্ণরূপে হযরত আমির খসরু এই লাইন ধারার ব্যাখ্যা প্রকাশ করে একটি স্বতন্ত্র নীতির প্রবর্তন করেন। ভারতীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ধরনের অগ্রগতি ও অর্জন। হযরত আমির খসরু কারণে ফারসি কবিতা ও সঙ্গীতে পারদর্শী ছিলেন এবং একই সঙ্গে সঙ্গীতকলার বিষয়ে তার বিভিন্ন জানাশোনা ছিল, ফলে এই দুয়ের মিলন সাধন তার আরও সহজ ও সম্ভবপর হয়েছে। তীব্র সঙ্গীতের 'পরদা' এবং ভারতীয় সঙ্গীতের 'রাগে' তিনি এক নতুন সঙ্গীত প্রকরণ করেন। হযরত আমার খসরুর সঙ্গীতের একটি বিশেষ ভঙ্গীকে বলা হয় 'কাওল'। এটি দ্বিভাষিক সঙ্গীত। ফারসি ও হিন্দি ভাষা। সুফি-দরবেশদের মাহিফিলে ও রাজনৈতিক পরিবেশ কাওল গাওয়া। হযরত নিজামউদ্দীন আওলিয়ার দরবারে হযরত আমি খসরু স্বয়ং কাওল গাইতেন। কাওল থেকে 'কাওয়ালি' শব্দের উদ্ভব। কাওলের বহুবচন কাওয়ালি। হযরত আমির খসরুকে কাওয়ালীর ভাবনা উদ্রেক করা হয়। উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের কাওয়ালি ট্র্যাক্টো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীত।
কাওয়ালির মতো 'খেয়ালও উপমহাদেশের সব দেশই গাওয়া হয়। মনের পূর্বে উপমহাদেশে পরিচিত সঙ্গীতধারা ছিল 'ধ্রুপদ'। হযরত আমির খসরুর কৃতিত্ব, কাওয়ালির মতো চিন্তাকেও তিনি নির্বাচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। আরো তার অনেক সঙ্গীত ধারা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 'তারানা'র কথা এ চিত্র উল্লেখ করা যায়। তারাও হযরত আমির খসরুর ছেলে।
হযরত আমির খসরু অসংখ্য 'রাগ' ও 'তাল'কার করেন। তার রাগ এর মধ্যে সাহগাড়ি, ইহাক, মুয়াফিক, গানাম, জিলাপ, ফারগানা সার পরদা, ঘারা, মুজির, সাহানা, বিশেষ প্রভৃতি। তার আবিষ্কৃত তালকলের মধ্যে প্রধান, সাওয়ারি, ফিরুদাস্ত, পাহলোয়ান, জাট, পুস্ত, আড়াচৌতালি ইত্যাদি।
তিনি বহু বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভাবক ও উতরে অনেক বাদ্যযন্ত্রের প্রচলক ছিলেন। সেতারা, তবলা প্রভৃতি তার আবিষ্কার। আর বার, দোলক প্রভৃতি হার ও হার থেকে আনা।
বিশ্ব সঙ্গীতের ইতিহাসে উপমহাদেশীয় সঙ্গীতের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও অবস্থান রয়েছে। এ মনে গান সঙ্গীত সাধকদের অবিস্মরণীয়। হযরত আমির খসরু হিন্দি-উৎ ভাষা, কবিতা, ছন্দ, সঙ্গীত ইত্যাদিতে যে শান্তিদুবিষ্ট, তা আমাদের বিষ্ট করে। (সমাপ্ত)
লেখক: মুনশি আব্দুল মান্নান হাফিজাহুল্লাহু,
সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪