জিজ্ঞাসা-১২৯০৪:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।
ইমাম নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় মুবাইল বেজে ওঠে ঐ অবস্থায় নিচু হয়ে মুবাইল হাতে নিয়ে মুবাইল সাইলেন্ট করে আবার মুবাইল নিচু হয়ে ঐ স্থানে রেখে সূরা কিরাত পড়ে নামাজ শেষ করে।
প্রশ্ন হলো নামাজ রত অবস্থায় উক্ত কার্য সম্পাদন করায় নামাজ আদায় হয়ে যাবে? নাকি নামাজ পুনরায় পড়তে হবে?
তারিখ: ২০/০২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ফরিদপুর থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, যদি নামাজ পড়াবস্থায় ফোন বাজতে থাকে। আর আমলে কাছীর না হওয়া সাপেক্ষে পকেট থেকে মোবাইল বের করে রিংটোন বন্ধ করা যায়, তাহলে বন্ধ করে নিবে। এর মাধ্যমে নামাজ ফাসেদ হবে না।
প্রশ্ন: ক। আমলে কাসির কাকে বলে?
উত্তর: ক। আমলে কাসীরের পরিমাণ নির্ণয়ের বেলায় ফিকাহবিদগণের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী আমলে কাসীর বলা হয় এরূপ কর্মকে,
যে কর্মের কর্মরতকে নামাযের বাহির থেকে অবলোকনকারীর নিশ্চিত ধারণা জন্মে যে, সে নামাযরত অবস্থায় নেই। এ ধরনের কর্ম দ্বারা তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। আর তাকে নামাযরত বলে যদি ধারণা হয়, তাহলে একে আমলে কাসীর বলা হবে না, বরং আমলে কালীল বলা হবে। তাতে নামায নষ্ট হয় না। দলিল -
جاء في الموسوعة الفقهية: اتفق الفقهاء على بطلان الصلاة بالعمل الكثير، واختلفوا في حده. فذهب الحنفية إلى أن العمل الكثير الذي تبطل الصلاة به هو ما لا يشك الناظر في فاعله أنه ليس في الصلاة
ومذهب المالكية قريب من مذهب الحنفية،
আল-মাউসুআতুল ফিকহিয়ায় এসেছে -
এ বিষয়ে ফোকাহায়ে কেরাম একমত পোষণ করেছেন যে, আমলে কাসির দ্বারা নামাজ বাতিল হয়ে যায়। তবে এর সীমা নির্ধারণে মতভেদ রয়েছে।
ফিকহি হানিফর মতে, আমলে কাসীর বলা হয় এরূপ কর্মকে, যে কর্মের কর্মরতকে নামাযের বাহির থেকে অবলোকনকারীর নিশ্চিত ধারণা জন্মে যে, সে নামাযরত অবস্থায় নেই। এ ধরনের কর্ম দ্বারা তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। (আর তাকে নামাযরত বলে যদি ধারণা হয়, তাহলে একে আমলে কাসীর বলা হবে না, বরং আমলে কালীল বলা হবে। তাতে নামায নষ্ট হয় না।) আর মালিক মাজহাবের মতামত হানাফির কাছাকাছি। সূত্র : হিদায়া, ১:১৪১ # বাহরুর রায়িক, ২:১১-১২ # ফাতাওয়া আলমগীরী, ১:১০১ # বাদায়িউস সানায়ে, ১:২২১ # ফাতহুল কাদীর ১:৩৫১
সারকথা হলো, আপনার বর্ণনা মোতাবেক বুঝা যায়, ইমাম সাহেবের কাজটি আমলে কাসিরের অন্তর্ভুক্ত, তাই নামাজ পুনরায় পড়তে হবে, সবার।
والله اعلم بالصواب