আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৯০৫: বৈঠক ছাড়া নামাজ হবে কি?

No Comments

 




জিজ্ঞাসা-১২৯০৫:  

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ এক বৈঠকে আদায় করা যাবে কিনা। ভুলে এক বৈঠকে নামাজ শেষ করলে কি নামাজ সহিহ হবে?


তারিখ:  ১৯/০২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  রমজান আলী ঠাকুরগাঁও থেকে।

 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে প্রথম বৈঠক ওয়াজিব দ্বিতীয় বা শেষ বৈঠক ফরজ। দলিল -


চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে, প্রথম দুই রাকাতের পর বৈঠক করা। দলিল:

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَقَ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: كُنَّا لَا نَدْرِي مَا نَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ غَيْرَ أَنْ نُسَبِّحَ وَنُكَبِّرَ وَنَحْمَدَ رَبَّنَا، وَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَ فَوَاتِحَ الْخَيْرِ وَخَوَاتِمَهُ، فَقَالَ: " إِذَا قَعَدْتُمْ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، فَقُولُوا: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَلْيَتَخَيَّرْ أَحَدُكُمْ مِنَ الدُّعَاءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ فَلْيَدْعُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ "

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমরা জানতাম না, আমরা প্রত্যেক দু’রাকআতে কি বলব এ ব্যতীত যে, আমরা তাসবীহ পড়তাম তাকবীর বলতাম, আর আমাদের প্রভুর প্রশংসা করতাম এবং বলতাম যে, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এমন কথা শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যার শুরু ও শেষ কল্যানময়। তখন তিনি বললেন দু’রাকআতের পর তোমরা বসে বলবে- (আরবি) আর যার যে দোয়া ভাল লাগে সে দোয়া (পড়ার জন্য) গ্রহণ করবে, তারপর আল্লাহ তা‘আলার নিকট দোয়া করবে। তাখরিজ: সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১১৬৩

দুই বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া। দলিল:

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَقَ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: كُنَّا لَا نَدْرِي مَا نَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ غَيْرَ أَنْ نُسَبِّحَ وَنُكَبِّرَ وَنَحْمَدَ رَبَّنَا، وَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَ فَوَاتِحَ الْخَيْرِ وَخَوَاتِمَهُ، فَقَالَ: " إِذَا قَعَدْتُمْ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، فَقُولُوا: التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَلْيَتَخَيَّرْ أَحَدُكُمْ مِنَ الدُّعَاءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ فَلْيَدْعُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ "

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমরা জানতাম না, আমরা প্রত্যেক দু’রাকআতে কি বলব এ ব্যতীত যে, আমরা তাসবীহ পড়তাম তাকবীর বলতাম, আর আমাদের প্রভুর প্রশংসা করতাম এবং বলতাম যে, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এমন কথা শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যার শুরু ও শেষ কল্যানময়। তখন তিনি বললেন দু’রাকআতের পর তোমরা বসে বলবে- (আরবি) আর যার যে দোয়া ভাল লাগে সে দোয়া (পড়ার জন্য) গ্রহণ করবে, তারপর আল্লাহ তা‘আলার নিকট দোয়া করবে। তাখরিজ: সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১১৬৩

শেষ বৈঠক (নামাজের শেষে তাশাহহুদ পরিমাণ বসা)। দলিল:

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، قَالَ أَخَذَ عَلْقَمَةُ بِيَدِي فَحَدَّثَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ أَخَذَ بِيَدِهِ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِ عَبْدِ اللَّهِ فَعَلَّمَهُ التَّشَهُّدَ فِي الصَّلاَةِ فَذَكَرَ مِثْلَ دُعَاءِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ " إِذَا قُلْتَ هَذَا أَوْ قَضَيْتَ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ صَلاَتَكَ إِنْ شِئْتَ أَنْ تَقُومَ فَقُمْ وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَقْعُدَ فَاقْعُدْ " .

আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ নুফায়েলী, যুহায়ের, তিনি হাসান ইবনুল হুর, তিনি কাসিম ইবনে্ মুখায়মারা হতে এই হাদীসটি বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, একদা আলকামা (রাহঃ) আমার হস্ত ধারণ করে বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) একদা আমার হাত ধরে বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ) নামাযের মধ্যে তাশাহুহুদ পাঠের পদ্ধতি শিক্ষা দেন। অতঃপর তিনি আ’মাশের উপরোক্ত হাদীসের মধ্যে উল্লিখিত দুআটি শিক্ষা দেন।


অতঃপর তিনি বলেনঃ যখন তুমি এই দুআ (দুআ মাছুরা) পাঠ করবে, তখন তোমার নামায সমাপ্ত হবে। এ সময় তুমি ইচ্ছা করলে যাওয়ার জন্য দণ্ডায়মান হতে পার বা বসেও থাকতে পার। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৭০ (আন্তর্জাতিক নং ৯৭০)


নামাজের কোনো ফরজ বাদ পড়লে নামাজ বাতিল হয়ে যায়। সাহু সিজদা করলেও নামাজ সহিহ হয় না। [আল বাহরুর রায়িক, ১ : ৫০৫) ফাতাওয়া শামি, ১ : ৪৪৭, হিদায়া, ১ : ৯৮]


সারকথা হলো,  সুতরাং শেষ বৈঠক না করলে নামাজ হবে না এবং সাহু সিজদার কোন সুযোগ নেই।

ভুলে প্রথম বৈঠক না করলে সাহু সিজদা দিলে নামাজ হয়ে যাবে


  والله اعلم بالصواب