জিজ্ঞাসা-১২৯০৩:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।রমজান মাসে ওমরা পালন করা অন্য মাসের চেয়ে উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ,এ বিষয়ে হাদীসের রেফারেন্স প্রয়োজন।
তারিখ: ১৭/০২/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আবুসুমাইয়া মোঃ শাহজাহান শেখ,কুমিল্লা।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
রজমান মাসে ওমরা করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। দলিল:
হাদিস নং-০১
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا حَبِيبٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَمَّا رَجَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ حَجَّتِهِ قَالَ لأُمِّ سِنَانٍ الأَنْصَارِيَّةِ " مَا مَنَعَكِ مِنَ الْحَجِّ ". قَالَتْ أَبُو فُلاَنٍ ـ تَعْنِي زَوْجَهَا ـ كَانَ لَهُ نَاضِحَانِ، حَجَّ عَلَى أَحَدِهِمَا، وَالآخَرُ يَسْقِي أَرْضًا لَنَا. قَالَ " فَإِنَّ عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَقْضِي حَجَّةً مَعِي ". رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: আবদান (রাহঃ) ... ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) হজ্জ থেকে ফিরে এসে উম্মে সিনান (রাযিঃ) নামক এক আনসারই মহিলাকে বললেনঃ হজ্জ আদায় করাতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? তিনি বলেন, অমুকের আব্বা অর্থাৎ তাঁর স্বামী, কারণ পানি টানার জন্য আমাদের মাত্র দু’টি উট আছে। একটিতে সওয়ার হয়ে তিনি হজ্জ আদায় করতে গিয়েছেন। আর অন্যটিতে আমাদের জমিতে পানি সিঞ্চনের কাজ করছে। নবী (ﷺ) বললেনঃ রমযান মাসে একটি ‘উমরা আদায় করা একটি ফরজ হজ্জ আদায় করার সমান অথবা বলেছেনঃ আমার সাথে একটি হজ্জ আদায় করার সমান। তাখরিজ: বুখারি-১৮৬৩; মুসলিম-১২৫৬
হাদিস নং-০২
عُمرةٌ في رمضانَ تعدِلُ حَجَّةً
الراوي : هرم بن خنبش | | المصدر : صحيح ابن ماجه | الصفحة أو الرقم : 2441 | خلاصة حكم المحدث : صحيح | التخريج : أخرجه ابن ماجه (2992)، وأحمد (17600)
অর্থাৎ রমজানে ওমরাহ করা হজের সমতুল্য। তাখরিজ: ইবনে মাজাহ-২৪৪১,২৯৯২; মুসনাদে আহমদ-১৭৬০০
হাদিস নং-০৩
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করবে, সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ সম্পাদন করল।’ তাখরিজ: বায়হাকি-৩০৫,৩০৬; মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৯৬৫
নোট: হাদিসটির সনদ দুর্বল।
ব্যাখ্যা: ওমরা করা নফল সুতরাং রমজানে ওমরা করলে ফরজের সাওয়াব পাবে। যা অন্য মাসে করলে পাওয়া যাবে না।
নোট: ইমাম আবু ঈসা তিরমিজি (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব।
সারকথা কথা, রমজান মাসের ব্যাপারে,
هذا وتجدر الإشارة إلى أن أجر أداء العمرة في شهر رمضان المبارك -كأجر حجة مع الرسول صلى الله عليه وسلم- يحصل بمجرد تأدية العمرة في أيِّ يومٍ من رمضان؛ سواءً كان ذلك في أوَّله أو آخِره،[٥] ولكنَّ أداءها في العُشر الأواخر من رمضان أفضل بلا شك؛ لأنَّها أفضلُ أيام الشَّهر الكريم উল্লেখ্য যে রমজানের বরকতময় মাসে ওমরাহ করার সওয়াব - রাসূলের সাথে হজের সওয়াবের মতো - রমজানের যে কোনও দিনে কেবল ওমরাহ করার মাধ্যমে পাওয়া যায়। শুরুতে হোক বা শেষ, তবে রমজানের শেষ দশদিনে এর আমল নিঃসন্দেহে ভালো; কারণ এটি পবিত্র মাসের শ্রেষ্ঠ দিন। সূত্র: ফাতওয়ায়ে নুরু আলাল দারব-১৭ খণ্ড; ১৭২ পৃ.
والله اعلم بالصواب