আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা-১২৯১৪: শুক্রবার আসরের পর ৮০ বার দরুদ শরীফের হাদিসটি কি সহিহ?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৯১৪: 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

اللهم صل علي مجمد النبي الامي و علي الله و سلم تسليما

 এই দরুদের ফজিলত সংক্রান্ত দলিল কতটুকু নির্ভরযোগ্য ?

তারিখ:  ০৪/০৩/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 মাওলানা  ইকবাল হোসেন নোয়াখালী থেকে।


 জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, আপনার বর্ণনা অনুযায়ী হাদিসটি নিম্নরূপ:

وفي لفظ عند ابن بشكوال من حديث أبي هريرة أيضاً من صلى صلاة العصر من يوم الجمعة فقال قبل أن يقوم من مكانه اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليماً ثمانين مرة غفرت له ذنوب ثمانين عاماً وكتبت له عبادة ثمانين سنة

অর্থ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন আছরের নামায পড়ে নিজ স্থানে বসে থেকেই-

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدَنِ النَّبِىِّ الْاُمِّیِّ وَعَلٰۤى اٰلِهٖ وَسَلِّمْ تَسْلِيْمًا

  এ দরুদটি ৮০ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। অন্য বর্ণনায় আছে, 80 (আশি) বছরের ইবাদতের ছাওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে। তাখরিজ: আর আল কুরবা লি ইবনে বাশক্ওয়াল-111-114; মুসনাদে দাইলামি-2/408, হাদীস-3814


সনদের মান:

وقد تساهل بعض المتأخرين فحسَّن الحديث ، والصواب : أن الحديث ضعيف ، بل ضعيف جداً ؛

وممن ضعف الحديث من الائمة : الدارقطني ، والحافظ ابن حجر في " نتائج الأفكار " (5/56) ، والسخاوي في " القول البديع " صـ 284 ، والمناوي في " فيض القدير " (4/249) ، والحوت البيروتي في " أسنى المطالب " (ص: 175) ، والشيخ الألباني في " السلسةالضعيفة " (8/274).

অর্থাৎ উক্ত হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য। একাধিক মুহাদ্দীসগণ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এছাড়াও কতক ইমাম হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন কিন্তু এর সমর্থনে অন্য হাদীস থাকার কারণে হাদীসটি হাসান হাদীসে পরিণত হয়েছে। সূত্র: তানায়িজুল আফকার-৫/৫৬; আল-কওলুল বাদিউ-৪/২৪৯



সারকথা হলো,  হাদিসটির সনদের মান নিয়ে মুহাদ্দিসে কেরামের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, কারও মতে হাসান আর কারও মতে জয়িফ বা দুর্বল।

আমল বা ফজিলতের জন্য জয়িফ হাদিস সালাফদের নিকট স্বীকৃত। যেমন,

فالعمل بالحديث الضعيف في فضائل الأعمال جائز، وليس بدعة، قال النووي -رحمه الله- في كتاب الأذكار: قال العلماء من المحدثين والفقهاء وغيرهم: يجوز، ويستحب العمل في الفضائل والترغيب والترهيب بالحديث الضعيف، ما لم يكن موضوعا. انتهى

অর্থাৎ আমলের ফযীলত সম্পর্কিত দুর্বল হাদীসের উপর আমল করা জায়েয, এবং এটি কোন বিদআত নয়। ইমাম নববি রহ. কিতাবুল আজকার গ্রন্থে বলেছেন: হাদীস বিশারদ, ফিকাহবিদ এবং অন্যান্যদের মধ্যে আলেমগণ বলেছেন: ফযীলতের উপর আমল করা এবং দুর্বল হাদীস দ্বারা উৎসাহিত করা এবং ভয় দেখানো জায়েজ এবং বাঞ্ছনীয়, যদি না তা বানোয়াট হয়। সূত্র: কিতাবুল আজকার -৩৬ পৃষ্ঠা 



  والله اعلم بالصواب