যে অবস্থায় ও পদ্ধতিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েজ
একটি হাদিসে কুদসীতে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, আমি সর্বপ্রথম ইন ও বিন্দু সমস্ত জিন-সান কোনো স্থানে একত্রিত হয়ে আমার প্রার্থনা করে। আর আমি সকলের প্রণালী মাফিক কালে দান করি, তাহলে আমার ভাণ্ডার থেকে তুলো কমবে না যতো সুঁ সাগরে ডুবে উঠা সাগরের পানি সমতল। তাই জনসংখ্যা যতোই না কেন?
প্রত্যেকের রিজিকার ব্যবস্থা অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা করবেন। প্রত্যেক দলের এই বিশ্বাস রাখা চাই। এর বিপরীত আকীদা পোষণ করা কুফরী। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণ করা নিষেধ।
তাই, ওলামায়ে কেরাম যে ব্যাখ্যা করেন তা ব্যাখ্যা করেন। তবে অবস্থা ও পরিস্থিতির প্রেহে কখনো কখনো কখনো হুকুমের মধ্যে কিছু শিথিলতা আসে। যা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। নিম্নে ব্যাখ্যা সহ হুকুম বর্ণনা করা। জন্মনিয়ন্ত্র প্রয়োজনিয়তা ও পদ্ধতিতে ভিন্নতা রয়েছে। সকল অঞ্চল ও সকল পদ্ধতির হুকুম এক নয়।
নারীভাবে জন্মনিয়ন্ত্র পদ্ধতি রয়েছে-
এক. জন্মনিয়ন্ত্রণ অব্যাহত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যার দ্বারা নারী বা পুরুষ প্রজন সক্ষমতা অর্জন করে।
দুই. অস্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর কেউ প্রজন শক্তিহীন হওয়া যায় না। যেমন, কনডম ব্যবহার করা, পিল সেবন করা ইত্যাদি।
তিন. গর্ভধারণের পর গর্ভপাত ঘটানো।
প্রথম পদ্ধতি গ্রহণ করা সম্পূর্ণ সম্পূর্ণ। কেননা প্রত্যাবর্তন পরিবর্তন করা আবশ্যক। তবে কোনো কোনো দ্বীনদার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী গর্বধারকতার কারণে আমার চেষ্টার আশঙ্কা অব্যাহত রাখার পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে।
আর দ্বিতীয় পদ্ধতি শুধু নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে দেখতে হবে।
– দুই শিশুর জন্মের কিছু সময় টানাটানি দেওয়া, যাতে প্রথম মহিলার লালন-পালন, পরিচর্যা ঠিকমতো হয়।
– কোন কারণে মহিলার লালন-পালনের সামর্থ্য না থাকলে।
– মহিলা নিজেও সামঞ্জস্যের কারণে গর্ভধারণ বিপজ্জনক হলে।
তবে ভালোভাবে মনে রাখা প্রয়োজন শুধু যে, আমি যদি মনের মধ্যে থাকতে পারি। সম্মিলিতভাবে মানুষের কাছে প্রচারণা করা ওবুদ্ধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
আর তৃতীয় পদ্ধতিও নাজায়েজ। তবে যদি মহিলা অত্যাধিক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়, যার কারণে গর্ভধারণ তার ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর আর ভয়ংকর অভাব চারিত্রিক কম হয়, তাহলে গণপাত হবে। আর মান চার আরো বেশি হওয়া উচিত নয়। [মুসলিম শরিফ ২/৩১৯, জাদীদ ফকির মাবাহেস ১/২৮২]
মা: ইফতা বিভাগ, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, সাত মসজিদ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সূত্র: আওয়ার ইসলাম