জিজ্ঞাসা-১৭৯: আমার প্রশ্ন হলো ! অন্যান্য ধর্মের লোকদের কিভাবে প্রেষণা দিবেন। রেফারেন্স সহ উল্লেখ করলে ভালো হয় । তারিখ-১৩/০৬/২০২২
মাওলানা মিজানুর রহমান দিনাজপুর থেকে---
উত্তর: মুহতারাম, আপনি উল্লেখ করেননি যে, কি বিষয়ে প্রেষণা দিবেন, তাওহীদ, না চারিত্রিক, নীতি-নৈতিকতা এবং মোটিভেশন ক্লাসে, না ব্যক্তিগত উদ্যোগে?
যাই হোক, প্রথম কথা হলো, নন মুসলিম হলেও তাকে সম্মান দিয়ে কথা বলা। কারণ মানুষ হিসেবে সবাই সম্মানিত। দলিল:
মহান আল্লাহ বলেন,
وَ لَقَدۡ کَرَّمۡنَا بَنِیۡۤ اٰدَمَ আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি। সূরা আরাফ-৭০
দ্বিতীয়ত কথা হলো, যদি বিষয়বস্তু তাওহীদের হয়, তাহলে আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও একত্ববাদের কথা তুলে ধরা। সাথে সাথে তাদের ধর্মের দেব-দেবতা, খোদাকে গালি-কটূক্তি না দেওয়া। দলিল:
আল্লাহ বলেন, وَ لَا تَسُبُّوا الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ فَیَسُبُّوا اللّٰهَ عَدۡوًۢا بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ؕ
অর্থ: আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তারা ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিও না, কেননা তারা তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আল্লাহকে গালি দেবে। সূরা আনআম-১০৮
নোট: আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরলে খুবই মুফিদ হবে। এ সম্পর্ক আমার লেখা কিতাব ‘তিনিই মহান আল্লাহ’ (কিতাবটি সেনাসদর কর্তৃক অনূমদিত) এর সাহায্য নিতে পারেন। কিতাবটি শেয়ার করা হবে ইনশাল্লাহ।
তৃতীয়ত কথা হলো, যদি বিষয়বস্তু চারিত্রিক,নীতি-নৈতিকতা (সুদ, ঘুষ, ব্যভিচার-পরকিয়া, অবৈধ লেনদেন, মিডিয়ার অপব্যাবহার, মাদকতা, অবাধ্যতা ইত্যাদি) হয়। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তু সম্পর্কে ইসলামের সুমহান শিক্ষা, বিধান-হুকুম স্পষ্ট করে দেওয়া, যাতে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
আর বিষয়বস্তুকে জরালো ও সুস্পষ্ট এবং গুরুত্ব বুঝানোর জন্য অন্যান্য ধর্মেও যে নিষেধ তা উল্লেখ করা।
নোট: ইসলাম ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের সাদৃশ্য-অসাদৃশ্য বিষয়ে আরটি এসি-মুসলিম দর্শন প্রেসিটির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, ৭৮ পৃষ্ঠা থেকে আলোচনা রয়েছে। প্রেসিটি শেয়ার করা হবে ইনশাল্লাহ।
والله اعلم بالصواب
আল্লাহ তাআলাই সকল বিষয়ে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।