জিজ্ঞাসা-১২৯৫৮:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। মুহতারাম, এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর পাঁচজন বৈমাত্রেয় ভাই বোন এবং পাঁচজন চাচাতো ভাই বোন, দুইজন মামা এবং মৃত দুই মামার ১০ জন মামাতো ভাই বোন রেখে যান । উক্ত ব্যক্তির সম্পদ কেমনে বন্টন করা হবে জানালো উপকৃত হব।
তারিখ: ১৫/০৪/২৪ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা শহীদ জামালপুর থেকে।
জবাব: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রসূলিল কারিম। আম্মাবাদ -
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, বৈমাত্রেয় ভাই-বোন থাকাতে চাচাতো ভাই-বোন বঞ্চিত হবে, আর মামাতো ভাই-বোন কখনো সম্পদ পায় না।
বৈমাত্রেয় ভাই-বোন সম্পদ পাবে।
উদাহরণ: ধরুন মোট জমির পরিমাণ ১০ শতাংশ।
প্রত্যেক ভাই -২.৫ শতাংশ পাবে
প্রত্যেক বোন ১.৫ শতাংশ পাবে।
তিন ভাই পাবে ২.৫×৩= ৭.৫ শতাংশ
দুই বোন পাবে ১.২৫×২= ২.৫ শতাংশ
সারকথা হলো,
فالأخ لأب يرث إجماعا ما لم يحجب وهو من العصبات، يحجبه الأب والابن وابن الابن والأخ لأبوين. وأما الأخ لأم فيحجبه أب وجد وولد وولد ابن وإن سفل، والولد هنا يشمل الذكر والانثى، والإخوة لأم من أصحاب الفروض، وانظر الفتوى رقم: 34364.
অর্থাৎ আসাবা'র অন্তর্ভুক্ত কোন আত্মীয় বিদ্যমান না থাকলে বৈমাত্রেয় ভাই সর্বসম্মতভাবে মিরাসী সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। তবে পিতা, পুত্র, দৌহিত্র, ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের উপস্থিতিতে সে বঞ্চিত হবে। অন্যদিকে পিতা, দাদা, সন্তান ( চাই সে পুত্রসন্তান হোক কিংবা কন্যা সন্তান), দৌহিত্র কিংবা তদনিম্ন প্রপৌত্র- তাদের উপস্থিতিতে বৈপিত্রেয় ভাই বঞ্চিত হবে। প্রকাশ থাকে যে, বৈপিত্রেয় ভাই পবিত্র কুরআনে উল্লিখিত 'যাবিল ফুরুজ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত মীরাসী সম্পত্তির হকদার ব্যক্তিবর্গের অন্তর্ভুক্ত। সূত্র: ফিকহুল মাওয়ারিস-৩৪৩৬৪
والله اعلم بالصواب