*কুদৃষ্টি মুক্ত থাকার পুরস্কার*
⊰᯽⊱┈──╌❊╌──┈⊰᯽⊱
যে ব্যক্তি দৃষ্টির হেফাজত করবে পরকালে সে দুটি পুরস্কার পাবে। প্রথমত, প্রতিটি দৃষ্টির হেফাজতের বিনিময়ে আল্লাহর সাক্ষাত লাভ দ্বারা সে ধন্য হবে। দ্বিতীয়ত, এমন চোখ কেয়ামতের দিন কান্না থেকে নিরাপদ থাকবে।
🔸পবিত্র হাদীসে আছে...
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেয়ামতের দিন সকল চোখ থেকেই পানি ঝরবে। তবে, কেবলমাত্র আল্লাহ ঘােষিত নিষিদ্ধ দৃষ্টি থেকে যে তার চোখ অবনমিত করেছে, যে চোখ আল্লাহর পথে পাহারায় কেটেছে এবং যে চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে মাছির মাথার পরিমাণ পানি বেরিয়েছে। তা ব্যতীত।'
(আততারগীব ওয়াততারহীব, খন্ড : ০৩, পৃষ্ঠা ৩৪)
🔸কুদৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা
কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পুরুষদের জন্য কেবল পরনারীকে দেখা নয়; বরং যদি মাহরাম নারীকে দেখে কামনা জাগে তখন তাদের দেখা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বালকদেরকে দেখার ক্ষেত্রে একই কথা। বরং কোনো পুরুষকে দেখলে যদি গুনাহর চিন্তা আসে তাহলে তাকে দেখবে না। একই বিষয় নারীদের ক্ষেত্রে। তাদের জন্য কেবল পরপুরুষ নয়; বরং কোনাে ছােট ছেলেকে দেখার পর যদি কুকল্পনা আসে তাকেও দেখা থেকে বিরত থাকবে। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. ছােট ছেলেদের প্রতি স্থির দৃষ্টিতে তাকানো থেকে নিষেধ করতেন। (তালবীসে ইবলিস, পৃষ্ঠা : ৩৪৬)
আমাদের মাশায়েখ বলেছেন, তোমরা বালকের সাথে বসো না। কারণ এটা মেয়েঘটিত দুর্ঘটনা থেকেও খতরনাক। এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হলো, পর মেয়ের সাথে বসার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে, পক্ষান্তরে কম বয়সী ছেলেদের সাথে বসার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে না। সুতরাং এক্ষেত্রে ফেতনার আশঙ্কা বেশি। অনুরূপভাবে মহিলাদের জন্য পরপুরুষ পর্যন্ত পৌঁছার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা থাকে। কিন্তু নারী নারীর পাশে বসা সহজ। সুতরাং কোনাে নারী যদি এই আশঙ্কা করে যে, অমুক মেয়ের পাশে বসলে গুনাহে জড়িয়ে পড়ার ভয় আছে, তাহলে তার থেকেও পরপুরুষের মতই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে তার চেহারার প্রতি তাকাবে না। তার সাথে গল্প করবে না।
এ জগতে প্রতিটি পদক্ষেপ প্রয়োজন সতর্ক থাকার,
কারণ দুনিয়া অপেক্ষায় থাকে কোনো বাহানা।
📖 উৎসঃ কুদৃষ্টি | পৃষ্ঠা ২৭
✒️ মাওলানা জুলফিকার আহমাদ নকশবন্দি
────⊱◈🌼◈⊰─────