আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

প্রবন্ধ-৫১: রমযানে হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর আমল-*

No Comments

 




*রমযানে হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর আমল-*


বাংলাদেশের বিখ্যাত বুযুর্গ হযরত মাওলানা মুুহাম্মাদ উল্লাহ হাফেজ্জী রহ. এর জীবনী লিখেছেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন শাইখুল হাদীস মাওলানা আব্দুল হক সাহেব দামাত বারাকাতুহুম। মাওলানা আব্দুল হক সাহেব দা. বা. ময়মনসিংহ শহরের বড় মসজিদের খতিব এবং পেশ ইমাম। 


মাওলানা আব্দুল হক সাহেব হযরত হাফেজ্জী হুজুরের বিশিষ্ট খলিফা এবং হাফেজ্জী হুজুরের সাথে প্রায় ২ যুগ (২৪ বছর) কাটিয়েছেন । এজন্য একেবারে কাছে থেকে হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আমল বিভিন্ন অবস্থা দেখার সুযোগ হয়েছে মাওলানা আব্দুল হক সাহেবের।


এক জুমার বয়ানে মাওলানা আব্দুল হক সাহেব বলতেছিলেন, রমজানে তারাবীর নামাজ আমি পড়াইতাম। হাফেজ্জী হুজুর রহ. আমাকে বলতেন, তুমি তারাবীর নামাজে ৫ পারা তেলাওয়াত করবা। তো ৫ পারা তেলাওয়াত করা হতো তারাবীর নামাজে এবং প্রতি চার রাকাত পর লম্বা বিরতি হতো। বিরতির সময় হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. চা পান করতেন। এটাও হযরত আব্দুল হক সাহেব দা.বা. উল্লেখ করেছেন। 

এর পর লম্বা সময় নিয়ে যখন তারাবির নামাজ শেষ হতো তখন সবাই যখন ক্লান্ত এই সময় হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. নফল নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। 


মাওলানা আব্দুল হক সাহেব বলেন, সাহরি খাওয়ার আগ পর্যন্ত হযরত হাফেজ্জী হুজুরের আমল অব্যাহতভাবে চলতেই থাকত। সারারাত ঘুমাইতেন না। এ হচ্ছে আমাদের আকাবিরদের অবস্থা। 


আমরা প্রতি রাতেই অল্প কিছু হলেও, অন্য সময়ের চেয়ে বেশি নেক আমল করার চেষ্টা করি, যাতে একটা পার্থক্য সৃষ্টি হয়, রমজান আর অন্য সময়ের মধ্যে। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমল রমযানে বেড়ে যেত। আমাদেরও সুন্নতের উপর আমল করা উচিত, অন্য সময়ের চাইতে যাতে রমজানে আমল বেড়ে যায়।  


আর বিশেষ করে শেষ দশকের বেজোড় রাত গুলোর কদর আরো বেশি করা উচিত। বেজোড় রাতের যেকোনো একটিতে লাইলাতুল কদর। কেউ যদি লাইলাতুল কদরে দুই রাকাত নফল পরে, সে যেন লাগাতার ১০০০(এক হাজার) মাস প্রতি রাতেই দুই রাকাত করে নফল পড়তেছে । আর এক হাজার মাসে হচ্ছে প্রায় ৩০,০০০(ত্রিশ হাজার) রাত। তাহলে কদরের রাত্রির দুই রাকাত নফল পড়া মানে সে (২×৩০০০০) অর্থাৎ প্রায় ৬০,০০০(ষাট হাজার) রাকাত নামাজের সওয়াব পাবে।  


আর রমজানের নফল যেহেতু অন্য সময়ের ফরযের মত সওয়াব পাওয়া যায়, তাহলে বিষয় দাঁড়ালো এই- কেউ যদি কদরের রাতে দুই রাকাত নফল পড়ে তাহলে সে প্রায় ৬০,০০০(ষাট হাজার) রাকাত ফরয নামাজের সওয়াব পেয়ে যাবে। বহুৎ বড় অর্জন। কেউ যদি চার রাকাত নফল পড়ে কদরের রাত্রে, তাহলে সে এক লক্ষ বিশ হাজার রাকাত ফরয নামাজের সওয়াব পেয়ে যাবে। এভাবে আমরা যদি হিসাব করি তাহলে আমাদের জন্য আমল করা সহজ হয়ে যাবে, আসান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। বিশেষ করে বেজোড় রাত গুলোর কদর আরো বেশি করা চাই।


আল্লাহপাক আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন